ETV Bharat / state

Price Hike : মূল্যবৃদ্ধির আগুনে নাজেহাল গৃহস্থ, চলছে শাসক-বিরোধী তরজা

তৃণমূলের অভিযোগ, এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য (Price Hike in Market) দায়ী কেন্দ্রের নীতি ৷ বিজেপি বলছে, রাজ্য সরকার উদাসীন তাই ফোড়েদের রাজত্ব চলছে ৷

price hike in Bengal market
মূল্যবৃদ্ধির আগুনে পুড়ছে বাজার
author img

By

Published : May 8, 2022, 9:23 PM IST

কলকাতা, 8 মে : গ্রীষ্মের প্রখর গরমে তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই যেন বেড়ে চলেছে বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম (Price Hike in Market) ৷ মূল্যবৃদ্ধির রকেট যেন দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে নতুন উচ্চতার দিকে ৷ জ্বালানির দাম বাড়ছে ফলে তাল সঙ্গেই তাল মেলাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, খাদ্যশস্য, তেল, কাঁচা আনাজ, মাছ-মাংসের দাম ৷ মূল্যবৃদ্ধির এই ছ্যাঁকায় তাই বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে আম আদমির ৷ ঘরে রান্নার গ্যাসের দামে আগুন, বাইরে বাজারে আগুন ৷ ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে গরিব, মধ্যবিত্তের সংসারে ৷ পরিস্থিতি যা, তাতে দিনদিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে চাল, ডাল থেকে কাঁচা সবজি এমনকি মাছের দাম ৷

ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের দিকে কাঁচা সবজি ও মাছের বাজারে দাম কিছুটা নিম্নমুখী হলেও মে মাসের শুরু থেকেই আবার চরছে সবকিছুর দাম । আলু, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে চড়চড়িয়ে ৷ কলকাতায় জ্যোতি আলু অধিকাংশ জায়গায় বিক্রি হচ্ছে 30 টাকা প্রতি কেজিতে । আর চন্দ্রমুখীর দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে চল্লিশ টাকায় । এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তাঁরা খাবেন তো খাবে কি! ডাল-ভাতই তো মহার্ঘ্য হতে চলেছে ৷

আরও পড়ুন : ধেয়ে আসছে অশনি, বাংলার কৃষকদের সতর্ক করল নবান্ন

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আইন পরিবর্তন করে খোলাবাজারের হাতে চাল,ডাল,ভোজ্যতেলের দাম ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র ৷ অভিযোগ তার ফলই আর এর ফল ভুগতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে । রবিবার এই নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "সাধারণ মানুষের এই চরম ভোগান্তির জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার । কারণ, কেন্দ্রই এই প্রথম নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আইনের আওতা থেকে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ এবং ভোজ্যতেলকে বাদ দিয়েছে । শুধু তাই নয় নতুন আইনে কেউ যদি এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি মজুদ করে রাখে রাজ্য সরকার চাইলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না । আর এই জায়গা থেকে রাজ্য সরকারের ভূমিকা অনেক সীমিত হয়ে গিয়েছে । তা সত্ত্বেও বাজারদর নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের কমিটি নজরদারি চালাচ্ছে ৷ এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সক্রিয় রয়েছে । কেন্দ্রের আইন রাজ্য সরকারের হাত-পা অনেকটা বেঁধে দিচ্ছে । তাও রাজ্য সরকার যতটা সম্ভব হয় মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে ।"

আরও পড়ুন : আজ সকালে জন্ম নিল অশনি, ঘূর্ণিঝড় কোন পথে ? ভাসবে বাংলা ?

তবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের এই দাবি মানতে রাজি নয় । তাদের পাল্টা অভিযোগ, রাজ্যে সর্বত্রই ফোরেদের রাজ চলছে । সরকার সব জেনেও উদাসীন । আর এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে । এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সরকারের নজরদারির অভাবেই বাড়ছে ফোড়েরাজ । ফসলের সঠিক মূল্য তো বাংলার কৃষকরা পাচ্ছেনই না । উল্টে সাধারণ মানুষকে পকেট থেকে বাড়তি পয়সা খরচ করতে হচ্ছে । এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের উচিত কড়া হওয়া । তাহলেই বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আসবে । তৃণমূল কংগ্রেস সবকিছুতেই কেন্দ্র ও বিজেপির ভূত দেখতে পায় । কেন্দ্রকে দোষারোপ করার আগে রাজ্য সরকার যদি নিজের দায়িত্ব পালন করে তাহলেই রাজ্যের মানুষ মূল্যবৃদ্ধি থেকে অনেকটা রেহাই পাবে ৷"

