ETV Bharat / state

বাসের সংখ্যা সীমিত, কোরোনা আবহে সমস্যায় সরকারি কর্মীরা

রাস্তাঘাটে বাসের সংখ্যা হাতে গোনা ৷ ট্রেন বা মেট্রো পরিষেবাও নেই ৷ ফলে রোজ অফিস যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের ৷ 70 শতাংশ কর্মীর উপস্থিতের কথা সরকারের তরফে বলা হলেও সেই সংখ্যক কর্মচারীও কাজে যোগ দিতে পারছেন না ৷

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jul 11, 2020, 4:50 PM IST

কলকাতা, 11 জুলাই : নামমাত্র চলছে সরকারি অফিস ৷ সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি কাজে যোগ দিতে পারছেন না অধিকাংশ কর্মী ৷ বেশিরভাগই দিনই ফাঁকা পড়ে থাকছে দপ্তরগুলি ৷ সংক্রামকের আতঙ্ক নিয়ে কাজে যোগ দিতে চাইছেন না অনেকে ৷ 70 শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে মান্যতা পাচ্ছে না কোনও রস্টার বা ডিউটি শিডিউল ৷ কোরোনা আবহে রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি একপ্রকার শিকেই উঠেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷

নবান্ন, মহাকরণ, খাদ্য ভবন, বিকাশ ভবন, ময়ূখ ভবন, উন্নয়ন ভবন-সহ রাজ্যের অন্যান্য সচিবালয়গুলিতে কাজের সঙ্গে যুক্ত লক্ষাধিক মানুষ ৷ কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা সংলগ্ন শহরতলির বাসিন্দা ৷ আশপাশের জেলাগুলি থেকে প্রতিদিন সকালে কাজের তাগিদে শহরে আসেন তাঁরা ৷ কিন্তু, মাত্র কয়েক মাসেই বদলেছে গোটা চিত্র ৷ লকডাউনের সময় বন্ধ রাখা হয়েছিল রাজ্য সরকারের অফিস কাছারি ৷ শেষের দিকে অফিস খোলার কথা সরকারের তরফে জানানো হলেই শুরু হয় বিপত্তি ৷ ট্রেন, মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকায় বা রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বাস না থাকার কারণে হয়রানির মুখে পড়তে হয় কর্মীদের ৷ কর্মচারী সংগঠনগুলির অভিযোগ, ইচ্ছে থাকলেও নিয়মিত কাজে যোগ দিতে পারছেন না বহু কর্মী ৷

BJP-র সরকারি কর্মচারী সংগঠনের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল বলেন, "কোনও কোনও দপ্তর রোটেশন চার্ট দিয়ে কর্মীদের জানিয়ে দিচ্ছে ৷ যাঁরা পারছেন ঝুঁকি নিয়ে আসছেন ৷ সরকার যেভাবে হাজিরায় কড়াকড়ি করেছিল, সেভাবে কর্মীরা আসছে না ৷ মাঝে মধ্যেই বলছে কড়া ব্যবস্থা নেবে ৷ কিন্তু, যারা বলছে তারাই কোরোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৷ বাস অপ্রতুল ৷ আর কোনও মাধ্যম নেই ৷ তাই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করলেই বেশি কাজ হবে ৷"

কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "যেভাবে কোরোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ভয়েই রয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি কর্মচারীরা । রাজ‍্য সরকারি কর্মচারীরা কীভাবে অফিসে আসবে ? এই যে বাদুড় ঝোলা বাসে চেপে সকলে আসছে ৷ এতে কোরোনা সংক্রমণ বাড়ছে । স্বাস্থ্য ভবনের কর্মচারীদের কোরোনা হওয়াই সরকারি কর্মচারীদের ভয় আরও বেড়েছে । মুখ্যমন্ত্রী 70 শতাংশ কর্মীর উপস্থিতির কথা বলেছেন । কিন্তু হলপ করে বলতে পারি 70 শতাংশ কর্মীর উপস্থিতি থাকছে না । সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করানোর কোনও পরিকাঠামো নেই । যারা সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেয় তারা যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে কী করে হবে ‌। সরকারকে এ বিষয়ে দেখতে হবে । সরকারকে মানবিক হতে হবে ।"

কোরোনা আবহে সমস্যায় সরকারি কর্মীরা

রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যথাসাধ্য পরিষেবা দিয়ে তাদের দ্বায়িত্ব বোধের পরিচয় দিয়েছেন । বিশেষ করে কোরোনা প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত দপ্তরগুলো । অফিসে যাওয়া আসায় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা । ট্রেন চলছে না । মেট্রো পরিষেবা নেই । বাস খুব সীমিত । কেউ বাধ্য হয়ে আসছেন । কেউ স্বেচ্ছায় আসছেন । বিভিন্ন দপ্তরে আপাতভাবে উপস্থিত কম । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কর্মচারীদের প্রতি মানবিক দৃষ্টি দেওয়ার কারণে সমস্ত দপ্তর নাগরিক পরিষেবা দিয়ে চলেছে ।"

