ETV Bharat / state

14 পাতার নির্দেশিকা, কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে "মাফ" করলেন আচার্য

12 ফেব্রুয়ারি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যপালকে । তা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সংঘাতের সূত্রপাত ।

author img

By

Published : Jun 12, 2020, 10:45 PM IST

রাজ্য়পাল
রাজ্য়পাল

কলকাতা, 12 জুন : নিয়ম অনুযায়ী সমাবর্তনের 14 দিন আগে তাঁকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি। এই অভিযোগ তুলে সমাবর্তনের আগের দিন কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ় করে আইনি ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই শো-কজ়ে উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করারও হুমকি দিয়েছিলেন আচার্য। তার প্রায় চারমাস পর অবশেষে শো-কজ়ের প্রক্রিয়া শেষ করে নির্দেশিকা জারি করলেন আচার্য। 14 পাতার সেই নির্দেশিকার ছত্রে ছত্রে আইনের উল্লেখ রয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবারের জন্য উপাচার্যকে মাফ করেছেন আচার্য।

12 ফেব্রুয়ারি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের আগের দিন অর্থাৎ 11 ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ় করে চিঠি পাঠিয়েছিলেন আচার্য জগদীপ ধনকড়। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে শো-কজ় করা হয়েছিল নির্দেশিকায় তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আচার্য। শো-কজ়ের পর তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কী কী পদক্ষেপ করেছেন, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। তারপর তারিখ ধরে ধরে তিনি কবে উপাচার্য আচার্যকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন, কবে তা রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়েছে, কবে রেজিস্ট্রার তা ক্যুরিয়ার করেছেন, কবে তা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে পৌঁছেছে তা জানিয়েছেন। এমনকি বক্তব্যের সপক্ষে নথিও দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। সেই অনুযায়ী, সমাবর্তনের চারদিন আগে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার উচ্চশিক্ষা দপ্তরে উপাচার্যের লেখা আচার্যের আমন্ত্রণপত্র পাঠান। যা দপ্তরে এসে পৌঁছায় 11 ফেব্রুয়ারি। সমাবর্তনের দিন অর্থাৎ 14 ফেব্রুয়ারিও সেই আমন্ত্রণপত্র তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়নি বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছেন আচার্য।

image
১৪ পাতার নির্দেশিকা জারি রাজ্য়পালের
এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আচার্যকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছিলেন, "এটি পারস্পরিক সমন্বয়ের অভাব।" বিষয়টিকে বাদ দেওয়ার জন্য বিবেচনা করার পরামর্শও দেন শিক্ষামন্ত্রী। নির্দেশিকায় শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শের একাধিকবার উল্লেখ করে উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চশিক্ষা দপ্তর কোন কোন দিক থেকে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বা কোথায় কোথায় তাঁদের খামতি ছিল তাঁর উল্লেখ রয়েছে। মোট 26টি পয়েন্টে বিস্তারিতভাবে বলার পর 27 নম্বর পয়েন্টে আচার্য জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শকে ওয়েটেজ় দিয়ে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের গুরুতর ভুলকে নরম দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিষয়টি নরম মনোভাব নিয়ে দেখলেও নির্দেশিকায় রাজ্য উপাচার্য পরিষদকে সতর্ক করেছেন আচার্য। তাঁর বক্তব্য, উপাচার্যদের ফোরাম সংবাদ মাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছিল, যা আমায় খুব কষ্ট দিয়েছে। উপাচার্য পরিষদ আচার্যের সঙ্গে সরাসরি কোনও আলোচনায় বসার চেষ্টা করেনি। এছাড়া, উপাচার্য পরিষদের অস্তিত্বকে কটাক্ষ করে জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, "নিশ্চয়ই উপাচার্যরা ট্রেড ইউনিয়ন নয়!" কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জন্য জারি করা নির্দেশিকার কপি রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরও পাঠানো হয়েছে। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, আচার্যের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে আইনি বিধানের যথাযথ পালন করতে হবে । কোনওভাবেই আপোস করা যাবে না।

