ETV Bharat / state

জরুরি অবস্থার স্মৃতিচারণ করে তৃণমূল-BJP-কে আক্রমণ বাম নেতাদের - তৃণমূল-BJP-কে আক্রমণ প্রবীণ বাম নেতাদের

জরুরি অবস্থার 40 বছর পূর্তি হতে চলেছে ৷ বর্তমানের প্রবীণ বাম নেতারা সেই সময়ে ছাত্রজীবনে পা দিয়েছিলেন ৷ ফলে সেই জরুরি অবস্থার স্মৃতি এখনও দগদগে ৷ সেই স্মৃতি চারণা করেই তৃণমূল ও BJP-কে আক্রমণ করলেন বিমান-সেলিম-শ্যামল ৷

CPI(M) Leaders
বিমান-সেলিম-শ্যামল
author img

By

Published : Jun 25, 2020, 10:31 PM IST

কলকাতা, 25 জুন : 1975 সালের 25 জুন থেকে দেশে জরুরি অবস্থা কার্যকর করেছিল ইন্দিরা গান্ধির সরকার ৷ সেই সময় আজকের প্রবীণ বাম নেতারা ছাত্রজীবনে পা দিয়েছিলেন ৷ ফলে সেই জরুরি অবস্থার স্মৃতি এখনও দগদগে ৷ সেই স্মৃতি চারণা করে তৃণমূল ও BJP-কে আক্রমণ করলেন বিমান-সেলিম-শ্যামল ৷ বললেন, "ইন্দিরা গান্ধির জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ংকর দিকে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার ৷ আর দেশের ক্ষেত্রে সেই কাজ করছে BJP ৷"

জরুরি অবস্থার স্মৃতিচারণা করে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "দুপুরবেলা ঘরে ঢুকে পড়তে হত ৷ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না ৷ সংবাদমাধ্যমেরেও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল ৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত অবহেলার শিকার হয়েছিল তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ ৷ বহু মানুষকে গুম করা হয়েছিল ৷ তাঁদের মধ্যে অনেককে চিনতাম ৷ রাজনীতি করতে এসে তাঁদের সঙ্গে একাত্ম হয়েছিলাম ৷ আবার অনেক লোক পৃথিবী থেকে নিখোঁজও হয়ে যায় সেইসময় ৷ আজ সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে শিহরণ জাগে ৷ মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বহু বামপন্থী কর্মী-সমর্থককে । সেইসময় রাজ্যে BJP-র প্রাদুর্ভাব ছিল না । সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হলে ঠিক থাকত না ঘরে আর ফিরতে পারব কি না । এই ছিল জরুরি সময়ের অবস্থা । বর্তমান শাসক দলের সঙ্গেও সেইসময়ের বেশকিছু মিল লক্ষ্য করছি । দিনের পর দিন জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ংকর দিকে যাচ্ছে এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার । "

একইভাবে তৃণমূল ও BJP-র দিকে আঙুল তুললেন মহম্মদ সেলিম ৷ তিনি বলেন, "জরুরি অবস্থা হয়েছিল বলেই রাজনীতিতে এসেছিলাম ৷ 1975-এ জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়েছিল ৷ কিন্তু 1970-এর গোড়া থেকেই রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা ছিল ৷ ঠিক সেরকমই রাজ্যে এখন অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে ৷ যেদিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন সেদিন থেকে রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে ৷ কার্টুন আঁকলেও জেলে যেতে হবে ৷ ফেসবুক পোস্ট করলেও আক্রান্ত হতে হবে ৷ মিথ্যে মামলায় মানুষকে জেলে যেতে হবে ৷ বামপন্থী কর্মীদের জেল নয় তো জরিমানা ৷ "

এরপর BJP-কে আক্রমণ করে সেলিম বলেন, "মোদি সরকার আসার পরও একই জিনিস হচ্ছে ৷ যাঁরা দিল্লিতে CAA, NPR , NRC-র বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ৷ আর এখন সংবাদমাধ্যমকে এই কাজের পক্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ "

শ্রমিক নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তী জানান, "শারীরিকভাবে বহু মানুষকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল জরুরি সময়ে । দিনের পর দিন বন্দীদের রাখা হয়েছিল অনাহারে, অর্ধাহারে । প্রচুর মানুষকে খুন করা হয়েছিল । প্রমাণ থাকলেও নথিভুক্ত হয়নি তাদের পরিচয় । সে এক অরাজক অবস্থা । আইন অনুশাসনের প্রশাসন বলে রাজ্যে কিছু ছিল না । মানুষের ক্ষতি হয়েছে চূড়ান্তভাবে সেইসময় । আজিজুল হককে মার খেতে দেখেছি সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের পুলিশের হাতে । আমাদেরও বহু বাম ছাত্র নেতৃত্ব নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সেইসময় । বর্তমানে রাজ্যের যা অবস্থা, সেদিকেই আবার এগোচ্ছে কি না সংশয় হয় ৷"