কলকাতা, 11 জুলাই : নামমাত্র চলছে সরকারি অফিস ৷ সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি কাজে যোগ দিতে পারছেন না অধিকাংশ কর্মী ৷ বেশিরভাগই দিনই ফাঁকা পড়ে থাকছে দপ্তরগুলি ৷ সংক্রামকের আতঙ্ক নিয়ে কাজে যোগ দিতে চাইছেন না অনেকে ৷ 70 শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে মান্যতা পাচ্ছে না কোনও রস্টার বা ডিউটি শিডিউল ৷ কোরোনা আবহে রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি একপ্রকার শিকেই উঠেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷

নবান্ন, মহাকরণ, খাদ্য ভবন, বিকাশ ভবন, ময়ূখ ভবন, উন্নয়ন ভবন-সহ রাজ্যের অন্যান্য সচিবালয়গুলিতে কাজের সঙ্গে যুক্ত লক্ষাধিক মানুষ ৷ কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা সংলগ্ন শহরতলির বাসিন্দা ৷ আশপাশের জেলাগুলি থেকে প্রতিদিন সকালে কাজের তাগিদে শহরে আসেন তাঁরা ৷ কিন্তু, মাত্র কয়েক মাসেই বদলেছে গোটা চিত্র ৷ লকডাউনের সময় বন্ধ রাখা হয়েছিল রাজ্য সরকারের অফিস কাছারি ৷ শেষের দিকে অফিস খোলার কথা সরকারের তরফে জানানো হলেই শুরু হয় বিপত্তি ৷ ট্রেন, মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকায় বা রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বাস না থাকার কারণে হয়রানির মুখে পড়তে হয় কর্মীদের ৷ কর্মচারী সংগঠনগুলির অভিযোগ, ইচ্ছে থাকলেও নিয়মিত কাজে যোগ দিতে পারছেন না বহু কর্মী ৷

BJP-র সরকারি কর্মচারী সংগঠনের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল বলেন, "কোনও কোনও দপ্তর রোটেশন চার্ট দিয়ে কর্মীদের জানিয়ে দিচ্ছে ৷ যাঁরা পারছেন ঝুঁকি নিয়ে আসছেন ৷ সরকার যেভাবে হাজিরায় কড়াকড়ি করেছিল, সেভাবে কর্মীরা আসছে না ৷ মাঝে মধ্যেই বলছে কড়া ব্যবস্থা নেবে ৷ কিন্তু, যারা বলছে তারাই কোরোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৷ বাস অপ্রতুল ৷ আর কোনও মাধ্যম নেই ৷ তাই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করলেই বেশি কাজ হবে ৷"

কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "যেভাবে কোরোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ভয়েই রয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি কর্মচারীরা । রাজ‍্য সরকারি কর্মচারীরা কীভাবে অফিসে আসবে ? এই যে বাদুড় ঝোলা বাসে চেপে সকলে আসছে ৷ এতে কোরোনা সংক্রমণ বাড়ছে । স্বাস্থ্য ভবনের কর্মচারীদের কোরোনা হওয়াই সরকারি কর্মচারীদের ভয় আরও বেড়েছে । মুখ্যমন্ত্রী 70 শতাংশ কর্মীর উপস্থিতির কথা বলেছেন । কিন্তু হলপ করে বলতে পারি 70 শতাংশ কর্মীর উপস্থিতি থাকছে না । সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করানোর কোনও পরিকাঠামো নেই । যারা সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেয় তারা যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে কী করে হবে ‌। সরকারকে এ বিষয়ে দেখতে হবে । সরকারকে মানবিক হতে হবে ।"

কোরোনা আবহে সমস্যায় সরকারি কর্মীরা

রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যথাসাধ্য পরিষেবা দিয়ে তাদের দ্বায়িত্ব বোধের পরিচয় দিয়েছেন । বিশেষ করে কোরোনা প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত দপ্তরগুলো । অফিসে যাওয়া আসায় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা । ট্রেন চলছে না । মেট্রো পরিষেবা নেই । বাস খুব সীমিত । কেউ বাধ্য হয়ে আসছেন । কেউ স্বেচ্ছায় আসছেন । বিভিন্ন দপ্তরে আপাতভাবে উপস্থিত কম । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কর্মচারীদের প্রতি মানবিক দৃষ্টি দেওয়ার কারণে সমস্ত দপ্তর নাগরিক পরিষেবা দিয়ে চলেছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.