কলকাতা, 8 মে: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই কী তদন্ত করেছে ? আজ সেই সব তথ্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷ আগামী সোমবার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ৷ 2016 সালে প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে মামলা করেছিলেন করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ৷ সেই মামলাটি গতবছর 22 জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জনস্বার্থ মামলা হিসাবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন ৷
সেই মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের একাধিক অভিযোগ ছিল ৷ ওএমআর শিট বিকৃত করা, পছন্দ মতো প্রার্থীদের 1 নম্বর বাড়ানো-সহ একাধিক অভিযোগ করা হয়েছিল সেই মামলায় ৷ 2014 সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে এই নিয়োগ হয় ৷ উল্লেখ্য, প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে 269 জন চাকরিপ্রার্থীকে 1 নম্বর করে বাড়িয়ে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে সিবিআই এর পেশ করা নথির ভিত্তিতে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন ৷ পরবর্তী সময়ে ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রাখে ৷
269 জনের এই চাকরি চলে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে ৷ সেই মামলার এখনও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি ৷ তারই মধ্যে আজ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে পুরো মামলার ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আকারে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ পাশাপাশি, সিবিআই আজ আদালতে জানায় তাদেরকে শুধু 269 জনের ব্যাপারে তদন্ত করতে বলা হয়নি ৷ পুরো নিয়োগ নিয়েই তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ তার পরেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ৷
আরও পড়ুন: 2016 এসএসসি দর্শনের দু'টি প্রশ্নের উত্তর বদল কার নির্দেশে ? কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, 2014 সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রায় 1 লক্ষ 25 হাজার প্রার্থী ৷ যাদের মধ্যে 42 হাজার প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, পরে দেখা যায় ওই বছরের প্রশ্নপত্রে 6টি ভুল রয়েছে ৷ হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় 2018 সালে প্রার্থীদের ওই প্রশ্নগুলির নিরিখে নম্বর বাড়াতে নির্দেশ দেন ৷ ফলে নতুন করে 269 জনকে নিয়োগ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ কিন্তু, সেই 269 জনের ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে ৷ মূলত, ব়্যাঙ্ক জাম্প করানোর অভিযোগ তোলা হয় ৷ আর সেই ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ মামলা দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