ETV Bharat / state

পাথুরিয়াঘাটায় ঘোষ বাড়ির পুজো, ইতিহাস যেখানে থমকে দাঁড়িয়ে

শহর কলকাতায় কোনও কোনও বারোয়ারি পূজার বয়স কম বেশি একশো । আয়োজক মূলত সমাজের অভিজাত শ্রেণির মানুষজন । বাকিরা নিতান্তই সাধারণ । এলিট বা সম্ভ্রান্তদের বাড়িতে তদানীন্তন ইংরেজ প্রশাসনের আগমন ঘটত । এবং সেটা ছিল স্ট্যাটাস সিম্বল বা শ্লাঘার বিষয় । 240 বছর আগে সেটাই ছিল সম্ভ্রান্ত রীতি ।

author img

By

Published : Oct 6, 2019, 8:58 PM IST

পাথুরিয়াঘাটা

কলকাতা, 6 অক্টোবর : শহর কলকাতার বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ইতিহাস আজও পায়ে পায়ে হাঁটে । সাবেক কলকাতার ছবিটা এখানে ধরা পড়ে । উত্তর কলকাতার সে রকমই একটি জায়গা পাথুরিয়াঘাটা ।

তথ্য বলে শহর কলকাতায় কোনও কোনও বারোয়ারি পূজার বয়স কম বেশি একশো । আয়োজক মূলত সমাজের অভিজাত শ্রেণির মানুষজন । বাকিরা নিতান্তই সাধারণ । এলিট বা সম্ভ্রান্তদের বাড়িতে তদানীন্তন ইংরেজ প্রশাসনের আগমন ঘটত । এবং সেটা ছিল স্ট্যাটাস সিম্বল বা শ্লাঘার বিষয় । 240 বছর আগে সেটাই ছিল সম্ভ্রান্ত রীতি ।

প্রাসাদ নগরী কলকাতার আজও কিছু চিহ্ন রয়ে গিয়েছে । বড় বড় খিলান, কড়ি-বড়গা, গাড়ি বারান্দা, বেলজিয়াম গ্লাসের আয়না, দেওয়াল জোড়া তৈলচিত্র ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয় । পাথুরিয়াঘাটার 46 নম্বর ঘোষ বাড়িটির ছত্রে ছত্রে ইতিহাসের হাতছানি ।

240 বছর আগে এ রকমই এক দুর্গা পুজোর দিনে ঘোষবাড়ির সিংহদুয়ারে দাঁড়িয়ে ছিল ওয়ারেন হেস্টিংসের ফিটন । তদানীন্তন ইংরেজ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তার আগমনে আকাশ বাতাস আলোড়িত হয়েছিল বাদ্যির আওয়াজে ।

pathuriaghata
ঘোষ বাড়ি

1872 সালে হুগলি থেকে কলকাতায় এসে পাথুরিয়াঘাটায় বাড়ি তৈরি করেছিলেন রামলোচন ঘোষ । পরে এই বাড়ির পাশে আরও একটি ঘোষ বাড়ি তৈরি হয়, যা খেলাৎ ঘোষের বাড়ি নামে সকলে চেনেন । এই বাড়ির পুজোয় এসেছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ । খেলাৎ ঘোষের উলটো দিকের বাড়িটি পাথুরিয়াঘাটা মল্লিকদের । এই বাড়িতে ঠাকুরের ভাব সমাধি হয়েছিল ।

ইতিহাস এখানে সত্যিই থমকে দাঁড়িয়ে । রামলোচন ঘোষের বাড়ির সঙ্গে ক্রিকেটের নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে । সে কথায় পরে আসব । অষ্টমীতে রামলোচন ঘোষের ঠাকুর দালানে দাঁড়িয়ে মনে হল ইতিহাস এখানে জীবন্ত । মায়ের সনাতনী রূপে একটু বৈচিত্র্য রয়েছে । অসুরের রং সবুজ । যা বোধ হয় ঈর্ষার প্রতীক । সিংহের মুখে ঘোড়ার আদল । পশুরাজের শক্তি ও গতির মিশেলের জন্যই অশ্বের আদল । পাশে রাখা দুটি রথ ।

1873 সালে এসেছিলেন হেস্টিংস । রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য হেস্টিংস দম্পতির মাথায় ছাতা ধরতে হয়েছিল । প্রতিমার আদলে যেমন অভিনবত্ব রয়েছে তেমনই এ বাড়ির পুজোর বিসর্জনে চমক রয়েছে । উত্তর কলকাতার আর পাঁচটা বনেদি বাড়ির পুজোর মত বিসর্জনের দিন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হয় না । কিন্তু প্রতিমা বিসর্জন হয় তিন নৌকায় ।

দেওয়াল জোড়া বেলজিয়াম কাচের আয়না, বেলোয়ারি ঝাড়বাতি, অজস্র তৈলচিত্র, সিন্দুক ইতিহাস বহন করে চলেছে । দুর্গাপুজোর সময় এ বাড়ি যেন মিলন ক্ষেত্র । দেশ-বিদেশে থাকা আত্মীয় পরিজনের ঘরে ফেরার সময় এই দুর্গাপুজো । পুজোর রোজনামচা সামলানো,প্রসাদ এবং আড্ডায় পাথুরিয়াঘাটা ঘোষ বাড়ি যেন প্রাণ পায় । ভোর চারটে থেকে উঠে পুজোর কাজ শুরু হয় । প্রসাদের অন্যতম আকর্ষণ ক্ষীরের কচুরি ।

আগেরই বলেছিলাম এ বাড়ির সঙ্গে ক্রিকেটের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে । এ বাড়ির মেয়ে চন্দ্রলেখা ঘোষকে বিয়ে করেছিলেন জগমোহন ডালমিয়া । বিশ্ব ক্রিকেটের আলোচিত ব্যক্তিটি ও তাঁর স্ত্রী চন্দ্রলেখা দু'জনেই প্রয়াত । তবুও জগমোহন ডালমিয়া এ বাড়ির আলোচনায় বারেবারে ফিরে আসেন । জগমোহন ডালমিয়া পুত্র অভিষেক এখন CAB-র যুগ্মসচিব । তাঁর কন্যা বৈশালি বিধায়িকা । অভিষেক বলছেন পুজোর সময় তাঁর ঠিকানা পাথুরিয়াঘাটা ।

ইতিহাস এখানে থমকে । আজও মনে হয় সিংহদুয়ারে হেস্টিংসের ফিটন থামা সময়ের অপেক্ষা ।

কলকাতা, 6 অক্টোবর : শহর কলকাতার বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ইতিহাস আজও পায়ে পায়ে হাঁটে । সাবেক কলকাতার ছবিটা এখানে ধরা পড়ে । উত্তর কলকাতার সে রকমই একটি জায়গা পাথুরিয়াঘাটা ।

তথ্য বলে শহর কলকাতায় কোনও কোনও বারোয়ারি পূজার বয়স কম বেশি একশো । আয়োজক মূলত সমাজের অভিজাত শ্রেণির মানুষজন । বাকিরা নিতান্তই সাধারণ । এলিট বা সম্ভ্রান্তদের বাড়িতে তদানীন্তন ইংরেজ প্রশাসনের আগমন ঘটত । এবং সেটা ছিল স্ট্যাটাস সিম্বল বা শ্লাঘার বিষয় । 240 বছর আগে সেটাই ছিল সম্ভ্রান্ত রীতি ।

প্রাসাদ নগরী কলকাতার আজও কিছু চিহ্ন রয়ে গিয়েছে । বড় বড় খিলান, কড়ি-বড়গা, গাড়ি বারান্দা, বেলজিয়াম গ্লাসের আয়না, দেওয়াল জোড়া তৈলচিত্র ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয় । পাথুরিয়াঘাটার 46 নম্বর ঘোষ বাড়িটির ছত্রে ছত্রে ইতিহাসের হাতছানি ।

240 বছর আগে এ রকমই এক দুর্গা পুজোর দিনে ঘোষবাড়ির সিংহদুয়ারে দাঁড়িয়ে ছিল ওয়ারেন হেস্টিংসের ফিটন । তদানীন্তন ইংরেজ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তার আগমনে আকাশ বাতাস আলোড়িত হয়েছিল বাদ্যির আওয়াজে ।

pathuriaghata
ঘোষ বাড়ি

1872 সালে হুগলি থেকে কলকাতায় এসে পাথুরিয়াঘাটায় বাড়ি তৈরি করেছিলেন রামলোচন ঘোষ । পরে এই বাড়ির পাশে আরও একটি ঘোষ বাড়ি তৈরি হয়, যা খেলাৎ ঘোষের বাড়ি নামে সকলে চেনেন । এই বাড়ির পুজোয় এসেছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ । খেলাৎ ঘোষের উলটো দিকের বাড়িটি পাথুরিয়াঘাটা মল্লিকদের । এই বাড়িতে ঠাকুরের ভাব সমাধি হয়েছিল ।

ইতিহাস এখানে সত্যিই থমকে দাঁড়িয়ে । রামলোচন ঘোষের বাড়ির সঙ্গে ক্রিকেটের নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে । সে কথায় পরে আসব । অষ্টমীতে রামলোচন ঘোষের ঠাকুর দালানে দাঁড়িয়ে মনে হল ইতিহাস এখানে জীবন্ত । মায়ের সনাতনী রূপে একটু বৈচিত্র্য রয়েছে । অসুরের রং সবুজ । যা বোধ হয় ঈর্ষার প্রতীক । সিংহের মুখে ঘোড়ার আদল । পশুরাজের শক্তি ও গতির মিশেলের জন্যই অশ্বের আদল । পাশে রাখা দুটি রথ ।

1873 সালে এসেছিলেন হেস্টিংস । রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য হেস্টিংস দম্পতির মাথায় ছাতা ধরতে হয়েছিল । প্রতিমার আদলে যেমন অভিনবত্ব রয়েছে তেমনই এ বাড়ির পুজোর বিসর্জনে চমক রয়েছে । উত্তর কলকাতার আর পাঁচটা বনেদি বাড়ির পুজোর মত বিসর্জনের দিন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হয় না । কিন্তু প্রতিমা বিসর্জন হয় তিন নৌকায় ।

দেওয়াল জোড়া বেলজিয়াম কাচের আয়না, বেলোয়ারি ঝাড়বাতি, অজস্র তৈলচিত্র, সিন্দুক ইতিহাস বহন করে চলেছে । দুর্গাপুজোর সময় এ বাড়ি যেন মিলন ক্ষেত্র । দেশ-বিদেশে থাকা আত্মীয় পরিজনের ঘরে ফেরার সময় এই দুর্গাপুজো । পুজোর রোজনামচা সামলানো,প্রসাদ এবং আড্ডায় পাথুরিয়াঘাটা ঘোষ বাড়ি যেন প্রাণ পায় । ভোর চারটে থেকে উঠে পুজোর কাজ শুরু হয় । প্রসাদের অন্যতম আকর্ষণ ক্ষীরের কচুরি ।

আগেরই বলেছিলাম এ বাড়ির সঙ্গে ক্রিকেটের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে । এ বাড়ির মেয়ে চন্দ্রলেখা ঘোষকে বিয়ে করেছিলেন জগমোহন ডালমিয়া । বিশ্ব ক্রিকেটের আলোচিত ব্যক্তিটি ও তাঁর স্ত্রী চন্দ্রলেখা দু'জনেই প্রয়াত । তবুও জগমোহন ডালমিয়া এ বাড়ির আলোচনায় বারেবারে ফিরে আসেন । জগমোহন ডালমিয়া পুত্র অভিষেক এখন CAB-র যুগ্মসচিব । তাঁর কন্যা বৈশালি বিধায়িকা । অভিষেক বলছেন পুজোর সময় তাঁর ঠিকানা পাথুরিয়াঘাটা ।

ইতিহাস এখানে থমকে । আজও মনে হয় সিংহদুয়ারে হেস্টিংসের ফিটন থামা সময়ের অপেক্ষা ।

Intro:শহর কলকাতায় বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ইতিহাস আজও পায়ে পায়ে হাটে। সাবেক কলকাতার ছবিটা এখানে ধরা পড়ে। উত্তর কলকাতারসেরকমই একটি জায়গা পাথুরিয়াঘাটা।
কলকাতায় বারোয়ারি পূজার বয়স কম বেশি একশো। সেসময় শারোদৎসবের আয়োজক মূলত সমাজের এলিট মানুষজন। বাকিরা নিতান্তই সাধারন।এলিট বা সম্ভ্রান্তদের বাড়িতে তদানীন্তন ইংরেজ প্রশাসনের আগমন ঘটত।এবং সেটা ছিল স্ট্যাটাস সিম্বল বা শ্লাঘার বিষয়। 240বছর আগে সেটাই ছিল সম্ভ্রান্ত রীতি।
প্রাসাদ নগরী কলকাতার আজও কিছু চিহ্ন রয়ে গিয়েছে। বড় বড় খিলান,কড়ি বড়গা,গাড়ি বারন্দা,বেলজিয়াম গ্লাসের আয়না,দেওয়াল জোড়া তৈলচিত্র ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। পাথুরিয়াঘাটা র ছেচল্লিশ নম্বর ঘোষবাড়ী আজও প্রাসাদ নগরীর অভিঞ্জান।
240বছর আগে এরকমই এক দূর্গাপূজোর দিনে ঘোষবাড়ির সিংহদূয়ারে দাঁড়িয়ে ছিল ওয়ারেন হেস্টিংসের ফিটন। তদানীন্তন ইংরেজ প্রশাসনের শীর্ষকর্তার আগমনে আকাশ বাতাস আলোড়িত হয়েছিল বাদ্যির আওয়াজে।
1872সালে হুগলি থেকে কলকাতায় এসে পাথুরিয়াঘাটা তে বাড়ি তৈরি করেছিলেন রামলোচন ঘোষ। পরে এই বাড়ির পাশে আরও একটি ঘোষ বাড়ি তৈরি হয়। যা খেলাৎ ঘোষের বাড়ি নামে সকলে চেনে।এই বাড়ির পূজোয় এসেছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব। খেলাৎ ঘোষের উলটো দিকের বাড়িটি পাথুরিয়াঘাটা মল্লিক দের । এই বাড়িতে ঠাকুরের ভাব সমাধি হয়েছিল।
ইতিহাস এখানে সত্যিই থমকে দাঁড়িয়ে।
রামলোচন ঘোষের বাড়ির সঙ্গে ক্রিকেটের নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে।সেকথায় পরে আসব।
অস্টমীতে রামলোচন ঘোষের ঠাকুর দালানে দাঁড়িয়ে মনে হল ইতিহাস এখানে জীবন্ত। মায়ের সনাতনী রূপে একটু বৈচিত্র্য রয়েছে।অসুরের রং সবুজ। যা বোধহয় ইর্ষার প্রতীক।সিংহের মুখে ঘোড়ার আদল। পশুরাজের শক্তি ও গতির মিশেলের কারনেই অশ্বের আদল। পাশে রাখা দুটি রথ।
1873সালে এসেছিলেন হেস্টিংস। রৌদ্রজ্বল দিনে তাদের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য হেস্টিংস দম্পতির মাথায় ছাতা ধরতে হয়েছিল। রামলোচন ঘোষ হেস্টিংসের অধীনে চাকরিই করতেন না মিসেস হেস্টিংস কে বাংলা শেখাতেন।
প্রতিমার আদলে যেমন অভিনবত্ব রয়েছে তেমনই এবাড়ির পূজোর বিসর্জনে চমক রয়েছে। উত্তর কলকাতার অন্যান্য বনেদি বাড়ির পূজোর মত বিসর্জনের দিন নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয় না। কিন্তু প্রতিমা বিসর্জন হয় তিন নৌকায়।
দেওয়াল জোড়া বেলজিয়াম কাচের আয়না,বেলোয়াড়ি ঝাড়বাতি, অজস্র তৈলচিত্র,সিন্দুক ইতিহাস বহন করে চলেছে।
দূর্গাপূজোর সময় এবাড়ি যেন মিলনক্ষেত্র। দেশবিদেশে থাকা আত্মীয় পরিজনের ঘরে ফেরার সময় এই দূর্গা পূজো।পূজোর রোজনামচা সামলানো,প্রসাদ খাওয়া এবং আড্ডায় পাথুরিয়াঘাটা ঘোষবাড়ী যেন প্রান পায়। ভোর চারটে থেকে উঠে পূজোর কাজ শুরু হয়। প্রসাদের অন্যতম আকর্ষণ ক্ষীরের কচুরি।
বলেছিলাম এবাড়ির সঙ্গে ক্রিকেটের নিবিড় সম্পর্ক। এবাড়ির মেয়ে চন্দ্রলেখা ঘোষকে বিয়ে করেছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি কর্তা ও তার স্ত্রী চন্দ্রলেখা দুজনেই প্রয়াত।তবুও জগমোহন ডালমিয়া এবাড়ির আলোচনায় বারেবারে ফিরে আসে। জগমোহন ডালমিয়া পুত্র অভিষেক এখন সিএবির যুগ্মসচিব। তার কন্যা বৈশালী বিধায়িকা। অভিষেক বলছেন পূজোর সময় তার ঠিকানা পাথুরিয়াঘাটা।
ইতিহাস এখানে থমকে। আজও মনে হয় সিংহদূয়ারে হেস্টিংসের ফিটন থামা সময়ের অপেক্ষা।



Body:পাথুরিয়াঘাটা


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.