কলকাতা, 18 অক্টোবর: আইনের বাইরে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কিছু করবে না । যেসব চাকরিপ্রার্থী আগে ইন্টারভিউ দিয়েছেন, তাঁরা আর ইন্টারভিউ দিতে চাইছেন না ৷ তাঁরা চাইছেন ইন্টারভিউ না-দিয়ে চাকরি পেতে ৷ চাকরিপ্রার্থীদের সেই দাবি বিধিসম্মত নয় ৷ তাদের দাবি বোর্ড বা সরকার মেনে নেবে না । মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নবনিযুক্ত সভাপতি গৌতম পাল (New president of West Bengal Board of Education Gautam Pal) ৷
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর থেকে করুণাময়ী এপিসি ভবনের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন 2014 সালের টেট উত্তীর্ণরা ৷ তাঁদের দাবি আট বছর ধরে তাঁরা চাকরি পাননি ৷ 20 হাজার নিয়োগ হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ এখনও 7 হাজারও নিয়োগ হয়নি ৷
এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি বলেন, "2014 সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা একটা মঞ্চ তৈরি করেছে ৷ সেটি একতা মঞ্চ । আমি তাঁদের মধ্যে 4 জনের সঙ্গে কথা বলেছি । 2020 সালে 16 হাজার 500 নতুন পদ তৈরি হয় । 2021 সালে নিয়োগ হয় 13 হাজার 465 জনের ৷ 2014 সালে টেট পাশ প্রার্থীরা দুবার ইন্টারভিউ প্রসেসের সুযোগ পেয়েছে । চাকরিপ্রার্থীদের আবেগের সঙ্গে সহমর্মিতা পোষণ করছি ।"
গৌতম পাল আরও বলেন, "রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করছে অর্থাৎ এই আন্দোলন জিইয়ে রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷ রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটাবেন না আমি অনুরোধ করছি ।"
তিনি বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "যারা আন্দোলন করছেন তাঁদের বলব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন । আইনের বাইরে গিয়ে বোর্ড কিছু করবে না । তাদের দাবিটা বিধিসম্মত নয়, এমন দাবি বোর্ড বা সরকার মেনে নেবে না । আগামিদিনে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হবে । দু'বছরের মধ্যে টেট পাশ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরা কেউ বসে থাকবে না । যাদের বয়স পেরিয়ে গেছে তাদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে । এটা একটা বড় প্রক্রিয়া । আইন মেনে করতে হবে । পরবর্তী নিয়োগে স্বচ্ছতার সঙ্গে সংবিধি মেনে টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে । ইন্টারভিউ ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হবে । প্রার্থীদের নামের পাশে তালিকায় নম্বর দিয়ে দেওয়া থাকবে ৷ নম্বরের সঙ্গে ওএমআর সিটের (OMR Sheet) ফটোকপি দিয়ে দেওয়া হবে ৷"
আরও পড়ুন: রাত গড়িয়ে সকাল, এপিসি ভবনের সামনে ধরনায় টেট উত্তীর্ণরা
আরও বলেন, "চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে ৷ বোর্ডের বিপক্ষে 18টি মামলা রয়েছে । এটি যেহুতু বিচারাধীন তাই এই প্রসঙ্গে আমি কিছু বলব না । তাঁরা জল-খাবার বর্জন করছেন, আর আমরা জল-খাবার খাওয়ার সময় পাচ্ছি না ।"