কলকাতা, 4 মার্চ: প্রান্তিক নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুদের সুষম খাবার বা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার দেওয়ার সরকারি ও কর্পোরেশন স্কুলগুলিতে কেন্দ্রের অনুদানে দেওয়া হয় মিড-ডে মিল (Mid Day Meal Controversy in Kolkata Corporation School)। সপ্তাহের বেশ কয়েক দিন থাকে ডিম ৷ আর নিরামিষের দিন হলে পাতে পরে সয়াবিন । অথচ কলকাতার বেশ কিছু পৌর প্রাথমিক স্কুলে দেওয়া হচ্ছে না ডিম-সহ কোনও আমিষ । সম্প্রতি মাসিক অধিবেশনে এমনই বিষয়টি জানিয়েছিলেন বেহালার তৃণমূল কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় ।
মাসিক অধিবেশনে তিনি বলেন, "বেহালার পৌর প্রাথমিক স্কুলে ছেলে মেয়েদের খাবার বন্টনের জন্য যিনি কাজ করেন তাঁরা মাসে 1500 টাকা মজুরি পান । সারা বছরে তিনি 10 মাসের টাকা পান । এত কম টাকায় কেউ রাজি হচ্ছে না কাজ করতে । কলকাতা কর্পোরেশনের মাধ্যমে যে এনজিও স্কুলে মিড ডে মিল দেয় তারা শুধুই নিরামিষ খাবার সরবরাহ করছে ।" অবিলম্বে এই বিষয় নজর দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন ৷
এই প্রস্তাবের উপর কলকাতা কর্পোরেশনের শিক্ষা বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য সন্দীপন সাহা জানান, কলকাতার প্রায় 130টিরও বেশি স্কুলে কমিউনিটি কিচেন মারফত একটি ধর্মীয় সংগঠন এই মিড ডে মিলের খাবার দিয়ে থাকে । তারা তাই সবটাই নিরামিষ দেন । নিয়ম করে পনিরও থাকে খাবারের তালিকায় । দেওয়া হয় ফলও। পাশাপশি রাজ্যের নিয়মানুয়ায়ী খাবার বন্টনে যুক্ত কর্মীদের বেতন নিয়ে কিছু করা যাবে না বলেই জানান ।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর অভিযোগের মাঝেই মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল
এই বিষয়ে খাদ্যগুণ বিশেষজ্ঞ লয়লা খালিদ জানান, "কখনোই প্রাণীর ফুডের সঙ্গে শাক সবজির মিল হয় না । প্রাণীজ ফুডের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকে । যা কখনোই শাক সবজিতে হয় না । তবে এর সঙ্গে দুধ দিলে লাভ হবে ৷" কলকাতায় এক সময় মিড ডে মিল সরবরাহের সঙ্গে অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা যুক্ত ছিলেন । এরপর চালু হয় মিশন মোড। যা টেন্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা দায়িত্ব নেয় ৷ তারাই সেই খাবার পরিবেশন করে মিড ডে মিলের ।