কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: চলতি বছর শেষে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিলে স্বাক্ষর করতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । রাজভবনে পড়ে থাকা 22টি বিলের মধ্যে বিশেষ করে রাজ্য সরকার বা বিভাগীয় পদস্থ আধিকারিকের কাছ থেকে কিছু বিষয়ে উত্তর পাওয়ার প্রয়োজন ছিল । যে বিলগুলিতে সন্তোষজনক উত্তর এসেছে, সেগুলি খুব দ্রুত স্বাক্ষর করে নবান্নে পাঠানো হতে পারে বলে রাজভবন সূত্রে খবর ।
কারণ, বহুদিন ধরে পড়ে থাকা একাধিক বিল বা ফাইল নিয়ে গত দু-একদিনে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে । রাজ্য সরকার বা বিভাগীয় পদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনার সঙ্গে সঙ্গে ফাইলে বা বিলে স্বাক্ষর করতে পারেন রাজ্যপাল । তবে, যে বিলগুলি বিচারবিভাগীয় বিষয়ে আছে এবং রাষ্ট্রপতির সুপারিশ বা মতামতের প্রয়োজন সেগুলি এই মুহূর্তে ছাড়া হবে না বলে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে ।
ওই সূত্রের দাবি অনুযায়ী, খুব দ্রুত ছাড়ার পর্যায়ের সম্ভাব্য বিলগুলি হল - দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল এলআর অ্যান্ড টিটি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল 2022, দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল লেবার ওয়েলফেয়ার ফান্ড (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল 2023, দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সেশন ট্রাইব্যুনাল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল 2022, দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল অরফ্যানেজেস অ্যান্ড উইডোস হোমস (রিপিলিং) বিল 2023, দ্য কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল 2023, দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি (প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল 2023 ইত্যাদি ।
জানা গিয়েছে যে এই বিলগুলির কোনোটা বিভাগীয় মুখ্যসচিব, কোনোটা রাজ্যের অতিরক্ত মুখ্যসচিব কিংবা মুখ্যসচিবের সঙ্গে রাজ্যপালের একান্ত বৈঠকের পরই স্বাক্ষর হবে । কারণ, এই সমস্ত বিলগুলি নিয়ে রাজভবনের বেশকিছু 'জিজ্ঞাস্য' আছে । আলোচনায় সদুত্তর মিললেই 'স্পিড' মোডে স্বাক্ষর করবেন রাজ্যপাল ।
উল্লেখ্য, বিধানসভায় পাশ হওয়া একাধিক রাজভবনে আটকে পড়ে আছে বলে রাজ্য সরকার বা শাসক দলের বহুদিনের অভিযোগ । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বটেই এমনকি, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও এই বিষয়ে সুর চড়াতে দেখা যায় । পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই গত নভেম্বরে প্রথম সপ্তাহে রাজভবনে থেকে 22টি বিলের তৎকালীন পরিস্থিতির কথা জানানো হয় । তাতে স্পষ্ট বলা হয়, "রাজভবনে কোনও বিল আটকে নেই ।’’
ইচ্ছাকৃত আটকে রাখার যে অভিযোগ তোলা হয়, তা খণ্ডন করতেই বিলের তৎকালীন পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয় । একই সঙ্গে বলা হয়, রাজ্যপাল পড়ে থাকা বিলগুলি দ্রুত স্বাক্ষর করতে স্পিড বা সিম্প্লিফায়েড প্রোগ্রাম অফ আরলি অ্য়ান্ড ইফেক্টিভ ডিসপোজাল চালু করেছেন । বৃহস্পতিবার রাজভবন সূত্রের খবর, সেই প্রোগ্রামের মাধ্যমেই একাধিক বিলে স্বাক্ষরের চেষ্টা চলছে । চলতি বছর শেষের আগেই রাজ্যের এক শীর্ষ পদাধিকারীর সঙ্গে আলোচনাও বসতে পারেন রাজ্যপাল ।
অন্যদিকে যে বিলগুলি ছাড়া হবে না, সেগুলি হল - দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোটেকশন অফ ইন্টারেস্ট অফ ডিপোজিটরস ইন ফাইন্যান্সিয়াল এস্টাবলিশমেন্টস বিল 2013, ডানলপ ইন্ডিয়া (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং) বিল 2016, জেসপ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং) বিল 2016, দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাকুইজিশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল 2017 ৷
আরও পড়ুন: