কলকাতা, 21 অক্টোবর: গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে কয়েকদিন আগে খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি ৷ খুন হন তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলও ৷ এই ঘটনায় গতকালই গ্রেফতার করা হয় তাঁর বাড়ির পরিচারিকা মিঠু হালদারকে ৷ তাকে চেপে ধরতেই গোটা ঘটনার কথা গোয়েন্দাদের কাছে তুলে ধরেছে সে । জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে পরিচারিকার ছেলে ভিকি । এখন সে পলাতক । ভিকির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ।
গড়িয়াহাটের বাড়িটি সুবীর চাকি বিক্রি করতে চান বলে জানতে পারে পরিচারিকার ছেলে ভিকি । এরপরেই অন্য নাম ভাঁড়িয়ে সুবীরবাবুর সঙ্গে ফোনে একাধিকবার কথাও বলে সে । লালবাজার সূত্রের খবর, ভিকির পরিকল্পনা ছিল সুবীরের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার । ক্রেতা সেজে সুবীর চাকিকে কাঁকুলিয়ার বাড়িতে ডাকে ৷ কিন্তু শেষে ধরা পড়ে যায় ভিকি । ঘটনার দিন সুবীর চাকি ভিকিকে চিনে ফেলেন । সেই সময়ই সুবীর চাকিকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় ।
আরও পড়ুন: রক্তমাখা জামা ধোওয়ায় সন্দেহ, গড়িয়াহাটে জোড়া খুনে গ্রেফতার পরিচারিকা
এরপর গোটা ঘটনার সাক্ষী থেকে যায় সুবীরবাবুর গাড়ির চালক রবীনবাবু । ফলে তাঁকেও হাত-পা বেঁধে উপরের ঘরে নিয়ে গিয়ে খুন করে ভিকি । তবে ঘটনার দিন ভিকির সঙ্গে আরও অনেকে ছিল বলে গোয়েন্দাদের অনুমান । কারণ, একার পক্ষে দু'জনকে খুন করা অসম্ভব । এরপর ঠান্ডা মাথায় সুবীরবাবুর হাতের সোনার আংটি নিয়ে পালায় ভিকি । পরের দিন ডায়মন্ড হারবারে নিজের বাড়িতে এসে তার মাকে গোটা ঘটনাটি জানায় ।
ভিকির খোঁজ শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ তাকে পেলে খুনের ঘটনার আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