কলকাতা, 12 এপ্রিল : COVID-19-এর বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ না হলে, গোটা বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো এক চিঠিতে এরাজ্যের চিকিৎসকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের তরফে এমনই জানানো হয়েছে । COVID-19-এর সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে । পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া COVID-19 এর সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে । গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে তারা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট হাসপাতালে COVID-19-এ আক্রান্তদের রাখা হোক । রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থার জন্য আদর্শ সময় এই লকডাউন । নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হোক । বেসরকারি হাসপাতালেও এই নমুনা পরীক্ষা বিনামূল্যে হওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট । অবিলম্বে Rapid RT-PCR টেস্টের ব্যবস্থা চালু হোক ।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, COVID-19 সন্দেহভাজন রোগী এবং COVID-19 পজ়িটিভ রোগীদের পৃথকভাবে রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক । চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের জন্য ভালো মানের পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (PPE) নিশ্চিত করা হোক । গাইডলাইন অনুযায়ী সাফাইকর্মীদের জন্যেও PPE নিশ্চিত করা হোক । সরকারি-বেসরকারি, উভয় ক্ষেত্রেই যাঁরা চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের থাকা, খাওয়া, কর্মস্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক । তাঁদের কেউ বৈষম্যের শিকার যেন না হন । যদি কাউকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়, তা হলে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, COVID-19-এর চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য স্পেশাল আর্থিক প্যাকেজ এবং ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করা হোক । COVID-19-এ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের কারও ক্ষেত্রে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারানটাইনের প্রয়োজন দেখা দিলে, সেই ব্যবস্থা যেন যথাযথ মানের হয় । এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য এপিডেমিওলজিস্ট, ভাইরোলজিস্ট, পালমনোলজিস্ট, ইনটেনসিভিস্ট সহ অন্যান্যদের মতামত নেওয়া হোক । তাঁদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হোক । COVID-19 সংক্রান্ত বিষয়ে যে সব তথ্য সংগৃহীত এবং প্রকাশিত হচ্ছে, সেই সব তথ্য সঠিক এবং স্বচ্ছ হওয়া উচিত । না হলে, গোটা বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে । আমরা আশা করছি, একসঙ্গে এই যুদ্ধে লড়াই করে সমাজকে আমরা বাঁচাতে পারব।
"গোটা বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে", মুখ্যমন্ত্রীকে চিকিৎসক সংগঠনের পরামর্শ - কোরোনা
রাজ্যের চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে । সেখানে COVID-19-এর সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা, 12 এপ্রিল : COVID-19-এর বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ না হলে, গোটা বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো এক চিঠিতে এরাজ্যের চিকিৎসকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের তরফে এমনই জানানো হয়েছে । COVID-19-এর সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে । পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া COVID-19 এর সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে । গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে তারা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট হাসপাতালে COVID-19-এ আক্রান্তদের রাখা হোক । রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থার জন্য আদর্শ সময় এই লকডাউন । নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হোক । বেসরকারি হাসপাতালেও এই নমুনা পরীক্ষা বিনামূল্যে হওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট । অবিলম্বে Rapid RT-PCR টেস্টের ব্যবস্থা চালু হোক ।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, COVID-19 সন্দেহভাজন রোগী এবং COVID-19 পজ়িটিভ রোগীদের পৃথকভাবে রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক । চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের জন্য ভালো মানের পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (PPE) নিশ্চিত করা হোক । গাইডলাইন অনুযায়ী সাফাইকর্মীদের জন্যেও PPE নিশ্চিত করা হোক । সরকারি-বেসরকারি, উভয় ক্ষেত্রেই যাঁরা চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের থাকা, খাওয়া, কর্মস্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক । তাঁদের কেউ বৈষম্যের শিকার যেন না হন । যদি কাউকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়, তা হলে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, COVID-19-এর চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য স্পেশাল আর্থিক প্যাকেজ এবং ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করা হোক । COVID-19-এ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের কারও ক্ষেত্রে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারানটাইনের প্রয়োজন দেখা দিলে, সেই ব্যবস্থা যেন যথাযথ মানের হয় । এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য এপিডেমিওলজিস্ট, ভাইরোলজিস্ট, পালমনোলজিস্ট, ইনটেনসিভিস্ট সহ অন্যান্যদের মতামত নেওয়া হোক । তাঁদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হোক । COVID-19 সংক্রান্ত বিষয়ে যে সব তথ্য সংগৃহীত এবং প্রকাশিত হচ্ছে, সেই সব তথ্য সঠিক এবং স্বচ্ছ হওয়া উচিত । না হলে, গোটা বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে । আমরা আশা করছি, একসঙ্গে এই যুদ্ধে লড়াই করে সমাজকে আমরা বাঁচাতে পারব।