কলকাতা, 6 জানুয়ারি: দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকায় সোনা পাচারের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে চোরাকারবারীদের পরিকল্পনা ভেঙে দিচ্ছে বিএসএফ। শুক্রবার রাতে বিএসএফ বর্ডার ফাঁড়ির ঘোজাডাঙার সতর্ক জওয়ানরা 7টি সোনার বিস্কুট-সহ এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর 24 পরগনা জেলার সীমান্ত ফাঁড়ি ঘোজাডাঙা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে চোরাকারবারিরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনার বিস্কুট আনার চেষ্টা করছিল।
বাজেয়াপ্ত করা সোনার বিস্কুটগুলির ওজন 1 কেজি 930 গ্রাম এবং আনুমানিক মূল্য 70 লাখ 33 হাজার 970 টাকা। গ্রেফতার হওয়া চোরাকারবারী ও বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার বিস্কুট পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ঘোজাডাঙা কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধৃত পাচারকারীর নাম আলাউদ্দিন মণ্ডল বয়স 24 ৷ গ্রাম-ঘোজাডাঙা (উত্তরপাড়া), জেলা-উত্তর 24 পরগনা ৷ তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের গোয়েন্দা বিভাগ সোনা চোরাচালানের তথ্যের ভিত্তিতে বর্ডার ফাঁড়ির ঘোজাডাঙার জওয়ানরা 102 নম্বর ব্যাটালিয়ন, বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একটি সন্দেহজনক এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়।
গতকাল প্রায় 11টা 20 নাগাদ, জওয়ানরা একটি সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল চালককে গোজাডাঙা চেকপোস্টের কাছে আসতে দেখে ৷ জওয়ানদের তল্লাশিতে মোটরসাইকেলে লুকনো 7টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয় ৷ এরপর আলাউদ্দিন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, বিএসএফ-এর চোখ থেকে আড়াল করার জন্য এই বিস্কুটগুলো মোটরসাইকেলে লুকিয়ে রেখেছিল সে ৷
জওয়ানদের এই কৃতিত্বে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক একে আর্য্য আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে সামান্য অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে।" তিনি সীমান্তে বসবাসকারীদের কাছে আবেদন করেছেন, তাঁরা যদি সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনও তথ্য পান তবে বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর 14419-এ তথ্য দিতে পারেন। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর 9903472227 চালু করেছে।
আরও পড়ুন: