সোনারপুর, 26 অক্টোবর: 2014 সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে এলেন বিজেপি-এর জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ চাকরিপ্রার্থীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে তাঁদের আন্দোলনকে (TET Agitation) নৈতিক সমর্থন করার এবং পাশে থাকার বার্তাও দিলেন ৷ ধর্মতলা চত্বরে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন 2014 সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা ৷ বুধবার এই আন্দোলনস্থলে আসেন দিলীপ ৷ চাকরিপ্রার্থীদের মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি তাঁদের হাতে নতুন পোশাকও তুলে দেন তিনি ৷
2015 সাল থেকে থমকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া ৷ যার জেরে গত আট বছর ধরে চাকরির দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন টেট উত্তীর্ণরা ৷ বাড়ি, ঘর ছেড়ে তাঁদের দিন কাটছে ধর্নামঞ্চে ৷ এদিন এই মঞ্চে হাজির হয়ে দিলীপ বলেন, "সেদিন সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে যেভাবে অনশনরত আন্দোলনকারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, তা অত্যন্ত অমানবিক ৷ যে সরকার আন্দোলনের পথে ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আজ আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে ৷ শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগের সমস্ত স্তরে দুর্নীতি হয়েছে ৷ স্বজনপোষণ হয়েছে ৷ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে ৷ ফলে মানুষকেও আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে ৷ আদালত দুর্নীতি আটকেছে ৷ রাজ্য সরকারের কোর্টে আর বল নেই ৷ তাদের ক্ষমতা বোঝা হয়ে গিয়েছে ৷ তারা শুধু লুঠ করতে পারে ৷"
আরও পড়ুন: টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা, মহামিছিলে হাঁটলেন বিশিষ্টরা
দিলীপের দাবি, রাজ্য সরকার আগে জানাক কতগুলি শূন্য পদ আছে ৷ কতজন শিক্ষক অবসর নিয়েছেন ৷ যে 1 লক্ষ 25 হাজার প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই যোগ্যতমদের শূন্য পদগুলিতে নিয়োগ করা হোক ৷ যাঁরা আজ আন্দোলন করছেন, তাঁদের সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার বয়স পার হয়ে যাচ্ছে ৷ কেন এই আট বছরের মধ্যে রাজ্য সরকার নিয়ম মেনে বঞ্চিতদের চাকরি দিতে পারল না ?
মঞ্চে উপস্থিত এক চাকরিপ্রার্থী আমিমা বানু বলেন, "গেজেট মেনে ইন্টারভিউয়ের 15 দিন আগে পর্যন্ত সমস্ত শূন্য পদ আপডেট করে আপার প্রাইমারিতে টেট পাশ করা প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি আমরা ৷ অথচ গত আট বছর ধরে একবারও আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ হয়নি ! আমাদের একটাই প্রশ্ন কমিশনের কাছে ৷ কার অপদার্থতার কারণে গত আট বছর ধরে আমরা বঞ্চিত ? আমরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কেন আমাদের রাস্তায় পড়ে থাকতে হচ্ছে !"