কলকাতা, 2 এপ্রিল : দলের কাজ । মিটিং-মিছিল, সমাবেশ । সঙ্গে দপ্তরের কাজ । আজ এই সভায় যোগ, কাল ওই এলাকা পরিদর্শন । প্রতিটা মুহূর্তে চরম ব্যস্ততা। কিন্তু লকডাউনের সময়ে কেমন কাটছে ? কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা ?
রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই অবসরে কবিতা লিখছেন। বই পড়ে সময় কাটছে সাংসদ সৌগত রায়ের । অন্য দিনগুলি সেভাবে ঘর-সংসারে নজর দেওয়া যায় না । নিজের হাতে সবকিছু করা যায় না । তাই এই সময়ে কাপড় কাচা থেকে রান্না করা সবই করছেন নারী ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা । কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু আবার তাঁর পুরোনো দিনের অভিজ্ঞতাকে লিপিবদ্ধ করছেন ।
7 দিন বাড়িতে থেকে 22টি কবিতা লিখে ফেলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কোরোনা নিয়েও একটি কবিতা রয়েছে । তিনি বলেন, "সকালে ঘুম থেকে উঠে এক ঘণ্টা ব্যায়াম । তারপর পুজোতে বসি। এরপরে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটছে কবিতা লিখেই।" রাজ্যে কোরোনা সংক্রমণ নিয়ে একটু চাপে রয়েছেন । তবে তার মাঝেই বাড়ির টুকটাক কাজ করে চলেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । সঙ্গে কবিতাও লিখছেন । বাকি সময় কাটছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বই পড়ে । তবে পুরোপুরি বাড়ির কাজে মন দিয়েছেন নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা । লকডাউনের সময় বাড়ির হেঁসেলে জমিয়ে রান্না করছেন। পাশাপাশি কাপড় কাচা, বাসন মাজা সবই চলছে ।
কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু তাঁর পুরোনো দিনের অভিজ্ঞতাগুলোকে এক জায়গায় লিপিবদ্ধ করতে শুরু করেছেন। তিনি জানান, এটাকে নিয়ে ভবিষ্যতে একটি বই বের করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
তাঁর লেক গার্ডেন্সের বাড়িতেই একটি ছোটো লাইব্রেরি রয়েছে । কিন্তু ব্যস্ততার মাঝে সেভাবে বই পড়া হয় না । এখন হাতে অনেকটা সময় পেয়েছেন । তাই সৌগত রায়ের দিনের অধিকাংশ সময় কাটছে বই পড়ে ।
দেশজুড়ে লকডাউন । বন্ধ সমস্ত পরিষেবা । পাশাপাশি বন্ধ সমস্ত মিটিং-মিছিল-সভা । আপাতত এভাবেই নিজেদের অবসর যাপনে ব্যস্ত পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী-সাংসদরা ।