কলকাতা, 5 নভেম্বর : বাজি ফাটানোর সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । পাশাপাশি, কী বাজি ফাটানো যেতে পারে তা নিয়েও স্পষ্ট নির্দেশ ছিল আদালতের ৷ ছিল প্রশাসনের গাইডলাইনও । শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানোর নির্দেশ ছিল এবারের কালীপুজো, দীপাবলিতে ৷ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল শব্দবাজি ৷ কিন্তু বাস্তবে আলাদা দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কলকাতা । কালীপুজোয় শব্দ বাজ ফাটল দেদার ।
শব্দবাজির এই দাপট নিয়ে প্রায় একশোটি অভিযোগ জমা পড়েছে লালবাজারে ৷ অভিযোগ জমা পড়েছে বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও ৷ এছাড়াও 100 নম্বর ডায়াল করেও অনেকে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ রাত যত বেড়েছে, বেড়েছে অভিযোগের সংখ্যাও ৷
লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতার একাধিক জায়গা থেকে এদিন শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ এলেও সব থেকে বেশি অভিযোগ এসেছে কলকাতা পুলিশের এসএসডি ডিভিশন থেকে । যাদবপুর, গড়ফা, রিজেন্ট পার্ক-সহ একাধিক জায়গা থেকে লালবাজারের 100 নম্বরে ফোন এসেছে বৃহস্পতিবার রাতে । কলকাতা পুলিশের বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপের নম্বরেও জমা পড়ে একাধিক অভিযোগ । অনেকেই লাইভ লোকেশনও শেয়ার করেছেন পুলিশের সঙ্গে ।
আরও পড়ুন : Tarapith : সন্ধ্যারতি দেখতে তারাপীঠে উপছে পড়ল পুণ্যার্থীদের ভিড়
লালবাজার কোনও অভিযোগ পেলেই, তা স্থানীয় থানাকে জানানো হয়েছে । লালবাজার সূত্রের খবর, কালীপুজোর দিন দুপুর থেকে রাত অবধি শব্দবাজি ফাটানোর জন্য 30 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পুলিশের তরফে ছিল নজরদারির বিশেষ ব্যবস্থাও ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও এড়ানো যায়নি শহরে শব্দবাজির দাপট ৷