ETV Bharat / state

মুড়ি খেতে গিয়ে বিঁধেছিল তার, জটিল অস্ত্রোপচারে বাঁচল প্রাণ

মুড়ি খেতে গিয়ে বিপত্তি ৷ গলায় আটকে যায় মুড়ির মধ্যে থাকা ধাতব তারের টুকরো ৷ জটিল অস্ত্রোপচারের পর কাকদ্বীপের ধনঞ্জয় বল্লভের প্রাণ বাঁচালেন NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা ৷

author img

By

Published : Sep 7, 2019, 5:44 PM IST

ধনঞ্জয় বল্লভ

কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার ৷ গলা কেটে 6-7 সেন্টিমিটার লম্বা ধাতব তারের টুকরো বের করা হল কাকদ্বীপের ধনঞ্জয় বল্লভের শরীর থেকে । অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ রয়েছেন ওই যুবক ৷ এক সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ৷

বাড়িতে বসে নিশ্চিন্তে মুড়ি খাচ্ছিলেন বছর 20-র ধনঞ্জয় বল্লভ । হঠাৎই তাঁর গলায় কিছু একটা আটকে যায়৷ তিনি শ্বাস নিতেও পারছিলেন না ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৷ তাঁর গলার এক্সরে করা হয়৷ দেখা যায় তাঁর খাদ্যনালীতে একটি তারের টুকরোর মতো কিছু আটকে রয়েছে৷ ধনঞ্জয়ের পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে সেখানে তাঁর চিকিৎসা সম্ভব ছিল না ৷ তাঁকে পাঠানো হয় কলকাতায় ৷

27 অগাস্ট তাঁকে নিয়ে আসা হয় NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ সেখানে তাঁর পুরোনো এক্সরে রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন ENT বিভাগের চিকিৎসকরা৷ ওই দিনই তাঁকে ভরতি করা হয় ৷ অস্ত্রোপচার করে তারের টুকরোটিকে বের করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা । এর পর, আবার ধনঞ্জয়ের গলায় এক্স-রে করানো হয় । অস্ত্রোপচারের আগে তারের টুকরোটির অবস্থান জেনে নেওয়া জরুরি ছিল । দ্বিতীয় বার এক্সরে করার পর চিকিৎসকরা দেখতে পান, তারের অংশটি রোগীর খাদ্যনালী ভেদ করে গলার পেশির মধ্যে গেঁথে গিয়েছে ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মস্তিস্কে রক্ত যাওয়া এবং আসার জন্য যে দু'টি প্রধান ধমনি ও শিরা রয়েছে, সেই দু'টির গা ঘেঁষে তারের অংশটি রোগীর গলার পেশিতে গেঁথে গিয়েছিল । ফলে, অস্ত্রোপচার করে রোগীর গলা থেকে তারের অংশটি বের করা অত্যন্ত ঝুঁকির এবং জটিল হয়ে পড়েছিল ।

এই অস্ত্রোপচার কেন ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল হয়ে উঠেছিল?

NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ENT বিভাগের চিকিৎসক সিদ্ধার্থ দাস বলেন, " অস্ত্রোপচারের সময় ধাতব তারের ওই অংশটি যদি শিরা বা ধমনি কোনওটিকে ফুটো করে দিত, তা হলে অপারেশন টেবিলেই রোগীর মৃত্যু হত ৷ বাঁচোয়া যে, ওই শিরা বা ধমনির কোনওটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ৷ রোগীর গলা কেটে 6-7 সেন্টিমিটার লম্বা ধাতব তারের অংশটিকে আমরা সফলভাবে বের করে আনতে পেরেছি ৷"

কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার ৷ গলা কেটে 6-7 সেন্টিমিটার লম্বা ধাতব তারের টুকরো বের করা হল কাকদ্বীপের ধনঞ্জয় বল্লভের শরীর থেকে । অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ রয়েছেন ওই যুবক ৷ এক সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ৷

বাড়িতে বসে নিশ্চিন্তে মুড়ি খাচ্ছিলেন বছর 20-র ধনঞ্জয় বল্লভ । হঠাৎই তাঁর গলায় কিছু একটা আটকে যায়৷ তিনি শ্বাস নিতেও পারছিলেন না ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৷ তাঁর গলার এক্সরে করা হয়৷ দেখা যায় তাঁর খাদ্যনালীতে একটি তারের টুকরোর মতো কিছু আটকে রয়েছে৷ ধনঞ্জয়ের পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে সেখানে তাঁর চিকিৎসা সম্ভব ছিল না ৷ তাঁকে পাঠানো হয় কলকাতায় ৷

27 অগাস্ট তাঁকে নিয়ে আসা হয় NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ সেখানে তাঁর পুরোনো এক্সরে রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন ENT বিভাগের চিকিৎসকরা৷ ওই দিনই তাঁকে ভরতি করা হয় ৷ অস্ত্রোপচার করে তারের টুকরোটিকে বের করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা । এর পর, আবার ধনঞ্জয়ের গলায় এক্স-রে করানো হয় । অস্ত্রোপচারের আগে তারের টুকরোটির অবস্থান জেনে নেওয়া জরুরি ছিল । দ্বিতীয় বার এক্সরে করার পর চিকিৎসকরা দেখতে পান, তারের অংশটি রোগীর খাদ্যনালী ভেদ করে গলার পেশির মধ্যে গেঁথে গিয়েছে ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মস্তিস্কে রক্ত যাওয়া এবং আসার জন্য যে দু'টি প্রধান ধমনি ও শিরা রয়েছে, সেই দু'টির গা ঘেঁষে তারের অংশটি রোগীর গলার পেশিতে গেঁথে গিয়েছিল । ফলে, অস্ত্রোপচার করে রোগীর গলা থেকে তারের অংশটি বের করা অত্যন্ত ঝুঁকির এবং জটিল হয়ে পড়েছিল ।

এই অস্ত্রোপচার কেন ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল হয়ে উঠেছিল?

NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ENT বিভাগের চিকিৎসক সিদ্ধার্থ দাস বলেন, " অস্ত্রোপচারের সময় ধাতব তারের ওই অংশটি যদি শিরা বা ধমনি কোনওটিকে ফুটো করে দিত, তা হলে অপারেশন টেবিলেই রোগীর মৃত্যু হত ৷ বাঁচোয়া যে, ওই শিরা বা ধমনির কোনওটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ৷ রোগীর গলা কেটে 6-7 সেন্টিমিটার লম্বা ধাতব তারের অংশটিকে আমরা সফলভাবে বের করে আনতে পেরেছি ৷"

Intro:EXCLUSIVE

কলকাতা, ৬ সেপ্টেম্বর: নিশ্চিন্তে মুড়ি খাচ্ছিলেন বছর ২০-র ধনঞ্জয় বল্লভ। অথচ, মুড়ির মধ্যে যে ধাতব তারের একটি অংশ রয়েছে, তা তাঁর দুঃস্বপ্নেও আসেনি। মুড়ি খেতে গিয়ে ধাতব তারের ওই অংশটি তাঁর খাদ্যনালীতে আটকে যায়। তার জেরেই, প্রাণসংশয়ে পড়ে যান তিনি। অবশেষে, গলা কেটে ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল অস্ত্রোপচারে বের করা হল ৬-৭ সেন্টিমিটার লম্বা ধাতব তারের ওই অংশটি। আর, এ ভাবেই, সফল অস্ত্রোপচারে এই তরুণের প্রাণ রক্ষা করলেন NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
Body:মুড়ির সঙ্গে এমন অনেক কিছুই থাকতে পারে, খাওয়ার সময় সতর্ক না থাকার কারণে সে সবের জেরে বড় ধরনের বিপত্তি ঘটে যেতে পারে। বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে পরিস্থিতি। এমনকী, প্রাণসংশয়ও দেখা দিতে পারে। মুড়ি খাওয়ার সময় কিছু একটা আটকে গিয়েছে। এমন সমস্যা নিয়ে গত ২৭ অগাস্ট NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন কাকদ্বীপের বাসিন্দা ধনঞ্জয় বল্লভ। এই হাসপাতালে আসার আগে অন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন এই রোগী। তাঁর এক্স-রে করানো হয়েছিল। NRS-এর ENT বিভাগের চিকিৎসকরা ওই এক্স-রে প্লেটে দেখেন, এই রোগীর খাদ্যনালীতে ধাতব তারের একটি অংশ আটকে রয়েছে।

ওই দিনই এই রোগীকে ভর্তি নিয়ে নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে ধাতব তারের ওই অংশটিকে বের করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। এর পরে, আবার এই রোগীর গলায় এক্স-রে করানো হয়। কারণ, অস্ত্রোপচারের আগে ধাতব তারের ওই অংশটির অবস্থান জেনে নেওয়া জরুরি ছিল। দ্বিতীয় বারের এক্স-রে প্লেট পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা দেখেন, ধাতব ওই তারের অংশটি খাদ্যনালী ভেদ করে গলার মধ্যে গেঁথে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ব্রেনে রক্ত যাওয়া এবং আসার জন্য যে দু'টি প্রধান শিরা রয়েছে, সেই দু'টি শিরার গা ঘেঁষে ধাতব তারের ওই অংশটি রোগীর গলায় গেঁথে গিয়েছে। এর ফলে, অস্ত্রোপচার করে ধাতব তারের ওই অংশটি বের করার বিষয়টি চিকিৎসকদের কাছে অত্যন্ত ঝুঁকির এবং জটিল হয়ে দাঁড়ায়।
Conclusion:অবশেষে, গতকাল, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর এই রোগীর গলায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এই অস্ত্রোপচার কেন ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল হয়ে উঠেছিল? NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ENT বিভাগের চিকিৎসক সিদ্ধার্থ দাস বলেন, "অস্ত্রোপচারের সময় ধাতব তারের ওই অংশটি যদি ওই দু'টি শিরার কোনওটিকে ফুঁটো করে দিত, তা হলে অপারেশন টেবিলেই রোগীকে আর বাঁচানো সম্ভব হতো না। শিরা দু'টির গা ঘেঁষে ধাতব তারের অংশটি গলায় গেঁথে গিয়েছিল। বাঁচোয়া যে, ওই দু'টি শিরার কোনওটিকে ফুঁটো করে গলায় গেঁথে যায়নি ধাতব তারের ওই অংশটি। গলা কেটে ৬-৭ সেন্টিমিটার লম্বা ধাতব তারের অংশটিকে আমরা বের করেছি।" এই অস্ত্রোপচারে অন্য চিকিৎসক হিসাবে ছিলেন অর্পিতা মহান্তি এবং দুই অ্যানাস্থেশিস্ট, চিকিৎসক কেকা আর, চিকিৎসক তিস্তা। চিকিৎসক সিদ্ধার্থ দাস বলেন, "এই রোগী এখন ভালো আছেন। সপ্তাহ খানিক পরে তাঁকে ছুটি দেওয়া হতে পারে।"
_______


ছবি:
wb_kol_03a_nrs_ent_operation_pic_7203421
এবং,
wb_kol_03b_nrs_ent_operation_pic_7203421
এক্স-রে প্লেটের ছবি

wb_kol_03c_nrs_ent_operation_pic_7203421
অস্ত্রোপচারে বের করা ধাতব তারের অংশটির ছবি

wb_kol_03d_nrs_ent_operation_pic_7203421
রোগীর ছবি




ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.