কলকাতা, 29 অক্টোবর: গাজায় ইজরায়েলি আক্রমণ থেকে 'সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আইনি ও মানবিক বাধ্যবাধকতা' বজায় রাখতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এই মর্মে জর্ডনের আনা একটি প্রস্তাব পাশও হয়েছে সাধারণ সভায়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত সরকার।
এই পদক্ষেপ অত্যন্ত মর্মান্তিক বলে মনে করছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার মতো বামনেতারা। তাঁদের দাবি, "ভোটে অংশ না নেওয়ায় থেকেই স্পষ্ট মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে ভারতের বিদেশ নীতি মাথানত করেছে। ভোট দান থেকে বিরত থেকে প্যালেস্তাইনের প্রতি ভারত তার দীর্ঘস্থায়ী সমর্থনকে অস্বীকার করেছে ।"
সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় ইজরাইল গাজা উপত্যকায় তাদের গণহত্যামূলক বিমান ও স্থলে হামলা জোরদার করেছে । গাজার সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যেখানে 2.2 মিলিয়ন প্যালেস্তাইনের লোক বাস করে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অপ্রতিরোধ্য আদেশকে সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করতে হবে।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি আরও বলেন, "নিরাপত্তা পরিষদের আদেশকে বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রসংঘকে অবশ্যই নিজেকে পুনরায় সক্রিয় করতে হবে। একমাত্র তাহলেই প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে 1967-এর আগের সীমানা-সহ একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সূত্র মিলবে ৷"
আরও পড়ুন: হামাসের উল্লেখ নেই! রাষ্ট্রসঙ্ঘের আনা গাজা-প্রস্তাবে ভোট দিল না ভারত
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস ৷ পালটা আক্রমণ চালায় ইজরায়েলও ৷ তারপর থেকেই ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত ৷ রবিবার হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ রবিবার 23 দিনে প্রবেশ করেছে ৷ গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল ৷ এই যুদ্ধ হাজারও মানুষের প্রাণ কাড়ছে ৷ এরপর রবিবার যুদ্ধ বিরতির ডাক দিয়ে নিউইয়র্ক থেকে শুরু করে লন্ডন ও বার্লিনের মতো শহরের রাস্তায় নেমেছে প্যালেস্তাইন সমর্থকেরা ৷ তাদের দাবি, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হোক ৷