ETV Bharat / state

অর্জুনের তিরে পরমাণু শক্তি! সমালোচনার মুখে বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরলেন রাজ্যপাল - Governer speech

গতকালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রাজ্যপাল বলেন , "আপনারা কি বিশ্বাস করেন না যে, 4000 হাজার বছর আগে আমাদের নেতারা বিশ্বকে শাসন করত ? আপনারা কি বিশ্বাস করেন না যে, সঞ্জয় মহাভারতের সমস্ত বিবরণ ধৃতরাষ্ট্রকে দিয়েছিল ? আপনার কি বিশ্বাস করেন না যে, অর্জুনের তির এতটাই শক্তিশালী ছিল যার সঙ্গে পরমাণু শক্তির তুলনা করা যায়?"

image
রাজ্যপাল
author img

By

Published : Jan 15, 2020, 11:12 PM IST

কলকাতা, 15 জানুয়ারি : রামায়ণে উড়োজাহাজের উল্লেখ ছিল । অর্জুনের তিরে ছিল পরমাণু শক্তি । গতকাল কলকাতার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে একথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । যা নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা ও কটাক্ষ । আজ নিজের বক্তব্য থেকে কিছুটা পিছু হটলেন রাজ্যপাল । নিজের বক্তব্যের সমর্থনে দোহাই দিলেন বিশ্বাসের । তিনি বলেন ,"আমি বিশ্বাস করি অর্জুনের তিরে এমন কিছু ছিল যা পরমাণু শক্তির মতো ।"

আজ এশিয়াটিক সোসাইটির ফাউন্ডেশন ডে উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান ছিল । সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যপাল । গতকালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সেখানে বলেন , "আপনারা কি বিশ্বাস করেন না যে, 4000 হাজার বছর আগে আমাদের নেতারা বিশ্বকে শাসন করত ? আপনারা কি বিশ্বাস করেন না যে, সঞ্জয় মহাভারতের সমস্ত বিবরণ ধৃতরাষ্ট্রকে দিয়েছিল ? আপনার কি বিশ্বাস করেন না যে, অর্জুনের তির এতটাই শক্তিশালী ছিল যার সঙ্গে পরমাণু শক্তির তুলনা করা যায়? আমি ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি । এটা বলা অনেক সহজ যে, আমার বক্তব্য বিজ্ঞানসম্মত নয় । কিন্তু আমরা পৃথিবীকে এমন কিছু উপহার দিয়েছি যা কোথাও ছিল না । ইতিহাসটা পড়ুন । আমাদের সংস্কৃতিকে জানুন । কিছু মানুষ বিশ্বাস করে রাম শুধু একটা পৌরাণিক চরিত্র । কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করি না । "

রাজ্যপালের বক্তব্য

গতকাল এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেছিলেন , "রামায়ণে উড়োজাহাজের উল্লেখ আছে । অর্জুনের তিরে পরমাণু শক্তি ছিল । তাই বিশ্বের কোনও শক্তি ভারতকে উপেক্ষা করতে পারে না । "এই মন্তব্যের পরেই সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে । CPI(M) - এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "রাজ্যপালের পদে আসীন কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে । তাঁদের প্রত্যেকের থেকেই কিছু না কিছু শিখেছি । দুঃখিত, এমন জ্ঞান লাভের সুযোগ কখনও পাইনি । " অন্যদিকে , কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরিও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন । তিনি বলেন, “ রাজ্যপালের এমন অলীক মন্তব্য রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের । আসলে তিনি তো BJP-র লোক । তাই এসব বলছেন । "

কলকাতা, 15 জানুয়ারি : রামায়ণে উড়োজাহাজের উল্লেখ ছিল । অর্জুনের তিরে ছিল পরমাণু শক্তি । গতকাল কলকাতার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে একথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । যা নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা ও কটাক্ষ । আজ নিজের বক্তব্য থেকে কিছুটা পিছু হটলেন রাজ্যপাল । নিজের বক্তব্যের সমর্থনে দোহাই দিলেন বিশ্বাসের । তিনি বলেন ,"আমি বিশ্বাস করি অর্জুনের তিরে এমন কিছু ছিল যা পরমাণু শক্তির মতো ।"

আজ এশিয়াটিক সোসাইটির ফাউন্ডেশন ডে উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান ছিল । সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যপাল । গতকালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সেখানে বলেন , "আপনারা কি বিশ্বাস করেন না যে, 4000 হাজার বছর আগে আমাদের নেতারা বিশ্বকে শাসন করত ? আপনারা কি বিশ্বাস করেন না যে, সঞ্জয় মহাভারতের সমস্ত বিবরণ ধৃতরাষ্ট্রকে দিয়েছিল ? আপনার কি বিশ্বাস করেন না যে, অর্জুনের তির এতটাই শক্তিশালী ছিল যার সঙ্গে পরমাণু শক্তির তুলনা করা যায়? আমি ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি । এটা বলা অনেক সহজ যে, আমার বক্তব্য বিজ্ঞানসম্মত নয় । কিন্তু আমরা পৃথিবীকে এমন কিছু উপহার দিয়েছি যা কোথাও ছিল না । ইতিহাসটা পড়ুন । আমাদের সংস্কৃতিকে জানুন । কিছু মানুষ বিশ্বাস করে রাম শুধু একটা পৌরাণিক চরিত্র । কিন্তু আমি তা বিশ্বাস করি না । "

