ETV Bharat / state

মেডিকেল কলেজকে কোভিড হাসপাতাল করা যাবে না, দাবি চিকিৎসকদের

author img

By

Published : Mar 25, 2021, 6:17 PM IST

গতবছর করোনা সংক্রমণের সময় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজকে কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে ৷ কিন্তু এবছর আবার করোনা হাসপাতাল করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল চিকিৎসকরা ৷

মেডিকেল কলেজকে COVID হাসপাতাল করা যাবে না, দাবি তুললেন চিকিৎসকরা
মেডিকেল কলেজকে COVID হাসপাতাল করা যাবে না, দাবি তুললেন চিকিৎসকরা

কলকাতা, 25 মার্চ : ফের কোভিড-19 এর সংক্রমণ বাড়ছে । যার জেরে, কোভিড-19-এর সেকেন্ড ওয়েভ-এর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে । এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে নন-কোভিড রোগী এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের স্বার্থে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে ফের কোভিড হাসপাতাল হিসাবে চালু করা যাবে না বলে দাবি তুলল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সংগঠন মেডিকেল কলেজ কলকাতা রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন । অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড-19-এর কারণে গত বছর লকডাউনের এক বছর পেরিয়ে এখন আবার কোভিড-19-এর সেকেন্ড ওয়েভ-এর সম্মুখীন । এবং, আবার এক অদ্ভুত, অন্যায্য সরকারি "বালখিল্যপনা"র সম্মুখীন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল । কারণ, শোনা যাচ্ছে 'উপরমহল' থেকে নির্দেশ আসছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে আবার কোভিড হাসপাতাল হিসাবে চালু করা হবে ।

গত বছর কোভিড হাসপাতাল হিসাবে চালু করার পরে এখানকার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং নন-কোভিড রোগীদের বাড়তে থাকা চাপে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু করা হয় নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা । সাত-আট মাস বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিষেবা । ভিড় বাড়ছে আউটডোর, ফার্মাসিতে । প্রতিদিন ইলেক্টিভ এবং ইমার্জেন্সি অস্ত্রোপচার, ক্যানসার রোগীদের কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে । হঠাৎ আবার সেকেন্ড ওয়েভের প্রাক্কালে সব বন্ধ করে কোভিড হাসপাতাল বানাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ । অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড-19-এর প্যানডেমিক মোকাবিলার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্বাভাবিক নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা এবং জুনিয়র ডাক্তারদের শিক্ষার বিষয়টি কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না ‌‌। গত বছর একটা বড় সময় কোভিড হাসপাতাল করে রাখার ফলে হাজার হাজার নন-কোভিড রোগীর চিকিৎসা ব্যাহত হয়েছে ।

জুনিয়র ডাক্তাররা যাঁরা বিভিন্ন স্পেশালিটির এম ডি/এমএস, তাঁদের হাতে-কলমে শিক্ষা, ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং ব্যাহত হয়েছে মারাত্মক ভাবে । এর মধ্যেও জুনিয়র ডাক্তাররা গত এক বছর ধরে কোভিড-19-এর ডিউটি দিয়ে চলেছেন । কিন্তু যে বিল্ডিংগুলিতে নন-কোভিড রোগীদের পরিষেবা শুরু হয়েছে, সেগুলি কোনওভাবেই কোভিড-19-এর সেকেন্ড ওয়েভের অজুহাতে বন্ধ করা যাবে না । কোভিড-19-এর চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে । প্রতিটি বড় হাসপাতালে একটা করে বিল্ডিংয়ে কোভিড-19 রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে । কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া, জুনিয়র ডাক্তার এবং এখানকার অসংখ্য রোগীদের কোনও সামান্যতম ক্ষতি আর বরদাস্ত করা হবে না ।

আরও পড়ুন : ট্যাবলেট খেলেই নামবে বিষ, সর্পদংশনে প্রাণ বাঁচাতে নয়া দিশা দেখাতে পারে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ

যে সুপারস্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে কোভিড-19 রোগীদের চিকিৎসা চলছে, সেই বিল্ডিংয়ে কোভিড-19-এর উইং সীমাবদ্ধ রাখতে হবে । অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে দাবি জানানো হয়েছে : (1) প্রতিটি বড় হাসপাতালে কোভিড-19-এর উইং অতি দ্রুত প্রস্তুত রাখতে হবে সেকেন্ড ওয়েভের জন্য। কোনও একটি বা দুটি টার্শিয়ারি টিচিং হাসপাতালের উপর কোভিড-19-এর সমস্ত বোঝা চাপানো যাবে না । (2) কোনও অবস্থাতেই জুনিয়র ডাক্তারদের পঠন-পাঠন ও ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং (যা বিভিন্ন রোগীদের চিকিৎসা করার মাধ্যমেই হয়)-এর ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না । ইতিমধ্যেই একটা বড় সময় কোভিড-19 হাসপাতাল করে রাখার ফলে তাঁদের ট্রেনিং ব্যাহত হয়েছে । (3) নন-কোভিড আইসিইউ কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না ৷ ক্রিটিকাল রোগীদের চিকিৎসা, জটিল অস্ত্রোপচারের পরে রোগীদের শিফট করার জন্য নন-কোভিড আইসিইউ/সিসিইউ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । সেটা কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না । বরং, নন-কোভিড আইসিইউ/সিসিইউ-এর বেড সংখ্যা বাড়াতে হবে । (4) কোনও ভাবেই এমারজেন্সি পরিষেবা বিন্দুমাত্র ব্যাহত করা যাবে না । (5) কোনও ফাংশনাল অপারেশন থিয়েটার, ওয়ার্ড, ইন্ডোরকে কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না । জোর করে বন্ধ করা এবং ভর্তি রোগীদের ছুটি দিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হলে তা সর্বতোভাবে প্রতিরোধ করা হবে । রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হলে রোগী অসন্তোষের দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে । এসব বিষয় নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে । এই বিষয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় । তবে, কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

