ETV Bharat / state

Governor Gherao in 30 States: নভেম্বরের শেষে 3 দিন 30 রাজ্যপালকে ঘেরাও! হুঁশিয়ারি কৃষক সংগঠনের

নভেম্বরের শেষে 3 দিন 30 রাজ্যপালকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিল কৃষক সংগঠনগুলি ৷ মঙ্গলবার কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে কৃষকসভার ডাকে অনুষ্ঠিত হয় কৃষক সমাবেশ ৷

Governor Gherao in 30 States
কৃষক সমাবেশ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 19, 2023, 6:20 PM IST

কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: সব ফসলের সহায়ক মূল্য, স্মার্ট মিটার বন্ধ-সহ একাধিক দাবিতে দেশ জুড়ে রাজ্যপালদের ঘেরাও করবে কৃষকরা । নভেম্বরের 26,27,28 তারিখে 30 রাজ্যের রাজ্যপালদের ঘেরাও করার ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে । মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভার ডাকে কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয় । সেখান থেকেই এমনটা হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে কৃষকসভার সদস্যদের ৷

Governor Gherao in 30 States
রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে কৃষক সমাবেশ

সারা ভারত কৃষক সভার সহ-সভাপতি (এআইকেএম) হান্নান মোল্লা বলেন, "কেন্দ্রের সরকার কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে । তাই অন্নদাতাদের এই আন্দোলন প্রথমে দিল্লি কেন্দ্রিক হবে ৷ পরে সারা ভারতে ছড়িয়ে পরবে । আগামী 26,27,28 নভেম্বরে 30 রাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যপালকে ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রকে অন্নদাতাদের ক্ষোভের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে ।"

এ দিনের সমাবেশে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকরা জড়ো হন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে । সেখানে সারা ভারত কৃষকসভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে বলেন, "কৃষক ভালো নেই । ধান, পাট, আলু, সমস্ত ক্ষেত্র বিপন্ন । জল নেই, সেচ নেই, ধানে পোকা লেগেছে । আলুর দাম নেই । লোকসানে চলছে । কী হবে পাট চাষের? বিস্তীর্ণ এলাকায় দূরবস্থা । তিন-সাড়ে তিন হাজার কুইন্টাল জল নেই । সাবমারশিবেল দিয়ে পাট পচাতে হচ্ছে । উৎপাদন খরচ বাড়ছে । শুধু ডেপুটেশনে হবে না । পথে নামতে হবে । জুট কর্পোরেশনের অফিস ঘিরতে হবে ।"

Governor Gherao in 30 States
কৃষক সমাবেশে রাজ্যপালকে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

আরও পড়ুন: আলুর দাম তলানিতে, মাথায় হাত চাষিদের

তিনি আরও বলেন, "পেঁয়াজ চাষিদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না । গত বছর দাম মেলেনি । স্ত্রীরা আতঙ্কে । বাড়ির পুরুষরা আত্মহত্যা করতে পারে । শহরের মানুষদের এটা উপলব্ধি করতে হবে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । কথায় বাস্তবায়িত হল সেগুলো? ভেজাল সারে বাজার ছেয়ে গিয়েছে । সরকার কোথায়? নদী হেক্টরের পর হেক্টর জমি গিলছে । দুই সরকার নীরব । কোনও ভূমিকা নেই । মানুষ হাউহাউ করে কাঁদছে । সরকার আর কবে নদীতে বাধ দেবে ?" হান্নান মোল্লার কথায়, কৃষক আন্দোলন দেশে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে । কৃষকরা পারলে বাকিরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে পারবেন । মোদি অপরাজেয়, এই ধারনা ভেঙেছে কৃষকরা । দিন বদল আনতে শ্রমিক কৃষকের ঐক্য গড়তে হবে । সেই কাজ শুরু হয়েছে ।

