কলকাতা, 10 মে: ঘূর্ণাবর্ত থেকে ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে মোকা । অথচ তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি রাজ্য জুড়ে। জলীয় বাষ্প শুষে নেওয়ায় উত্তর-পশ্চিম ভারতের শুষ্ক বাতাস বঙ্গে প্রচুর পরিমাণে প্রবেশ করেছে। তার জেরে তৈরি হয়েছে লু বইবার মতো পরিস্থিতি। 10 মে থেকে 12 মে শুক্রবার পর্যন্ত প্রাণান্তকর গরম চলবে বঙ্গে। ইতিমধ্যে আলিপুর আবহাওয়া দফতর তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে ।
কোথায় কোথায় চলবে তাপপ্রবাহ ?
বুধবার বীরভূম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, মালদা, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, উত্তর 24 পরগনা, দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি । ভ্যাপসা অস্বস্তিকর গরম কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ 24 পরগনায় । আগামিকাল বীরভূম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, মালদা, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, উত্তর 24 পরগনা ও দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলবে। অস্বস্তিকর গরম চলবে কলকাতা, দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। 12 মে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলবে দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং মালদাতে । অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার বেগে গত 6 ঘণ্টা ধরে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে । বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় সৃষ্ট এই গভীর নিম্নচাপটি সাড়ে 8 ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং 89 ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থান করছে । যা পোর্ট ব্লেয়ারের 540 কিলোমিটার দূরে পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে ।
আরও পড়ুন: অভিমুখ বদলে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে মোকা, বঙ্গে ফের তাপপ্রবাহ
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কক্সবাজার বন্দর থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে 1460 কিলোমিটার দূরে এবং মায়ানমারের দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে 1350 কিলোমিটার দূরে আপাতত অবস্থান করছে। এই গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে কিছু সময় অবস্থান করে আরও উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে । ওই পথে ঘূর্ণিঝড়টি আরও অগ্রসর হয়ে আগামিকাল সকালে ও 12 মে আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে । তারপর তা বাঁক নিয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে । 13 মে ঘুর্ণি ঝড়টি দুর্বল হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকুল এবং মায়ানমার উপকুলে আছড়ে পড়বে । ওই সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় 110 থেকে 120 কিলোমিটার । ঝোড়ো হাওয়া বইবে ঘণ্টায় 130 কিলোমিটার বেগে ।