কলকাতা, 4 অগস্ট: প্রায় সাত দিন ধরে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ধীরে ধীরে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি কাটছে তাঁর। তবে এখনও বাইপ্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। কিন্তু আসতে আসতে এই সাপোর্টের পরিমানও কমানো হচ্ছে, বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে আসেন ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার পর শুক্রবার ফের একটি মেডিকেল বোর্ড বসে। সেই বৈঠকে ছিলেন প্রাক্তান মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, "এখন আমরা দেখছি ওঁর সাপোর্ট যতটা কমানো যায়। তারপর যখন আমরা দেখব যে এই সাপোর্টগুলো ছাড়া উনি কতটা স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন।" তাঁকে লিকুইড ডায়েট দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। চিকিৎসক বলান, "তবে যতক্ষণ না তিনি যন্ত্রগুলো ছাড়া স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে পারছেন, তার আগে বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়।" হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে যে আই ভি অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছে তা চলবে শনিবার রাত পর্যন্ত। এছাড়াও তাঁকে ফিজিওথেরাপি প্রতিদিন করানো হচ্ছে বলেও জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রায় চার ঘণ্টা বাইপ্যাপ এবং বেশ কিছু যন্ত্র ছাড়া রেখে দেখা হচ্ছে ওঁকে।
আরও পড়ুন: 'মমতা আরও একটু লাফান আমার বিরুদ্ধে', সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কটাক্ষ শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে রাঁচি থেকে সোজা চলে আসেন বিশিষ্ট ফুসফুস রোগ বিশিষ্ট চিকিৎসক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আপনারা বুঝতেই পারছেন উনি বয়স্ক মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, তাই ম্যাজিকের মত পরিবর্তন হবে না। ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবে, আমরা সেটাই আশা করছি। যদি এমনই থাকেন উনি তাহলে আশা করছি আর ক্রাইসিস অবস্থায় ফিরে যাবেন না। এরকম স্থিতিশীল থাকলে ওষুধ এবং সাপোর্টের পরিমাণ কমানো হবে। কতটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে তা অনপ্রেডিকটেবল। তবে চেষ্টা চলছে সাপোর্ট কমানোর ৷ উনি বাড়িতে যে অবস্থায় ছিলেন সে অবস্থায় ফিরে যেতে পারলে বুঝতে পারব ঠিক আছে ৷ আমি কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু উনি খুবই ক্লান্ত তাই জোর করিনি।"