কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পরই তিনি রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ অন্য দলে না যাওয়ার কথাও বলেছিলেন ৷ কিন্তু, মাস দেড়েক কাটতে না কাটতেই ঘাসফুলের পতাকা হাতে নিলেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ তাঁর দলবদলের পরই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, কেন তৃণমূলে যোগ দিলেন আসানসোলের সাংসদ ৷ শুধু বাবুল নয়, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে একের পর নেতা দলবদল করেছেন ৷ যা নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, জার্সিবদলই বাংলার রাজনীতির ভবিষ্যৎ ৷
রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএম বাবুলের দলবদল নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলকে আক্রমণ করল ৷ রাজ্যের প্রাক্তন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "বাবুল সুপ্রিয় অভিষেকের হাত থেকে চুপিচুপি পতাকা বদল করেছেন । কদিন আগে তিনি যখন বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তখন যে কথা তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আজ তার উল্টো কথাই তাঁকে বলতে হচ্ছে । ন্যায়, নীতি, আদর্শের জলাঞ্জলি দিয়ে বার বার এই দলবদল বাংলার মানুষ কখনওই ভালভাবে নেয়নি । আগামীতেও নেবে না। সবচেয়ে বড় কথা, মন্ত্রিত্ব যতদিন থাকবে দলে থাকব । আর চলে গেলে দল ছাড়ব, এটা রাজনীতির লক্ষ্য হতে পারে না । একইসঙ্গে বলতে হয় বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষ তো আস্থা রাখতে পারছেই না। দলের নেতা-কর্মীরাও আর আস্থা রাখতে পারছেন না। সবচেয়ে বড় কথা এখন দলবদল ব্যবসায়িক অ্যাঙ্গেল থেকে হচ্ছে । নিজের লাভ যত ক্ষণ ততক্ষণ এক দলে ৷ তারপরই লাভের খোঁজে অন্য দলে... এই প্রবণতাটাই খারাপ ।"
আরও পড়ুন, Babul Supriyo : মোদির ‘পছন্দের’ বাবুল কি রাজ্যসভায় নাকি রাজ্য মন্ত্রিসভায় ? জল্পনা তুঙ্গে
এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "বাংলার ফুটবলে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডানের জার্সি বদল দেখেছি । কিন্ত বাংলার রাজনীতিতে জার্সি বদলের বর্তমান প্রবণতাটা নতুন । এটা বাংলার সংস্কৃতি নয় । আমার বার বার মনে হচ্ছে, নির্বাচনের আগে দলে দলে নেতাদের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার সময় যেমন তা ঠিক ছিল না এটাও ঠিক নয়। এখানে পলিটিক্সের ক্ষেত্রে যে খেলা শুরু হয়েছে, তাঁতে জার্সি বদলটাই শুধু চলতে থাকবে ।"
আরও পড়ুন, Nachiketa on Babul : সঠিক পথটা বাছতে এত দেরি কেন বাবুলের, প্রশ্ন নচিকেতার
বাবুলের দলবদল নিয়ে অবশ্য বিজেপিকে আক্রমণ করলেন দমদমের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সৌগত রায় ৷ তিনি বলেন, "বিজেপির সঙ্গে থাকলে বর্তমানও নেই, ভবিষ্যৎও নেই । উনি বুঝেছেন বাংলায় আগামীদিনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল । তাই তৃণমূল নেত্রীর হাত শক্ত করতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন ।"