কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: বাংলায় রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বরাবরই বড় ভূমিকা নিয়েছে ব্রিগেড। অনেক ঐতিহাসিক চরিত্রকে এই ব্রিগেডের ময়দানে দেখেছে মানুষ। রবিবার এই ব্রিগেডের মাটি থেকে আরও একটা ইতিহাস রচনা হল, তৈরি হল রেকর্ডও। এদিন জগৎগুরু শংকরাচার্য এবং পুরীর দৈতাপতির উপস্থিতিতে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ সরাসরি গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে নিল। একইসঙ্গে ব্রিগেডকে পৌঁছে দিল আরও একবার ইতিহাসের পাতায়।
এবার রাজনীতি নয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ব্রিগেডের ময়দানে তৈরি করল ইতিহাস। সবচেয়ে বড় কথা এতদিন ব্রিগেডের মাঠে রাজনীতিকে সবসময় দেখা গেছে ফ্রন্ট সিটে। এবার ব্রিগেডের সমাবেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা থাকলেন পিছনের সারিতে। এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে সাধু সন্তরাই ছিলেন মঞ্চে। আর শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ কিংবা সুকান্ত মজুমদারেরা সকলেই স্থান পেয়েছিলেন শ্রোতার আসনে। কাজেই এখানে রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, মানুষ শুধু শুনল ধর্মের কথা।
গীতার বিষাদ যোগ, সাংখ্য যোগ, ভক্তিযোগ এবং পুরুষোত্তম যোগ ছিল আলোচনায়। এদিন ব্রিগেডের মাঠে বারবার শোনা গিয়েছে আমাদের সংস্কৃতি সনাতনী পরম্পরার কথা। জগৎ গুরু শংকরাচার্য থেকে শুরু করে পুরীর দ্বৈতাপতি সকলেই বারংবার এই সংস্কৃতি রক্ষার বার্তায় দিয়েছেন। এদিন এই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এই বাংলার পরম্পরা সনাতনী সংস্কৃতি একটা সময় পথ হারিয়েছিল আবার সনাতন সংস্কৃতি তার পুরনো অবয়ব ফিরে পেতে চলেছে।"
এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ব্রিগেডের ময়দানে এই সনাতনী সংস্কৃতিকে রক্ষার বার্তায় দিয়েছেন। যদিও দিনের শেষে আলোচনায় যে রাজনীতি ঢুকে পড়েনি একথা বলা যাবে না। ব্রিগেডে জমায়েতে জনসংখ্যা থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা দেখা গিয়েছে। তবে এরপরও একথা বলতেই হবে রবিবার রাজনীতি নয় প্রথম ধর্মকে সামনে রেখে ব্রিগেড দেখল বাংলা। তাই এব্রিগেড জমায়েত মোদি বা মমতার জন্য নয়, সনাতনী সংস্কৃতি চর্চা এবং গীতার ব্রিগেড এটা।
আরও পড়ুন: