কলকাতা, 24 জুলাই : স্বচ্ছ ও ন্যায্য মূল্যে চিকিৎসার দাবিতে আজ বিক্ষোভ দেখান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি প্রমুখ । পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন । সপ্তাহ খানেক ধরে বাইপাস সংলগ্ন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা । বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল CPI(M) কর্মীসমর্থকরা ।
বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অস্বাভাবিক চিকিৎসা খরচ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের সরকার উদাসীন । বেসরকারি হাসপাতালে কোরোনা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় 7 থেকে 8 লাখ টাকা । যা সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে । ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের ধারে সারিবদ্ধ ভাবে যে বেসরকারি হাসপাতালগুলো রয়েছে প্রত্যেকটি হাসপাতালে অস্বচ্ছতার সঙ্গে রোগীদের সঙ্গে ব্যবসা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি ।
দুই বাম নেতা সতর্ক করে বলেছেন, চিকিৎসার নামে কর্পোরেট লুট করছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো । কোভিড বেড বৃদ্ধি, খরচের উর্ধ্বসীমা নিয়ন্ত্রণ, হাসপাতাল ভিত্তিক সেফহোম ও কোভিড হেল্পলাইন চালু করা অত্যন্ত জরুরি। না হলে চিকিৎসা না পেয়ে রাজ্যের বহু মানুষের মৃত্যু হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, "অবিলম্বে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সকলের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে । রাজ্যের এই ভয়ঙ্কর অতিমারীর পরিস্থিতিতেও চিকিৎসার নামে ব্যবসা করছে । কোভিড চিকিৎসার জন্য এখনও পর্যন্ত শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়নি । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমগ্র বিষয়টি জানার পরেও নীরব রয়েছেন । আসলে এই হাসপাতালগুলো থেকে শাসকদল তোলা তোলে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই খরচ মেটাতেই অবৈধভাবে রোগীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ শোষণ করছে । আজ আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন দিলাম । সমগ্র বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে । সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টনক না নড়লে সমুচিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
রাজ্যের প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি বলেন, "সরকারি হাসপাতালগুলোতে যথাযথ চিকিৎসার পরিকাঠামো না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালে উপর নির্ভর করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিচ্ছে হাসপাতালগুলো । এমন মারণ রোগের চিকিৎসা করাতে এসে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ । রাজ্য সরকারের উদাসীনতার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে সুযোগ নেওয়া হচ্ছে । এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে রাজ্যে মৃত্যুর মিছিল বেড়ে যাবে ।"