কলকাতা, 25 জুন : 1975 সালের 25 জুন থেকে দেশে জরুরি অবস্থা কার্যকর করেছিল ইন্দিরা গান্ধির সরকার ৷ সেই সময় আজকের প্রবীণ বাম নেতারা ছাত্রজীবনে পা দিয়েছিলেন ৷ ফলে সেই জরুরি অবস্থার স্মৃতি এখনও দগদগে ৷ সেই স্মৃতি চারণা করে তৃণমূল ও BJP-কে আক্রমণ করলেন বিমান-সেলিম-শ্যামল ৷ বললেন, "ইন্দিরা গান্ধির জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ংকর দিকে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার ৷ আর দেশের ক্ষেত্রে সেই কাজ করছে BJP ৷"

জরুরি অবস্থার স্মৃতিচারণা করে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "দুপুরবেলা ঘরে ঢুকে পড়তে হত ৷ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না ৷ সংবাদমাধ্যমেরেও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল ৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত অবহেলার শিকার হয়েছিল তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ ৷ বহু মানুষকে গুম করা হয়েছিল ৷ তাঁদের মধ্যে অনেককে চিনতাম ৷ রাজনীতি করতে এসে তাঁদের সঙ্গে একাত্ম হয়েছিলাম ৷ আবার অনেক লোক পৃথিবী থেকে নিখোঁজও হয়ে যায় সেইসময় ৷ আজ সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে শিহরণ জাগে ৷ মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বহু বামপন্থী কর্মী-সমর্থককে । সেইসময় রাজ্যে BJP-র প্রাদুর্ভাব ছিল না । সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হলে ঠিক থাকত না ঘরে আর ফিরতে পারব কি না । এই ছিল জরুরি সময়ের অবস্থা । বর্তমান শাসক দলের সঙ্গেও সেইসময়ের বেশকিছু মিল লক্ষ্য করছি । দিনের পর দিন জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ংকর দিকে যাচ্ছে এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার । "

একইভাবে তৃণমূল ও BJP-র দিকে আঙুল তুললেন মহম্মদ সেলিম ৷ তিনি বলেন, "জরুরি অবস্থা হয়েছিল বলেই রাজনীতিতে এসেছিলাম ৷ 1975-এ জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়েছিল ৷ কিন্তু 1970-এর গোড়া থেকেই রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা ছিল ৷ ঠিক সেরকমই রাজ্যে এখন অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে ৷ যেদিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন সেদিন থেকে রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে ৷ কার্টুন আঁকলেও জেলে যেতে হবে ৷ ফেসবুক পোস্ট করলেও আক্রান্ত হতে হবে ৷ মিথ্যে মামলায় মানুষকে জেলে যেতে হবে ৷ বামপন্থী কর্মীদের জেল নয় তো জরিমানা ৷ "

এরপর BJP-কে আক্রমণ করে সেলিম বলেন, "মোদি সরকার আসার পরও একই জিনিস হচ্ছে ৷ যাঁরা দিল্লিতে CAA, NPR , NRC-র বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ৷ আর এখন সংবাদমাধ্যমকে এই কাজের পক্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ "

শ্রমিক নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তী জানান, "শারীরিকভাবে বহু মানুষকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল জরুরি সময়ে । দিনের পর দিন বন্দীদের রাখা হয়েছিল অনাহারে, অর্ধাহারে । প্রচুর মানুষকে খুন করা হয়েছিল । প্রমাণ থাকলেও নথিভুক্ত হয়নি তাদের পরিচয় । সে এক অরাজক অবস্থা । আইন অনুশাসনের প্রশাসন বলে রাজ্যে কিছু ছিল না । মানুষের ক্ষতি হয়েছে চূড়ান্তভাবে সেইসময় । আজিজুল হককে মার খেতে দেখেছি সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের পুলিশের হাতে । আমাদেরও বহু বাম ছাত্র নেতৃত্ব নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সেইসময় । বর্তমানে রাজ্যের যা অবস্থা, সেদিকেই আবার এগোচ্ছে কি না সংশয় হয় ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.