কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: বিরোধী জোটের বৈঠকের আগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এর পর দিনই কলকাতায় সমাবেশ থেকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, "রাহুল গান্ধি কেন, কেউই ভাইপোকে বাঁচাতে পারবে না ৷ পুজোর আগে তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ না-করলে আমরা সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করব ৷"
সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সেই দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে ৷ মুজাফফর আহমেদ ভবন সূত্রে খবর, আগামী 5 অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে বামেরা ৷ শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি, গরু-কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত মূল অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতেই এই অভিযান ৷ কারণ, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে নেতাদের বক্তব্য, ইডি-সিবিআই অপরাধীদের ধরব ধরব করছে ৷ কিন্তু ধরছে না ৷ তথ্য ধামাচাপা দিয়ে এই টালবাহানা আর বেশিদিন চলতে দেওয়া যাবে না ৷ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে ৷ বিজেপি-তৃণমূলের বিরোধিতা উপর উপর ৷ ভিতরকার বোঝাপড়া বেশি দিন মেনে নেওয়া যাবে না ৷
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ইডি, সিবিআই-এর কাছে যদি সব প্রমাণ থাকে, তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন ? দিল্লির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সমঝোতা করে চলেছেন ৷ এতে তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষেরই লাভ ৷ দুর্নীতিগ্রস্তরা ভাগাভাগি করে দুই দলের মধ্যেই রয়েছে ৷ তাই তথ্য ধামাচাপা দিচ্ছে দু'পক্ষই ৷ নারদ, চিটফান্ড, নিয়োগ দুর্নীতিতে আজ পর্যন্ত কোনও চার্জশিট দেয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷" তিনি আরও জানান, যাঁদের গ্রেফতার করার কথা, তাঁদের গ্রেফতার না-করে বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছে ৷ এরই প্রতিবাদে 5 অক্টোবর বামেরা সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে ৷
আরও পড়ুন: সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেক, কী কী জানতে চায় ইডি ?
সিপিএমের বহু নেতারই বক্তব্য, চার্জশিট পেশ করতে আর কতদিন সময় নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ 9 বছর পেরিয়ে গিয়েছে ৷ এখনও চিটফান্ড মামলার চার্জশিট জমা করতে আর কত সময় লাগবে ? নারদ স্টিং অপারেশনে শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়দের হাতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে ৷ তারপরও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না ? শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন ৷ সেইজন্য কি ওই মামলা নিয়ে উচ্চবাচ্য করা হচ্ছে না ? আসলে তৃণমূল-বিজেপির এই বোঝাপড়া সবার কাছে পরিষ্কার ৷