কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: রাজ্যের কাছে ফের হেলিকপ্টার চেয়ে পেলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অগত্যা ট্রেনে চেপেই বীরভূম যেতে হচ্ছে রাজ্যপালকে। আগামিকাল শান্তিনিকেতনে রাজ্যের লোকসংস্কৃতি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে যাবেন তিনি। সকাল 10টায় হাওড়া স্টেশন থেকে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ধরে বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন রাজ্যপাল। এদিকে রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টার চেয়ে না-পাওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিলেন রাজভবনের তরফে ৷ রাজভবনের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট বিভাগে। যদিও যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা হেলিকপ্টারের সমস্যার কথা তুলে ধরে রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয় রাজভবনকে হেলিকপ্টার দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না।
বুধবার রাজভবন সূত্রে খবর, এবারও রাজভবনকে হেলিকপ্টার না-দেওয়ার কারণ হিসেবে সেই আগের কারণই দেখানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। মঙ্গলবার রাজভবন থেকে রাজ্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টারের বিষয়ে মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু কালকের মধ্যেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয় রাজভবনকে এই মুহূর্তে হেলিকপ্টার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বোলপুর যেতে সকালেই নির্দিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সিকে দিয়ে রাজ্যপালের শান্তিনিকেতন যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটার ব্যবস্থা করা হয়।
জানা গিয়েছে, বেলা 12টা নাগাদ বোলপুরে নামবেন রাজ্যপাল। সেখান থেকেই শান্তিনিকেতনের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে পৌঁছবেন তিনি। রাজ্যপাল সৃজনী শিল্প গ্রামে লোকসংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। তারপর রাতের মধ্যে তাঁর কলকাতা ফেরার কথা। যদিও অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কোনও কারণে যদি রাজ্যপাল শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন সে ক্ষেত্রে বোলপুরেই আগামীকাল রাত কাটাতে পারেন। গত এক বছরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই হেলিকপ্টার মিললেও রাজ্যপালের ক্ষেত্রে নয় কেন ? যদিও দু'পক্ষের কেউই এই বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি ৷
এর আগে গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উত্তরবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তখন উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা ফিরতে রাজ্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু হেলিকপ্টার মেরামতির পর্যায়ে রয়েছে এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, এই মর্মে রাজ্য সরকারের তরফে রাজভবনকে জানানো হয়। বাধ্য হয়ে বিমানে চেপেই দার্জিলিং থেকে কলকাতা আসতে হয় রাজ্যপালকে। এ ছাড়াও এর আগেও বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রয়োজনীয়তার কারণে হেলিকপ্টার চেয়ে রাজভবনের তরফে রাজ্য সরকারকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখনও মেলেনি। এই ঘটনায় রাজ্যপাল আধিকারিক মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন