বানতলা, 24 অক্টোবর: দীপাবলির দুপুরে শহরে অগ্নিকাণ্ড । কালীপুজোর দুপুরে বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে একটি চামড়া ও রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে (Fire breaks out at leather complex in Bantala)। ঘটনায় কমপ্লেক্সের ছাদে আটকে পড়েন 11 জন। লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকে পড়া 11 জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের 5টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। সেই কারণে তিন দফায় প্রথমে 10 টি এবং পরে আরও একটি করে ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে। শেষ পর্যন্ত দমকলের 17টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় সন্ধে সাড়ে 6টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় (Fire brought under control with the help of 17 fire engines)।
সাইক্লোব সিত্রাং'য়ের জেরে সকাল থেকেই হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান দমকল আধিকারিকরা ৷ বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেটের পাঁচ নম্বর জ়োনে একটি গুদামে চামড়ার জিনিসপত্র মজুত রাখা ছিল। সেখানেই এদিন আগুন লাগে ৷ তবে কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে দমকল প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে ৷ আটকে পড়া সকলকে উদ্ধারের পরও বিল্ডিংয়ের ভিতর আরও কেউ আটকে রয়েছেন কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখেন দমকল আধিকারিকরা। আগুনের অভিঘাতে 2 জন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: কলকাতা বেঁচে গেলেও সিত্রাংয়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দুই চব্বিশ পরগনায়
সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের ওই গুদামে আগুন লাগে। চামড়ার সামগ্রী মজুত থাকার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে। ইতিমধ্যেই দমকলের কর্মীরা হাইড্রোলিক ল্যাডার ব্যবহার করে হোসপাইপ দিয়ে আগুন আয়ত্তে আনেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)।