কলকাতা, 8 মে : গ্রীষ্মের প্রখর গরমে তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই যেন বেড়ে চলেছে বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম (Price Hike in Market) ৷ মূল্যবৃদ্ধির রকেট যেন দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে নতুন উচ্চতার দিকে ৷ জ্বালানির দাম বাড়ছে ফলে তাল সঙ্গেই তাল মেলাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, খাদ্যশস্য, তেল, কাঁচা আনাজ, মাছ-মাংসের দাম ৷ মূল্যবৃদ্ধির এই ছ্যাঁকায় তাই বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে আম আদমির ৷ ঘরে রান্নার গ্যাসের দামে আগুন, বাইরে বাজারে আগুন ৷ ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে গরিব, মধ্যবিত্তের সংসারে ৷ পরিস্থিতি যা, তাতে দিনদিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে চাল, ডাল থেকে কাঁচা সবজি এমনকি মাছের দাম ৷

ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের দিকে কাঁচা সবজি ও মাছের বাজারে দাম কিছুটা নিম্নমুখী হলেও মে মাসের শুরু থেকেই আবার চরছে সবকিছুর দাম । আলু, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে চড়চড়িয়ে ৷ কলকাতায় জ্যোতি আলু অধিকাংশ জায়গায় বিক্রি হচ্ছে 30 টাকা প্রতি কেজিতে । আর চন্দ্রমুখীর দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে চল্লিশ টাকায় । এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তাঁরা খাবেন তো খাবে কি! ডাল-ভাতই তো মহার্ঘ্য হতে চলেছে ৷

আরও পড়ুন : ধেয়ে আসছে অশনি, বাংলার কৃষকদের সতর্ক করল নবান্ন

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আইন পরিবর্তন করে খোলাবাজারের হাতে চাল,ডাল,ভোজ্যতেলের দাম ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র ৷ অভিযোগ তার ফলই আর এর ফল ভুগতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে । রবিবার এই নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "সাধারণ মানুষের এই চরম ভোগান্তির জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার । কারণ, কেন্দ্রই এই প্রথম নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আইনের আওতা থেকে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ এবং ভোজ্যতেলকে বাদ দিয়েছে । শুধু তাই নয় নতুন আইনে কেউ যদি এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি মজুদ করে রাখে রাজ্য সরকার চাইলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না । আর এই জায়গা থেকে রাজ্য সরকারের ভূমিকা অনেক সীমিত হয়ে গিয়েছে । তা সত্ত্বেও বাজারদর নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের কমিটি নজরদারি চালাচ্ছে ৷ এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সক্রিয় রয়েছে । কেন্দ্রের আইন রাজ্য সরকারের হাত-পা অনেকটা বেঁধে দিচ্ছে । তাও রাজ্য সরকার যতটা সম্ভব হয় মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে ।"

আরও পড়ুন : আজ সকালে জন্ম নিল অশনি, ঘূর্ণিঝড় কোন পথে ? ভাসবে বাংলা ?

তবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের এই দাবি মানতে রাজি নয় । তাদের পাল্টা অভিযোগ, রাজ্যে সর্বত্রই ফোরেদের রাজ চলছে । সরকার সব জেনেও উদাসীন । আর এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে । এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সরকারের নজরদারির অভাবেই বাড়ছে ফোড়েরাজ । ফসলের সঠিক মূল্য তো বাংলার কৃষকরা পাচ্ছেনই না । উল্টে সাধারণ মানুষকে পকেট থেকে বাড়তি পয়সা খরচ করতে হচ্ছে । এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের উচিত কড়া হওয়া । তাহলেই বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আসবে । তৃণমূল কংগ্রেস সবকিছুতেই কেন্দ্র ও বিজেপির ভূত দেখতে পায় । কেন্দ্রকে দোষারোপ করার আগে রাজ্য সরকার যদি নিজের দায়িত্ব পালন করে তাহলেই রাজ্যের মানুষ মূল্যবৃদ্ধি থেকে অনেকটা রেহাই পাবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.