কলকাতা, 17 মার্চ: সরকারি বিদ্যালয়ে প্রায় 5 মাস ধরে ন্যাশনাল স্কিলড কোয়ালিফাইং ফ্রেমওয়ার্ক বা বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের বেতন নেই (Demonstration Teacher In Kolkata) । স্কুলশিক্ষা বেসরকারিকরণের ফলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ছাঁটাই বন্ধ করার দাবি এবং 60 বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি সুনিশ্চিত করার দাবিতে আজ ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করে বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর 2013 সালে 726টি সরকার ও সরকার পোষিত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সাধারণ বিষয়গুলির পাশাপাশি সিলেবাসে থাকা বৃত্তিমূলক বিষয়গুলি ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া জন্য একটি সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে শিক্ষা দফতর এটি চালু করলেও 2014 সালে এর পরিচালনভার দেওয়া হয় কারিগরি শিক্ষা দফতরকে। এরপর প্রায় 40টি বেসরকারি সংস্থা বা এজেন্সির দ্বারা এই বিভাগের কাজ চলত। দীর্ঘ 9 বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে লকডাউনের পর আবার যখন স্কুল খুলে যায় ঠিক তখনই বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টদের ছাঁটাই করা হয়। এই বিষয় গত বছর একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। এই বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। তাঁকে দফায় দফায় পাঠানো হয়েছে চিঠিও। তবে কোনও সদুত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন: বদলাল উচ্চমাধ্যমিকের সূচি, 6 থেকে 15 এপ্রিল থাকছে না কোনও পরীক্ষা
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক বলেন, "শিক্ষায় পিপিপি মডেলের ফলে রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের চাকরি নেই। সরকারি নির্দেশিকা ও নিয়ম অনুসারে এজেন্সি দিয়ে ভোকেশনাল ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ হওয়া সত্বেও আমাদের ভবিষৎ আজ অনিশ্চিত। অতিরিক্ত শিক্ষকদের কারণ দেখিয়ে প্রচুর শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টদের ছাঁটাই করা হয়েছে। যাঁরা পড়ে রয়েছে তারা গত 5 মাস বেতন পাননি। স্কুলশিক্ষা বেসরকারিকরণের ফলে আজ আমাদের এমন অবস্থা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এর আগেও জেলায় জেলায় প্রতিবাদ সভা করেছি। আজ এখানে সভা হল। আমাদের দাবি হল স্কুলশিক্ষার বেসরকারিকরণ বন্ধ করে তা এজেন্সি মুক্ত করতে হবে। কাউকেই ছাঁটাই করা যাবে না। 60 বছর পর্যন্ত চাকরির স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে।"