কলকাতা, 17 অগস্ট: আচমকা বিধানসভায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র আধিকারিকরা । বৃহস্পতিবার হঠাৎ বিধানসভায় আসেন ইডি'র তিন অফিসার । দুপুর সাড়ে 12টা নাগাদ তাঁরা এসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন । কিন্তু কেন এই ইডি আধিকারিক বিধানসভায় এলেন তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি কেউই । বরং অধ্যক্ষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন ৷ তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেন, "আমার সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসতেই পারেন। কে আমার সঙ্গে দেখা করবেন, কে করবেন না, তার উত্তর আপনাদের দেব না।" ইডি আধিকারিকরা বিধানসভায় এলেন, আর তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কেন আচমকা কেন মেজাজ হারালেন অধ্যক্ষ তা নিয়েই উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।
কয়েকদিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চার্জশিট নিয়ে রাজ্যপালের অনুমতি চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এই মুহূর্তে যেহেতু পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র বিধায়ক, মন্ত্রী নন, সেকারণে মনে করা হচ্ছিল বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনও ততটাই জরুরি ছিল। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। সূত্রের খবর, সেই বিষয় নিয়ে বিধানসভাকে অবহিত করতেই এদিন বিধানসভায় এলেন ইডি আধিকারিকরা। যদিও অধ্যক্ষ এবং ইডি আধিকারিকদের মধ্যে কী কথা হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিধানসভার তরফ থেকেও কিছুই জানানো হয়নি। ফলে এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর জল্পনা। বিশেষ করে বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ প্রতিক্রিয়া দিতে না চাওয়ায় এবং উলটে মেজাজ হারানোয়, প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেটা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না অধ্যক্ষ।
তবে এদিন ইডি সূত্রে যা জানা গিয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়েছে যে, 11টা নাগাদ ইডির তিন জন আধিকারিক অফিস থেকে বেরিয়ে সাড়ে 12টা নাগাদ বিধানসভায় আসেন। প্রায় 35 মিনিট ধরে বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে তাঁর সঙ্গে ইডি আধিকারিকদের কথা হয়েছে। মূলত ইডি সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার এবং তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট নিয়েই কথা হয়েছে। একই সঙ্গে, অপর তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিয়েও তাদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে খবর।
যতদূর জানা যাচ্ছে, বারবার বিধানসভা থেকে ইডি আধিকারিকদের অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু বিগত সময়ে আইনি জটিলতার জন্য ইডি আধিকারিকরা অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। এক্ষেত্রে এদিন হাজিরা দিয়ে অধ্যক্ষের সেই অভিযোগই খণ্ডন করার চেষ্টা করলেন তারা। সূত্রের খবর, এদিন সিবিআইয়ের আধিকারিকও বিধানসভায় এসেছিলেন ৷