কলকাতা, 21 মার্চ: এ বার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে ধৃত অয়ন শীলের সঙ্গে তাঁর বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর (Sweta Chakraborty) জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা (ED Finds Ayan Girlfriend)। কীভাবে অয়নের সঙ্গে তাঁর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হল, তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই শ্বেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ।
2016 সালে কামারহাটি পৌরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান করেন শ্বেতা চক্রবর্তী । তারপর থেকেই ধীরে ধীরে অয়ন শীলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় । জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা এতটাই গভীরে পৌঁছে যায় যে, বেশ কয়েকবার অয়ন শীলকে হোয়াটসঅ্যাপ করে ইডি আসার অগ্রিম খবরও জানিয়েছিলেন শ্বেতা ।
আর এখানেই তদন্তকারীদের প্রশ্ন যে, একেবারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অন্দরমহলের খবরাখবর কীভাবে আগে থেকে পেয়ে গেলেন অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী ? তাহলে কি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কোনও আধিকারিকের সঙ্গে যোগ রয়েছে শ্বেতার ? জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের প্রোমোটারির যাবতীয় ব্যবসার দেখভালের কাজ থেকে শুরু করে অয়নের অন্যান্য বিষয়ে কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তারও দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী নামে কামারহাটি পৌরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ।
আরও পড়ুন: ইডির নজরে অয়নের ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী ! কে সেই রহস্যময়ী ?
তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, উত্তর 24 পরগনা জেলার নৈহাটির বাড়িতে বসবাস করে শ্বেতার পরিবার । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা তদন্ত নেমে জানতে পেরেছেন যে, অয়নের সল্টলেকের এফডি ব্লকের ভাড়া বাড়ি ও অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটগুলি ছাপা হয়েছিল শিয়ালদার কলেজ স্ট্রিটের একটি ছাপাখানা থেকে । ছাপাখানার সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছিলেন যে, অয়নের কাছে চাকরির ওএমআর শিট তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল । তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই ছাপাখানের মালিকের সন্ধান পেয়েছেন । কোন ব্যক্তি ওই ওএমআর এনে ছাপাতে দিতেন তা জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা । ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন ৷ জানা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট ছাপাখানায় একাধিকবার গিয়েছেন অয়ন শীল । পয়লা এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