কলকাতা, 8 জুলাই: ভোটের বাংলায় অশান্তির মূলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক মৃত্যু, ব্যালট বাক্স লুঠ, ছাপ্পা ভোট থেকে বুথ দখলের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যে নির্বাচন কমিশনার ও মুখ্য সচিবকেই দায়ী করলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন এডিজি নজরুল ইসলাম ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি জানালেন, ভোটের নামে রাজ্যে যে প্রহসন চলছে তার দায় প্রশাসনেরই ৷
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত 15 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের অপদার্থতার কারণেই এত মৃত্যু বলে জানাচ্ছেন নজরুল ইসলাম ৷ তিনি রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকায় রীতিমতো বিরক্ত ৷ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার কেউই প্রথম থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাননি। কলকাতা হাইকোর্টের চাপে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার সিদ্ধান্তে সিলমোহর বসলেও, বাহিনীর জওয়ানদের প্রতি যত্নশীল ছিল না রাজ্য ৷ তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো থেকে শুরু করে ভোটের কাজের দায়িত্ব বন্টনে ছিল চরম গাফিলতি ৷ সেই কারণেই এই অরাজকতা ৷" ইচ্ছাকৃতভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে বলেও দাবি প্রাক্তন এডিজির ৷
শনিবার পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই বাংলার বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় ত্রাস ছড়ায় ৷ বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার,দুই 24 পরগনা, কোচবিহার, মালদায় বাধাহীন তাণ্ডব চলে ৷ মুর্শিদাবাদ ও কোচবিহারেই একাধিক মৃত্যু, বাকি জেলা মিলিয়েও মৃত্যুর তালিকা বেড়ে চলে ৷
আরও পড়ুন: চাকুলিয়ায় ধারাল অস্ত্রের কোপে তৃণমূল প্রার্থীর মৃত্যু, কাঠগড়ায় কংগ্রেস
শুধু তাই নয়, পুলিশের সামনে বাদুড়িয়ার একটি বুথে একেবারে ফিল্মি কায়দায় ঢুকে দেদার চলে ছাপ্পা ভোট। কুলতুলিতেও বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা ভোট শুধু নয় ব্যালট বাক্স পুলিশ নিয়ে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে চলে ধস্তাধস্তি ৷ গুলিবিদ্ধও হন সিপিএম কর্মী ৷ রাতুয়াতেও সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে বুথ দখল হয় ৷ একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনার দায় আসলে কার ? পুলিশ, প্রশাসন না কি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ? নজরুল ইসলামে স্পষ্ট কথা, রাজ্য-প্রশাসন চায়নি বলেই বাংলায় শান্তিপর্ণ পঞ্চায়েত ভোট করা গেল না ৷