কলকাতা, 10 মার্চ: বেনারসের ঘাটে আরতির আদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় বাঁজা কদমতলা ঘাটে (Baja Kadamtala Ghat in Kolkata) শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি (Ganga Arati)। মুখ্যমন্ত্রী নাম দিয়েছেন আরতি বন্দনা। সপ্তাহখানেক হতে চলল উদ্বোধনের পর থেকে এই আরতির। তবে আগামিদিনে এই আরতি চালিয়ে নিয়ে যেতে হলে পরিকাঠামো গত খরচ, উপকরণ, পুরোহিত পারিশ্রমিক কীভাবে দেওয়া হবে? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হল পৌর বৈঠকে।
বেনারসের গঙ্গার ঘাটে সন্ধ্যা আরতি ঘিরে থাকে ভক্তদের মধ্যে এক আলাদা উন্মাদনা। দীর্ঘ বছর ধরেই এই আরতি হয় নিয়মিত। আর সেই আরতি দেখতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাওয়া ভক্তরা, এমনকী বিদেশের পর্যটকরাও ভিড় জমান ঘাটগুলিতে। অনেক জায়গাতেই নৌকা ভাড়া করে সেই সুন্দর আরতীর মুহূর্ত মানুষজন উপভোগ করেন। তবে কলকাতার বাঁজা কদমতলা ঘাটে আরতি শুরু হলেও দর্শক খুব একটা আসছে না। আগেই জানানো হয়েছিল গরমের সময় সন্ধ্যা 7টায় প্রতিদিন আর শীতে সন্ধ্যা 6টা নাগাদ এই আরতি হবে। ফলে নিয়মিত আরতি করা হবে কি না, তাই নিয়েই কর্তৃপক্ষের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, পুরো এলাকায় যে আলো লাগানো হয়েছে তার বিদ্যুৎ খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কর্পোরেশন বহন করবে। সাফাই কাজও করবে কলকাতা কর্পোরেশন। দর্শনার্থীদের বসার জন্য চেয়ার সাজানো ও তোলার জন্য চুক্তি ভিত্তিক কর্মী থাকবে। তবে আরতির উপকরণ, পুরোহিতদের পারিশ্রমিক কোনওটাই সরকার বা কর্পোরেশনকে দিতে হবে না। সেটা বেহালার একটি মন্দির কমটি দায়িত্ব নিচ্ছে। আরতি বন্দনার খরচ নিয়ে পৌরনিগমের এক বৈঠক হয় মেয়র পরিষদ সদস্য তারক সিংয়ের নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন: তিলোত্তমায় এবার বারোমাস গঙ্গা আরতি, উদ্বোধন করলেন মমতা
বৈঠকে এদিন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার ও সচিব হরিহর প্রসাদ মণ্ডলও ছিলেন। এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক বলেন, "প্রাথমিকভাবে এই আরতির সামগ্রিক খরচ নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন ছিল। সেই সংশয় কাটল। পুরোহিত বা আরতি উপকরণ নিয়ে চাপ থাকল না কলকাতা কর্পোরেশনের। তবে বাকিটা কর্পোরেশন করবে। আর নিরাপত্তার বিষয়টি কলকাতা পুলিশ দেখে দেবে বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অনেক আধিকারিক বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করছেন। তাঁদের মতে সপ্তাহে ছুটির দিন করা হোক।