তিনি বলেন, "আমরা বাংলার জেলায় জেলায় গিয়েছি । লাল ঝান্ডার কর্মীদের তৃণমূল খুন করেছে । তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি । তারা এত আক্রমণ সত্ত্বেও লাল ঝান্ডা ছাড়েননি । সমস্ত জেলায় মানুষ তৈরি হচ্ছেন । সমস্ত কৃষি ঋণ মুকুব করতে হবে । এমএসপি চাই সমস্ত ফসলে । এমএসপি হবে চাষের খরচের দেড়গুন । গোটা রাজ্যের কৃষকের এটাই দাবি । ধানে ধার্য হওয়া কেন্দ্রীয় হারে এমএসপি এরাজ্যের কৃষকরা পান না । একজনও পান না । কেরালা সেখানে 2850 টাকা দেয় ধানের কুইন্টাল পিছু । এটা কেন্দ্রীয় হারের থেকেও 800টাকা বেশি । সেখানে তৃণমূল এ রাজ্যে দেয় না কেন? ধানের পাশাপাশি আলুর জন্যও এমএসপি চায় । আলুর কুইন্টাল পিছু ন্যুনতম 1 হাজার টাকা চাই । কিন্তু রাজ্য সরকার বলেছে 600 টাকা দেবে । আর কৃষক পাচ্ছে 200-300। আদানি মোদি মমতা উভয়ের গুরু । দুই সরকার বৃহৎ পুঁজি এবং কর্পোরেটকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কাজ করে ।"

Governor Gherao in 30 States
নভেম্বরের শেষে 3 দিন 30 রাজ্যপালকে ঘেরাও

আরও পড়ুন: বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ছাড়াই এবার কৃষকদের থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে ধান কিনবে সরকার

কৃষকদের মূল দাবি, বর্গা -পাট্টা-রায়তি অনধিকার রক্ষা করতে হবে । ধান পাট আলু-সহ সব ফসলের সহায়ক মূল্য দিতে হবে । অবিলম্বে 100 দিনের কাজ চালু করতে হবে । পশ্চিমবজ্ঞের মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার গঙ্গা-সহ সমস্ত এলাকায় নদী ভাঙন রোধ করতে হবে । কারণ এই ভাঙনের জেরে প্রতিদিন ঘরবাড়ি, চাষের জমি, রান্নার জায়গা সব কিছু নদী গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে । মুহূর্তেই ভিটেমাটিহীন হচ্ছে হাজার মানুষ । তাই নদী ভাঙন রুখতে হবে ।

কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: সব ফসলের সহায়ক মূল্য, স্মার্ট মিটার বন্ধ-সহ একাধিক দাবিতে দেশ জুড়ে রাজ্যপালদের ঘেরাও করবে কৃষকরা । নভেম্বরের 26,27,28 তারিখে 30 রাজ্যের রাজ্যপালদের ঘেরাও করার ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে । মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভার ডাকে কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয় । সেখান থেকেই এমনটা হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে কৃষকসভার সদস্যদের ৷

Governor Gherao in 30 States
রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে কৃষক সমাবেশ

সারা ভারত কৃষক সভার সহ-সভাপতি (এআইকেএম) হান্নান মোল্লা বলেন, "কেন্দ্রের সরকার কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে । তাই অন্নদাতাদের এই আন্দোলন প্রথমে দিল্লি কেন্দ্রিক হবে ৷ পরে সারা ভারতে ছড়িয়ে পরবে । আগামী 26,27,28 নভেম্বরে 30 রাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যপালকে ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রকে অন্নদাতাদের ক্ষোভের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে ।"

এ দিনের সমাবেশে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকরা জড়ো হন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে । সেখানে সারা ভারত কৃষকসভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে বলেন, "কৃষক ভালো নেই । ধান, পাট, আলু, সমস্ত ক্ষেত্র বিপন্ন । জল নেই, সেচ নেই, ধানে পোকা লেগেছে । আলুর দাম নেই । লোকসানে চলছে । কী হবে পাট চাষের? বিস্তীর্ণ এলাকায় দূরবস্থা । তিন-সাড়ে তিন হাজার কুইন্টাল জল নেই । সাবমারশিবেল দিয়ে পাট পচাতে হচ্ছে । উৎপাদন খরচ বাড়ছে । শুধু ডেপুটেশনে হবে না । পথে নামতে হবে । জুট কর্পোরেশনের অফিস ঘিরতে হবে ।"

