কলকাতা, 10 মার্চ: ডিএ (DA Issue) নিয়ে লাগাতার আন্দোলনে সুর চওড়া করেছেন সরকারি কর্মীরা। আজকের ধর্মঘটে তার ছবি স্পষ্ট হল। অন্যদিনের থেকে এদিনের ছবি থাকল আলাদা। মিশ্র প্রভাব পড়ল ধর্মঘটে। বিভিন্ন বিভাগে বেলা গড়ালেও ফাঁকা রইল কর্মীদের চেয়ার-টেবিল। এই ধর্মঘটকে রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র বললেন সম্পূর্ণ বিফল। পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের বেনজির আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, কেউ না-দেখুক শ্বশুরবাড়ির লোক দেখছে। দেখো জামাইকে টিভিতে দেখা যাচ্ছে।
ডিএ আন্দোলন নিয়ে প্রথম থেকে সরকার ও কর্মীদের মধ্যে অনড় মনোভাব। কর্মীরা বকেয়া ডিএ নিয়ে লাগাতার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি ভবন থেকে কলকাতা কর্পোরেশন চলছে বিক্ষোভ, অবস্থান। আজ ধর্মঘটে এই প্রথম কর্মীদের প্রত্যেক গেটে ব্যাপক জমায়েত দেখা মিলেছে। স্লোগান দিয়ে হাতে ইউনিয়নের ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে পিকেটিং করতে দেখা যায়। এদিকে ভিতরে বিভিন্ন বিভাগে দীর্ঘ সময় ফাঁকা ছিল কর্মীদের বসার চেয়ার।
ধর্মঘট প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "অন্যদিনের মতই কাজ হয়েছে। 90-95 শতাংশ কর্মী কাজ করেছেন। ধর্মঘট বিফল। কারণ মানুষ কমিটেট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কর্ম দিবস ক্ষতি করায় বিশ্বাস করে না। তাই কোনও কর্মদিবস ক্ষতি হয়নি।"
আরও পড়ুন: 'ইনিবিনি টাপাটিনি, ডিএ চোর দিদিমণি' স্লোগানে সরগরম আসানসোল
এরপর তিনি দাবি করেন, "আপনারা টিভি দেখাতে বন্ধ করলে যারা অনশন করছিল শিবির গুটিয়ে চলে যেত। বিরোধী দলের লোক যাচ্ছে আপনারা টিভিতে দেখাচ্ছেন। এরপর তিনি আরও বলেন, "কেউ না-দেখুক শ্বশুরবাড়ির লোক দেখছে। দেখো জামাইকে টিভিতে দেখা যাচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অনশন মঞ্চে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, উনি রাস্তায় ঘুরলে তো আপনারা দেখবেন না।" এদিন ফিরহাদ মন্তব্যে স্পষ্ট হয় সামাজিক প্রকল্প বন্ধ করে কিছু দেওয়া হবে না। 3 শতাংশ বলা হয়েছে। যেদিন ক্ষমতা আরও বাড়বে তখন দেওয়া হবে। এসএফআই বিধানসভা অভিযান নিয়েও কটাক্ষ করে বলেন, "বিজেপিকে টিভিতে দেখাচ্ছে ওরা তাই প্রতিযোগিতা করছে। ওদের কিছু করতে হবে।"