কলকাতা, 25 মার্চ : ফের কোভিড-19 এর সংক্রমণ বাড়ছে । যার জেরে, কোভিড-19-এর সেকেন্ড ওয়েভ-এর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে । এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে নন-কোভিড রোগী এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের স্বার্থে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে ফের কোভিড হাসপাতাল হিসাবে চালু করা যাবে না বলে দাবি তুলল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সংগঠন মেডিকেল কলেজ কলকাতা রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন । অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড-19-এর কারণে গত বছর লকডাউনের এক বছর পেরিয়ে এখন আবার কোভিড-19-এর সেকেন্ড ওয়েভ-এর সম্মুখীন । এবং, আবার এক অদ্ভুত, অন্যায্য সরকারি "বালখিল্যপনা"র সম্মুখীন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল । কারণ, শোনা যাচ্ছে 'উপরমহল' থেকে নির্দেশ আসছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে আবার কোভিড হাসপাতাল হিসাবে চালু করা হবে ।

গত বছর কোভিড হাসপাতাল হিসাবে চালু করার পরে এখানকার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং নন-কোভিড রোগীদের বাড়তে থাকা চাপে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু করা হয় নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা । সাত-আট মাস বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিষেবা । ভিড় বাড়ছে আউটডোর, ফার্মাসিতে । প্রতিদিন ইলেক্টিভ এবং ইমার্জেন্সি অস্ত্রোপচার, ক্যানসার রোগীদের কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে । হঠাৎ আবার সেকেন্ড ওয়েভের প্রাক্কালে সব বন্ধ করে কোভিড হাসপাতাল বানাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ । অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড-19-এর প্যানডেমিক মোকাবিলার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্বাভাবিক নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা এবং জুনিয়র ডাক্তারদের শিক্ষার বিষয়টি কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না ‌‌। গত বছর একটা বড় সময় কোভিড হাসপাতাল করে রাখার ফলে হাজার হাজার নন-কোভিড রোগীর চিকিৎসা ব্যাহত হয়েছে ।

জুনিয়র ডাক্তাররা যাঁরা বিভিন্ন স্পেশালিটির এম ডি/এমএস, তাঁদের হাতে-কলমে শিক্ষা, ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং ব্যাহত হয়েছে মারাত্মক ভাবে । এর মধ্যেও জুনিয়র ডাক্তাররা গত এক বছর ধরে কোভিড-19-এর ডিউটি দিয়ে চলেছেন । কিন্তু যে বিল্ডিংগুলিতে নন-কোভিড রোগীদের পরিষেবা শুরু হয়েছে, সেগুলি কোনওভাবেই কোভিড-19-এর সেকেন্ড ওয়েভের অজুহাতে বন্ধ করা যাবে না । কোভিড-19-এর চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে । প্রতিটি বড় হাসপাতালে একটা করে বিল্ডিংয়ে কোভিড-19 রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে । কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া, জুনিয়র ডাক্তার এবং এখানকার অসংখ্য রোগীদের কোনও সামান্যতম ক্ষতি আর বরদাস্ত করা হবে না ।

আরও পড়ুন : ট্যাবলেট খেলেই নামবে বিষ, সর্পদংশনে প্রাণ বাঁচাতে নয়া দিশা দেখাতে পারে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ

যে সুপারস্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে কোভিড-19 রোগীদের চিকিৎসা চলছে, সেই বিল্ডিংয়ে কোভিড-19-এর উইং সীমাবদ্ধ রাখতে হবে । অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে দাবি জানানো হয়েছে : (1) প্রতিটি বড় হাসপাতালে কোভিড-19-এর উইং অতি দ্রুত প্রস্তুত রাখতে হবে সেকেন্ড ওয়েভের জন্য। কোনও একটি বা দুটি টার্শিয়ারি টিচিং হাসপাতালের উপর কোভিড-19-এর সমস্ত বোঝা চাপানো যাবে না । (2) কোনও অবস্থাতেই জুনিয়র ডাক্তারদের পঠন-পাঠন ও ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং (যা বিভিন্ন রোগীদের চিকিৎসা করার মাধ্যমেই হয়)-এর ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না । ইতিমধ্যেই একটা বড় সময় কোভিড-19 হাসপাতাল করে রাখার ফলে তাঁদের ট্রেনিং ব্যাহত হয়েছে । (3) নন-কোভিড আইসিইউ কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না ৷ ক্রিটিকাল রোগীদের চিকিৎসা, জটিল অস্ত্রোপচারের পরে রোগীদের শিফট করার জন্য নন-কোভিড আইসিইউ/সিসিইউ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । সেটা কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না । বরং, নন-কোভিড আইসিইউ/সিসিইউ-এর বেড সংখ্যা বাড়াতে হবে । (4) কোনও ভাবেই এমারজেন্সি পরিষেবা বিন্দুমাত্র ব্যাহত করা যাবে না । (5) কোনও ফাংশনাল অপারেশন থিয়েটার, ওয়ার্ড, ইন্ডোরকে কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না । জোর করে বন্ধ করা এবং ভর্তি রোগীদের ছুটি দিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হলে তা সর্বতোভাবে প্রতিরোধ করা হবে । রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হলে রোগী অসন্তোষের দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে । এসব বিষয় নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে । এই বিষয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় । তবে, কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.