কলকাতা, 16 জানুয়ারি: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হওয়া শংকর আঢ্যের কলিং স্ট্রিটের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক বাংলাদেশি মুদ্রা। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ওই বিদেশি মুদ্রাগুলি বাজেয়াপ্ত করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় 6 লক্ষ টাকা। কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ওই অফিসে রাখা ছিল তা খতিয়ে দেখছে ইডি।
গতকাল রফি আহমেদ কিদুয়াই রোডের একটি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ওই উদ্ধার হওয়া নথিপত্র পরবর্তীকালে তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এবার ধৃত শংকর আঢ্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। পাশাপাশি রফি আহমেদ কেদুয়াই রুটের একটি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মীর নামও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ধীরে ধীরে এই কর্মীদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও শঙ্করা আঢ্যের এক পরিচিতের বাড়িতে গতকাল রাতে আচমকাই হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফের জওয়ানরা। আরএন মাইতি নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি যাদবপুরে ৷ সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ আচমকাই হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, শংকর আঢ্যের সঙ্গে এই আরএন মাইতির একটি লিঙ্ক তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন। ফলে রাত জেগে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে আর এর জট কোথায় গিয়ে শেষ হবে, তার উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত 5 জানুয়ারি সকালে বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় 17 ঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি দাবি করে, শঙ্কর রেশন মামলায় ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর ঘনিষ্ঠ। হাসপাতালে মন্ত্রীর সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে শঙ্কর যোগাযোগ রেখেছিলেন বলেও ইডি দাবি করে।
আরও পড়ুন: