কলকাতা, 2 মে : NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বেড়ে গেল COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা। এই হাসপাতালে আরও চারজন কোরোনায় আক্রান্ত বলে জানা গেছে। এনিয়ে এখানে COVID-19-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল 13। শনিবার প্রথমে 9 রোগীর শরীরে COVID-19-এর সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া যায়। এই 13 জনের মধ্যে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আরও যে চারজনের শরীরে COVID-19 সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজনের চিকিৎসা চলছিল গাইনো বিভাগে। অন্য তিনজনের চিকিৎসা চলছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে। এই চারজনের মধ্যে তিনজনের সোয়াব নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে শনিবার রাতে। অন্য একজনের রিপোর্ট আসে ওইদিনই সকালে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এই হাসপাতালের গাইনো বিভাগের সাতজন রোগীর শরীরে COVID-19 সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রসবের জন্য এই সাতজনকে ভরতি করা হয়েছিল। তাঁদের জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা ছিল। চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়। সূত্রের খবর, এই সাতজনের সন্তান প্রসব হয়েছে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে প্রসবের পর।
28 এপ্রিল নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা 61 বছর বয়সি এক প্রৌঢ়কে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়েছিল। জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা থাকায় চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। 30 এপ্রিল তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওইদিন তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার জানা যায়, এই প্রৌঢ় COVID-19-এ আক্রান্ত ছিলেন।
প্রথমে আটজন COVID-19 পজ়িটিভ ছিলেন NRS-এ । তাঁদের মধ্যে ছয়জন গাইনো বিভাগে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন । অন্য দুই রোগীর মধ্যে একজনকে ভরতি করা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে, অন্যজন ভরতি ছিলেন মেডিসিন বিভাগে। তাঁদের প্রত্যেকেরই COVID-19-র উপসর্গ হিসেবে জ্বর, সর্দি-কাশি দেখা দেওয়ায়, সোয়াবের নমুনা 30 এপ্রিল সংগ্রহ করা হয়েছিল । গতকাল জানা যায়, এই আটজন রোগীও COVID-19 আক্রান্ত । পরে আরও যে চার রোগী COVID-19 আক্রান্ত হন, তাঁদের মধ্যে একজনের সোয়াবের নমুনা 30 এপ্রিল এবং বাকি তিনজনের সোয়াবের নমুনা 1 মে সংগ্রহ করা হয়েছিল । এদিকে, COVID-19-এ আক্রান্ত NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এই 12 জনকে সংশ্লিষ্ট COVID-19 হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এই রোগীদের মধ্যে একজনকে ইনফেকশাস ডিজ়িজ়েস অ্যান্ড বেলেঘাটা জেনারেল (ID&BG) হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । সূত্রের খবর, ID&BG হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে আসার সময় PPE-র বিভ্রাট দেখা দেয় । কারণ, এই রোগীর অতিরিক্ত ওজনের কারণে যে মাপের PPE ছিল তা তাঁর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাচ্ছিল না ।
COVID-19 আক্রান্তের সংস্পর্শে হাসপাতালের কোন কোন চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী এসেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । তবে তাঁদের মধ্যে কতজনকে কোয়ারানটিনে রাখা হবে এবং কতজনের সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করা হবে, এইসব বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি । এর আগেও এই হাসপাতালে COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে ।কোয়ারানটিনে যেতে হয়েছে বহু সংখ্যক চিকিৎসক-নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীকে ।