কলকাতা, 16 ডিসেম্বর : বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোর পরিচিতিতে বুধবারই যোগ হয়েছে নয়া মাত্রা ৷ ইউনেসকো তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে দুর্গাপুজোকে ৷ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব আন্তর্জাতিক স্তরে এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশির হাওয়া কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে (puja organisers are happy for the UNESCO heritage status to durga puja)। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, এই খবর শোনার পর থেকেই কলকতার পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে এখন উৎসবের মেজাজ। ইতিমধ্য়েই দুর্গাপুজোর এই স্বীকৃতির খবরে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ৷
কলকাতা ফোরাম ফর সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হাতিবাগান সর্বজনীন পুজো কমিটির সম্পাদক শ্বাশত বোস বলেন, "এতে প্রত্যেক বাঙালি, যাঁরা পৃথিবী জুড়ে রয়েছেন সবারই জয় হয়েছে । সবার কাছেই এটা গর্বের । আমাদের, শিল্পীদের, কর্মকর্তাদের সবারই এটা জয় । বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। আমার মনে হয় এই সম্মান অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল । দুর্গাপুজোর সঙ্গে অর্থনীতিও জড়িত, এই স্বীকৃতির ফলে সেই দিকটিও আরও উজ্জ্বল হবে ৷"
আরও পড়ুন : জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ, দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি ইউনেসকো'র
অন্যদিকে, বাগবাজার সর্বজনীন পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভয় ভট্টাচার্য বলেন, "এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা, গর্বের কথা । এটা শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের জন্য গর্বের । আমরা যাঁরা দুর্গাপুজো করি, এই সম্মান সেই সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে আরও বেশি উৎসাহ দেবে ৷" কাশীবোস লেন পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌমেন দত্ত বলেন, "আমরা পুজো করতে যেমন সামজিক ভাবে দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রাখি, তেমনই পুরস্কারের কথাও মাথায় থাকে । থিমের পুজো করে আমরা কোনও বছর পুরস্কার পাই, আবার কোনও বছর পুরস্কার পাই না । কিন্ত এই যে ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি এটা অবশ্যই আনন্দের । এর একটা অন্যরকম অনুভূতি আছে । কলকাতার পুজোয় এর ফলে নতুন মাত্রা যোগ হল ৷"