কলকাতা, 12 জুন : নিয়ম অনুযায়ী সমাবর্তনের 14 দিন আগে তাঁকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি। এই অভিযোগ তুলে সমাবর্তনের আগের দিন কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ় করে আইনি ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই শো-কজ়ে উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করারও হুমকি দিয়েছিলেন আচার্য। তার প্রায় চারমাস পর অবশেষে শো-কজ়ের প্রক্রিয়া শেষ করে নির্দেশিকা জারি করলেন আচার্য। 14 পাতার সেই নির্দেশিকার ছত্রে ছত্রে আইনের উল্লেখ রয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবারের জন্য উপাচার্যকে মাফ করেছেন আচার্য।

12 ফেব্রুয়ারি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের আগের দিন অর্থাৎ 11 ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ় করে চিঠি পাঠিয়েছিলেন আচার্য জগদীপ ধনকড়। কেন এবং কোন পরিস্থিতিতে শো-কজ় করা হয়েছিল নির্দেশিকায় তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আচার্য। শো-কজ়ের পর তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কী কী পদক্ষেপ করেছেন, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। তারপর তারিখ ধরে ধরে তিনি কবে উপাচার্য আচার্যকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন, কবে তা রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়েছে, কবে রেজিস্ট্রার তা ক্যুরিয়ার করেছেন, কবে তা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে পৌঁছেছে তা জানিয়েছেন। এমনকি বক্তব্যের সপক্ষে নথিও দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। সেই অনুযায়ী, সমাবর্তনের চারদিন আগে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার উচ্চশিক্ষা দপ্তরে উপাচার্যের লেখা আচার্যের আমন্ত্রণপত্র পাঠান। যা দপ্তরে এসে পৌঁছায় 11 ফেব্রুয়ারি। সমাবর্তনের দিন অর্থাৎ 14 ফেব্রুয়ারিও সেই আমন্ত্রণপত্র তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়নি বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছেন আচার্য।

image
১৪ পাতার নির্দেশিকা জারি রাজ্য়পালের
এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আচার্যকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছিলেন, "এটি পারস্পরিক সমন্বয়ের অভাব।" বিষয়টিকে বাদ দেওয়ার জন্য বিবেচনা করার পরামর্শও দেন শিক্ষামন্ত্রী। নির্দেশিকায় শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শের একাধিকবার উল্লেখ করে উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চশিক্ষা দপ্তর কোন কোন দিক থেকে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বা কোথায় কোথায় তাঁদের খামতি ছিল তাঁর উল্লেখ রয়েছে। মোট 26টি পয়েন্টে বিস্তারিতভাবে বলার পর 27 নম্বর পয়েন্টে আচার্য জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শকে ওয়েটেজ় দিয়ে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের গুরুতর ভুলকে নরম দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিষয়টি নরম মনোভাব নিয়ে দেখলেও নির্দেশিকায় রাজ্য উপাচার্য পরিষদকে সতর্ক করেছেন আচার্য। তাঁর বক্তব্য, উপাচার্যদের ফোরাম সংবাদ মাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছিল, যা আমায় খুব কষ্ট দিয়েছে। উপাচার্য পরিষদ আচার্যের সঙ্গে সরাসরি কোনও আলোচনায় বসার চেষ্টা করেনি। এছাড়া, উপাচার্য পরিষদের অস্তিত্বকে কটাক্ষ করে জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, "নিশ্চয়ই উপাচার্যরা ট্রেড ইউনিয়ন নয়!" কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জন্য জারি করা নির্দেশিকার কপি রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরও পাঠানো হয়েছে। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, আচার্যের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে আইনি বিধানের যথাযথ পালন করতে হবে । কোনওভাবেই আপোস করা যাবে না।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.