Governor Gherao in 30 States
কৃষক সমাবেশে রাজ্যপালকে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

আরও পড়ুন: আলুর দাম তলানিতে, মাথায় হাত চাষিদের

তিনি আরও বলেন, "পেঁয়াজ চাষিদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না । গত বছর দাম মেলেনি । স্ত্রীরা আতঙ্কে । বাড়ির পুরুষরা আত্মহত্যা করতে পারে । শহরের মানুষদের এটা উপলব্ধি করতে হবে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । কথায় বাস্তবায়িত হল সেগুলো? ভেজাল সারে বাজার ছেয়ে গিয়েছে । সরকার কোথায়? নদী হেক্টরের পর হেক্টর জমি গিলছে । দুই সরকার নীরব । কোনও ভূমিকা নেই । মানুষ হাউহাউ করে কাঁদছে । সরকার আর কবে নদীতে বাধ দেবে ?" হান্নান মোল্লার কথায়, কৃষক আন্দোলন দেশে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে । কৃষকরা পারলে বাকিরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে পারবেন । মোদি অপরাজেয়, এই ধারনা ভেঙেছে কৃষকরা । দিন বদল আনতে শ্রমিক কৃষকের ঐক্য গড়তে হবে । সেই কাজ শুরু হয়েছে ।

তিনি বলেন, "আমরা বাংলার জেলায় জেলায় গিয়েছি । লাল ঝান্ডার কর্মীদের তৃণমূল খুন করেছে । তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি । তারা এত আক্রমণ সত্ত্বেও লাল ঝান্ডা ছাড়েননি । সমস্ত জেলায় মানুষ তৈরি হচ্ছেন । সমস্ত কৃষি ঋণ মুকুব করতে হবে । এমএসপি চাই সমস্ত ফসলে । এমএসপি হবে চাষের খরচের দেড়গুন । গোটা রাজ্যের কৃষকের এটাই দাবি । ধানে ধার্য হওয়া কেন্দ্রীয় হারে এমএসপি এরাজ্যের কৃষকরা পান না । একজনও পান না । কেরালা সেখানে 2850 টাকা দেয় ধানের কুইন্টাল পিছু । এটা কেন্দ্রীয় হারের থেকেও 800টাকা বেশি । সেখানে তৃণমূল এ রাজ্যে দেয় না কেন? ধানের পাশাপাশি আলুর জন্যও এমএসপি চায় । আলুর কুইন্টাল পিছু ন্যুনতম 1 হাজার টাকা চাই । কিন্তু রাজ্য সরকার বলেছে 600 টাকা দেবে । আর কৃষক পাচ্ছে 200-300। আদানি মোদি মমতা উভয়ের গুরু । দুই সরকার বৃহৎ পুঁজি এবং কর্পোরেটকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কাজ করে ।"

Governor Gherao in 30 States
নভেম্বরের শেষে 3 দিন 30 রাজ্যপালকে ঘেরাও

আরও পড়ুন: বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ছাড়াই এবার কৃষকদের থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে ধান কিনবে সরকার

কৃষকদের মূল দাবি, বর্গা -পাট্টা-রায়তি অনধিকার রক্ষা করতে হবে । ধান পাট আলু-সহ সব ফসলের সহায়ক মূল্য দিতে হবে । অবিলম্বে 100 দিনের কাজ চালু করতে হবে । পশ্চিমবজ্ঞের মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার গঙ্গা-সহ সমস্ত এলাকায় নদী ভাঙন রোধ করতে হবে । কারণ এই ভাঙনের জেরে প্রতিদিন ঘরবাড়ি, চাষের জমি, রান্নার জায়গা সব কিছু নদী গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে । মুহূর্তেই ভিটেমাটিহীন হচ্ছে হাজার মানুষ । তাই নদী ভাঙন রুখতে হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.