কলকাতা, 10 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার হওয়া এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রহস্যময় চরিত্রের নাম অয়ন শীল । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি সূত্র থেকে এমনই জানা গিয়েছে ৷ অন্তত তদন্তকারীরা এমনটাই মনে করছেন ৷ কারণ হিসেবে ইডি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির পর থেকেই অয়ন শীলের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক ও রহস্যজনক খবর উঠে আসে তদন্তকারীদের কাছে ।
ইডি সূত্রে খবর, আগে জানা গিয়েছিল যে অয়ন শীল বেআইনিভাবে চাকরি দিয়ে 12 কোটি টাকা পেয়েছিলেন ৷ কিন্তু ইডি আধিকারিকরা অয়ন শীলকে জেরা করে জানতে পেরেছেন যে শুধু 12 কোটি নয় । বরং রাজ্যের একাধিক পৌরসভায় চাকরি বিক্রি করে অয়ন শীল বাজার থেকে মোট 40 কোটি টাকা তুলেছিলেন । এই বিস্ফোরক তথ্য ইডির হাতে আসার পরেই গোয়েন্দারা হতবাক ।
তবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা দাবি করছেন, জেরায় অয়ন শীল তদন্তকারীদের জানিয়েছেন তিনি বাজার থেকে 40 কোটি টাকা তুললেও পুরো টাকা আত্মসাৎ করতে পারেননি । তাঁর পকেটে কমিশন হিসেবে এসেছিল মাত্র 20-25 শতাংশ টাকা ৷ এখানে ইডির তদন্তকারীদের প্রশ্ন, তাহলে বাকি টাকা কোথায় গেল ? সূত্রের খবর, জেরায় অয়ন শীল জানিয়েছে, বাকি টাকা রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভার প্রভাবশালী আধিকারিক থেকে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পকেটে ঢুকেছে ।
তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, 40 কোটি টাকার মধ্যে 20-25 শতাংশ কমিশনের পরিমাণ নেহাত কম নয় । তা অন্তত 8-10 কোটি হবে ৷ তবে অয়ন কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পৌঁছে দিয়েছিলেন, আপাতত সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে ইডি ৷ তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে অয়ন ইতিমধ্যেই কয়েকজনের নাম বলেছেন ৷ সেই তালিকাও তৈরি করা হয়েছে ইডির তরফে ৷ সেই প্রভাবশালীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে ইডি ৷
আরও পড়ুন: অয়নের হার্ড ডিস্ক থেকে আরও 12 কোটি টাকার হিসেব পেল ইডি