কলকাতা, 12 অক্টোবর: কথা দিয়েছিলেন আগে। স্পেন সফরে যাওয়ার আগেই করেছিলেন ঘোষণা। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। মহকুমা হচ্ছে ধূপগুড়ি। ধূপগুড়ির গ্রামীণ ও পৌর এলাকা, বানারহাট এই তিনটিকে নিয়ে নতুন মহকুমা তৈরি হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হল রাজ্য মন্ত্রিসভায়। আর বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ণ গুহ।
সেপ্টেম্বর মাসের 2 তারিখ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের সময় সেখানে গিয়ে আলাদা মহকুমা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় অভিষেক ধূপগুড়ির বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নতুন মহকুমা হবে ধূপগুড়ি। এরপর 11 সেপ্টেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়িকে আলাদা মহাকুমা করার কথা ঘোষণা করেন। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।
একই সঙ্গে এদিন মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলার পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্যের মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মন্ত্রিসভায় চারজনের একটি গ্রুপ তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের উত্তরবঙ্গে থেকে এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এই নিয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বন্যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তিনি দলের নেতা-মন্ত্রীদের এই অবস্থায় মানুষের পাশে থাকার কথা বলেছেন। এদিন পুজো উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী কালিম্পঙের মানুষকে পুজো উদযাপন না-করার জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছেন, কালিম্পং-এ এই বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। একইভাবে বানারহাটে বিস্ফোরণে আহত শিশুকে এক লক্ষ টাকা এবং মৃতদের জন্য দুই লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বলেন, "সিকিমের বিপর্যয়ে সেনা ছাউনি ভেসে গিয়েছে, সেনা জওয়ানের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তাদের অস্ত্র ভেসে আসছে। সেগুলো যেন স্পর্শ না-করা হয়।" এই অস্ত্রগুলি পুলিশ দেখে নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেগুলি উদ্ধার করে তারাই সেনার কাছে পৌঁছে দেবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গৃহবন্দি কাটবে পুজো, ঘরে বসে চেতলার মায়ের চক্ষুদান সারবেন মমতা
এদিন ধূপগুড়ি নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত জানান, এটা তাদের দীর্ঘদিন দাবি ছিল। এত তাড়াতাড়ি তাদের দাবি পূরণ হবে তা তারা ভাবতেও পারেনি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।