কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: এবার নব-নির্বাচিত বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরেও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রাথী নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার বুধবার নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সে বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বেঁকে বসেছেন বলে সূত্রের দাবি। এক্ষেত্রে অনুষ্ঠান করতে গেলে রাজ্যপালের অনুমতি নিতে হবে। তার জন্য পরিষদীয় মন্ত্রীকে রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখতে হবে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবারের শপথ অনুষ্ঠান ইতিমধ্যে বাতিল হয়েছে। ঠিক হয়েছে, সোমবার রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখবেন। তারপর রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। কিন্তু পরিষদিয় মন্ত্রীর চিঠি লেখার পরেও রাজ্যপাল কবে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেবেন তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্য প্রশাসনের একাংশের কর্তারা।
বিধানসভার রীতি মেনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ বাক্য পাঠ করাবেন নাকি রাজ্যপাল নিজেই এই কাজটি করবেন তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এর আগে রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় 2021 সালের বিধানসভার ভোটের পরে কোচবিহারের দিনহাটা-সহ যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আয়োজিত হয় সেখানকার নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে বেঁকে বসেছিলেন।
বিধানসভার স্পিকারকে বাদ দিয়ে ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে শপথ অনুষ্ঠান করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। শাসক শিবির বিষয়টিকে স্পিকারের অপমান হিসেবেই দেখেছিল। সে সময় তৎকালীন পরিষদীয় দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের শরণাপন্ন হন। এবারও জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এমনই আবহে সোমবার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের চিঠি পাওয়ার পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কী করেন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের ৷
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের তলবে রাজভবনে মুখ্যসচিব, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা