কলকাতা, 27 মে: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে এসেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর ৷ ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই ও ইডি'র তদন্তকারীরা ৷ জানা গিয়েছে, তাঁর একাধিক কোম্পানির দেখভালের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারের বয়ানে সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দেওয়া বয়ানের অসঙ্গতি রয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ একই প্রশ্ন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এবং তাঁর ম্যানেজারকে পৃথক পৃথক দিন করা হলে তারা দুজনে একই প্রশ্নের দু'রকম উত্তর দিয়েছেন বলে খবর । ফলে কোনটা ঠিক তা জানতে এবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং তাঁর ম্যানেজারকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণভদ্রকে আগামী মঙ্গলবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি । এর আগে তাঁর বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অনেক ডিজিটাল নথিপত্র এবং তার ব্যবহার করা মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা ৷ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের একাধিক সংস্থার দেখভালের দায়িত্বে যিনি ছিলেন সেই ব্যক্তিকেও তলব করে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছেন ইডি তদন্তকারীরা ।
ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মাঝেমধ্যেই তাঁর বিভিন্ন সংস্থায় টাকা জমা দেওয়ার কথা বলতেন । একাধিক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন, তবে কী কথা হতো সেই সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি । পাশাপাশি এই সকল টাকা শুধুমাত্র যে শুধু বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানিতে জমা পড়ত তেমনটা নয় বরং এই টাকার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও । রয়েছে তাঁর বিভিন্ন ব্যবসাও । এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের ৷
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 'কালীঘাটের কাকু'কে তলব ইডির
অভিযোগ, বিভিন্ন জেলায় যারা এজেন্ট ছিল তাদের কাছ থেকে সরাসরি মোটা অংকের টাকার কমিশন চলে আসতো সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে এবং সেই টাকা গচ্ছিত রাখার জন্য খোলা হয়েছিল একাধিক নকল সংস্থা বা ভুয়ো কোম্পানি । মূলত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখতে চাইছেন যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কোটি কোটি টাকার যে উৎস তা কোথা থেকে এসেছিল ।