কলকাতা, 4 নভেম্বর: বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার চিকিৎসক অনির্বাণ হাজরার আজ মৃত্যু হয়েছে । তিনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন । চিকিৎসকের ডেঙ্গিতে (Mayor on Dengue Death) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও কলকাতায় এখনও ডেঙ্গির প্রভাব থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, গাফিলতি না থাকলে ডেঙ্গিতে মৃত্যু খুব একটা হয় না । ডেঙ্গি (Firhad on Dengue Death) মহামারির আকার নেয়নি ।
ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে ফিরহাদের (Firhad Hakim) যুক্তি, "ডেঙ্গি হলে মূলত প্লেটলেটটা কমে । আমার বাড়িতেও হয়েছিল । প্রথম দিকে যদি খুব জল খাওয়ানো যায়, আর পরে ডাক্তারকে দেখিয়ে প্লেটলেট দিলে তাহলে ফ্যাটাল খুব কম হয় ।" তাঁর দাবি, মূলত গাফিলতি করে নিজে নিজে ডাক্তারি করতে গিয়ে মারা যায় মানুষ । দু তিন দিন হয়েছে এখন ডেঙ্গিটা একটু কমেছে ৷ তবে গত বছরের তুলনায় এ বার ডেঙ্গির প্রভাব একটু বেশিই পড়েছে বলে স্বীকার করে নেন তিনি । তিনি আরও বলেন, বিষুব রেখার চারদিকে যে সমস্ত শহরগুলি আছে, সেখানে ডেঙ্গির প্রভাব একটু বেশি ।
রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট নিয়ে এ দিন বিরোধীদের পালটা নিশানা করেন ফিরহাদ হাকিম । তিনি বলেন, "বিরোধীরা যেখানে আছে, যেমন কেরলে, সেখানেও ডেঙ্গি হয়েছে । উত্তরপ্রদেশ, সেখানেও প্লেটলেটের বদলে লেবুর রস দিয়ে দেওয়া হয়েছিল । ওরা তো অনেক এক্সপেরিমেন্ট করে প্লাজমা না দিয়ে লেবুর রস দিয়ে দিয়েছিল । বাংলাদেশের ঢাকাতে ডেঙ্গি হয়েছিল । ত্রিপুরাতেও হয়েছিল । সুতরাং ডেঙ্গিটা এখন একটা বিশ্বময় ব্যাপার । আমরা একটু সাবধানে যদি থাকি, তাহলে ডেঙ্গি থেকে আমরা দূরে থাকব । মানুষ যদি সচেতন না হয়, তাহলে যে সরকারই যেখানে আছে, কেউ কিছু করতে পারবে না ।"
আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে মৃত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার
তাঁর কটাক্ষ, "নাটক করতে পারব, হই হই করতে পারব কিন্তু ডেঙ্গি আটকাতে পারব না, যদি না মানুষ সচেতন হয় ।" সংযুক্ত এলাকা 12 ও 10 নম্বর বরো এলাকায় ডেঙ্গির বাড় বাড়ন্ত প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, "গ্রামে কম হয় । এই এলাকাগুলিতে নগরায়ন হয় বলেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে । ডেঙ্গি মশা পরিষ্কার জলে জন্মায় ।"