কলকাতা, 3 অক্টোবর: 'মৃত' প্রসূতি ফিরে পেল প্রাণ। 1 মিনিটের মৃত্যু, তারপরই আবার শ্বাস-প্রশ্বাস নিলেন তিনি ৷ খাস কলকাতায় অসাধ্য সাধন চিকিৎসকদের। আবারও শিরোনামে শহরের সরকারি হাসপাতাল। অসাধ্য সাধন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে। প্রসবের সময় 'মৃত' মায়ের জ্ঞান ফেরালেন চিকিৎসকরা। সন্তান প্রসবের সময় সংজ্ঞাহীন হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কোনওভাবেই মিলছিল না হার্টবিট। তবে কন্যা সন্তান প্রসবের পর আবারও সব স্বাভাবিক। এই ঘটনা আশ্চর্য করে দিচ্ছে খোদ চিকিৎসকদেরও।
হুগলির বাসিন্দা ফিরদৌসি বেগম। বন্ধ্যাত্বের সমস্যা ছিল ফিরদৌসি বেগমের। ফার্টিলিটির জন্য চেষ্টা করেও সন্তান হচ্ছল না তাঁর। শেষে মুম্বইয়ের একটি ফার্টিলিটি সেন্টারে চিকিৎসা শুরু করেন ফিরদৌসি। বহু চেষ্টার পর অবশেষে 18 বছর পর 2023 সালে সুখবর আসে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হন তিনি প্রসবের জন্য। গাইনোকলজিস্ট ইউনিট ইনচার্জ চিকিৎসক তারাশঙ্কর বাগের তত্ত্ববধানে ভরতি করা হয় তাঁকে। তবে এখানেও বিপত্তি। 27 সেপ্টেম্বর বেলা 11টা 35 মিনিট নাগাদ প্রসবকালে উচ্চ রক্তচাপের কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ফিরদৌসির।
চিকিৎসকের কথায়, "ওই সময় তাঁর ব্লাড প্রেসার ছিল 200/100। এছাড়াও ছিল প্রবল শ্বাসকষ্ট।" ওই অবস্থায় সাধারণত সিজার করে জীবিত সন্তানকেই বের করেন ডাক্তারবাবুরা। তাই সেই পন্থাই অবলম্বন করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। 11টা 40মিনিট নাগাদ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ফিরদৌসি। তারপর লাগাতার সিপিআর দিতে থাকেন সদ্য মাকে। তারপরেই তাক লাগানোর ঘটনা। ঠিক 1 মিনিট পরে ফের নাড়ির স্পন্দন শুরু হয় মহিলার। যা দেখে অবাক চিকিৎসকেরা।
কীভাবে এই আশ্চর্য করা ঘটনা সম্ভব হল তা জানা নেই কারও। তবে লাগাতার সিপিআর দেওয়ার কারণেই প্রাণ ফিরে পেলেন ফিরদৌসি বলে অনুমান চিকিৎসকদের। সেইসঙ্গে চিকিৎসকরা বলছেন মৃত্যু হয়েছে, অথচ সন্তানের কান্নায় প্রাণ ফিরে ফেলেন মা। বর্তমান সম্পূর্ণ সুস্থ মা ও সন্তান।
আরও পড়ুন: দুটি হৃৎপিণ্ড ও চার হাত-পা নিয়ে ভূমিষ্ঠ শিশুকন্যা