রাজ্যপালের বক্তব্য

গতকাল এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেছিলেন , "রামায়ণে উড়োজাহাজের উল্লেখ আছে । অর্জুনের তিরে পরমাণু শক্তি ছিল । তাই বিশ্বের কোনও শক্তি ভারতকে উপেক্ষা করতে পারে না । "এই মন্তব্যের পরেই সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে । CPI(M) - এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "রাজ্যপালের পদে আসীন কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে । তাঁদের প্রত্যেকের থেকেই কিছু না কিছু শিখেছি । দুঃখিত, এমন জ্ঞান লাভের সুযোগ কখনও পাইনি । " অন্যদিকে , কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরিও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন । তিনি বলেন, “ রাজ্যপালের এমন অলীক মন্তব্য রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের । আসলে তিনি তো BJP-র লোক । তাই এসব বলছেন । "

Intro:কলকাতা, 15 জানুয়ারি: রামায়ণে উড়োজাহাজের উল্লেখ আছে। আর অর্জুনের তীরে পরমাণু শক্তি ছিল। শহরে একটি বিজ্ঞান কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে গিয়ে গতকাল এমন মন্তব্যই করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আর আজ সেই বক্তব্য থেকে কিছুটা পিছু হটলেন জগদীপ ধনকার। তবে নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতে আঁকড়ে ধরলেন বিশ্বাসের কথা । তাঁর দাবি, “135 কোটির দেশের 25 জন শুধুমাত্র মনে করে আমি অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য করেছি।" বললেন, এটা আমার বিশ্বাস। আমি আমাদের উজ্জ্বল অতীত, উজ্জ্বল ইতিহাস, উজ্জ্বল সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করি। আমি বিশ্বাস করি 4 -5 হাজার বছর আগের সেই ইতিহাস। আমি বিশ্বাস করি অর্জুনের তীরে এমন একটা কিছু ছিল যা পরমাণু শক্তির মত।"


Body:গতকাল তাঁর বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে বুঝতে পেরে নিজের সমর্থনে বেশ কিছু কথা বলার চেষ্টা করেন আজ। এশিয়াটিক সোসাইটির ফাউন্ডেশন ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, “ 135 কোটি দেশে অনেক মানুষই কথাগুলো বিশ্বাস করে। আপনারা কি বিশ্বাস করেন না, 4000 বছর আগে আমাদের নেতারা বিশ্ব শাসন করতো। আপনারা কি বিশ্বাস করেন না সঞ্জয় মহাভারতের সমস্ত বিবরণ ধৃতরাষ্ট্রকে দিয়েছিল? আপনার কি বিশ্বাস করেন না অর্জুনের তীর এতটাই শক্তিশালী ছিল যেটার সঙ্গে পরমাণু শক্তির তুলনা করা যায়? আমি ভারতের উজ্জ্বল ইতিহাস এবং সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি। এটা বলা অনেক সহজ যে আমার বক্তব্য বিজ্ঞানসম্মত নয়। কিন্তু আমরা পৃথিবীতে এমন কিছু দিয়েছি যা কোথাও ছিল না। গোটা পৃথিবী এখন সংস্কৃত কে গুরুত্ব দিচ্ছে। কোন ভাষায় সংস্কৃতের মত বিজ্ঞানসম্মত নয়। আমাদের দেশ থেকে বিশ্বনেতা তৈরি হয়েছিল, বিশ্বের নেতা তৈরি হবে। ইতিহাসটা পড়ুন। আমাদের উজ্জ্বল সংস্কৃতির বিষয়টা জানুন। কিছু মানুষ বিশ্বাস করে রাম শুধু একটা মাইথোলজিক্যাল ফিগার। আমি বিশ্বাস করি না।"

গতকাল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার বলেন, “ 1910 থেকে 11তে প্রথম উড়োজাহাজের কথা জানা যায়নি। আমাদের পুরনো ধর্মগ্রন্থ পড়লে দেখা যায় বিশেষ করে রামায়ণে উড়োজাহাজের উল্লেখ আছে। মহাভারতের একটি অধ্যায়ের যে বর্ণনা সঞ্জয় করেছে সেখানে দেখা যায় অর্জুনের তীরে পরমাণু শক্তি ছিল। তাই বিশ্বের কোন শক্তি ভারতকে উপেক্ষা করতে পারে না। গতকাল কলকাতায় একটি বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। আর তারপরেই হইচই পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন। লিখেন রাজ্যপালের পদে আসীন কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের থেকেই কিছু না কিছু শিক্ষণীয় ছিল। দুঃখিত, এমন জ্ঞান লাভের সুযোগ কখনো পাইনি।"



Conclusion:কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরীও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, “ রাজ্যপালের এখানে অলীক মন্তব্য রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। আসলে উনি তো বিজেপির লোক। তাই এসব বলছেন। জি বাংলা থেকে চারজন নোবেল পেয়েছেন, সেই বাংলার রাজ্যপালের কাছে এমন অলীক কথাবার্তা বড়ই দুঃখের।" পাশাপাশি তার কটাক্ষ, “ রাজ্যপাল এবার সেই তীর মোদির হাতে দিয়ে দেখুন। তিনি দিল্লিতে বসেই যাকে ইচ্ছা তাকে উড়িয়ে দেবেন। সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই। গবেষণার কোন ঝামেলা নেই। প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে বসে একটা করে 30 ছাড়বেন আর পাকিস্তান-আফগানিস্তান সব উড়ে যাবে।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.