কলকাতা, 23 মে: গত শনিবারের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা । কারণ, হিসাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন যে গত শনিবার কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযানের পর তাঁরা একাধিক নথিপত্রের পাশাপাশি বেশ কিছু ডিজিটাল নথিপত্র উদ্ধার করেছেন । এই ডিজিটাল নথিপত্রের মধ্যে অন্যতম হল, বেশকিছু পেনড্রাইভ ৷ ওই পেনড্রাইভগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক লেনদেনের উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি ইডির ।
একই সঙ্গে ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, 12 থেকে 13টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে ৷ প্রত্যেকটি ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে তথ্য । ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ইতিমধ্যেই কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন প্রজেক্টে বিনিয়োগ করেছেন । এবার এই কোটি কোটি টাকার উৎস কী, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, এছাড়াও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের পরিবারের সদস্যদের নামে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা, যার মধ্যে অধিকাংশ সংস্থার কোনও অস্তিত্ব নেই । অর্থাৎ ভুয়ো কোম্পানি । সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যে একাধিক কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে, সেই ব্যবসার যিনি আর্থিক বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব ছিলেন, ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জানতে চান যে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের টাকার উৎস সঠিক কী ?
ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি থেকে যে পেনড্রাইভ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে, সেখানে বেশ কিছু ব্যক্তির নাম ও ফোন নম্বর পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । তদন্তকারীদের অনুমান, এই সব ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন জেলার ইনচার্জ বা এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন । এদের থেকেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একাধিক বেআইনি নিয়োগ হয়েছে ৷ আর সেই টাকা সরাসরি চলে আসত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে । আর সেই টাকা সরাসরি চলে যেত বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে ।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সিবিআই জেরার আগে শনি-সকালে 'কালীঘাটের কাকু'র বাড়িতে ইডি-তল্লাশি