কলকাতা, 25 এপ্রিল: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে আগুন! মঙ্গলবার বিকেলে মেডিক্যাল কলেজের ইউপিএসসি রুমে কম্পিউটারে শর্ট-সার্কিটের কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না-পড়ে তার জন্য সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দমকলের 6টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে তৎপরতার সঙ্গে দমকলের আধিকারিকরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। আগুনে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সেইভাবে কোনও খবর পাওয়া না গেলেও ব্যস্ত সময় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আগুন লাগার ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। হুড়োহুড়ি বেঁধে যায় হাসপাতাল চত্বরে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী এবং কর্মীরাই প্রথম ইউপিএস রুমের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন।
এরপরেই হাসপাতালের ভরতি রোগীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রাখা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র প্রথম পর্যায়ে কাজে লাগানো হয়। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং দমকলে। সংশ্লিষ্ট জায়গায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু মজুত থাকার ফলে আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দমকল সূত্রের খবর, তারা ঘটনার অনতিপরেই কালো ধোঁয়ার পরিবর্তে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সাদা ধোঁয়া বেরোতে দেখেন ৷ যা দেখে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড সল্টলেকের বস্তিতে, পুড়ে ছাই বহু ঝুপড়ি
যাতে রোগীর আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে ভিড় যাতে না-জমাতে পারেন তার জন্য পুরো জায়গাটি ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় পুলিশ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের তরফে। জানা গিয়েছে, একাধিক দাহ্য বস্তু থাকায় অগ্নিকাণ্ডের পর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় দোতলার বিভিন্ন ঘর। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে খুব বেশি কসরত করতে হয়নি পুলিশকে ৷ যদিও এই ঘটনায় হতাহত ও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই ৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরে দমকল কর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল ভালোভাবে ঘুরে দেখছেন ৷ ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখছে ৷