মালদা, 24 সেপ্টেম্বর : এবার মালদা মেডিক্যাল কলেজে করোনা আক্রান্ত শিশুর সন্ধান মিলল । ওই শিশুর লালারসে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই তাকে নিজেদের দায়িত্বে অন্য জায়গায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে চলে যায় পরিবারের লোকজন । তবে শিশুর নাম ও পরিচয় গোপন রেখেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ । যদিও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেও ওই শিশুকে মেডিক্যাল কলেজ কীভাবে ছেড়ে দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মেডিক্যাল কলেজের শিশুবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে বছর পাঁচেকের একটি শিশুকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি করা হয় । তাকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়, শিশুটি করোনা আক্রান্ত হলেও হতে পারে । লালারস পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা শিশুটিকে করোনা ইউনিটে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন । তখনই বেঁকে বসে শিশুটির পরিবারের লোকজন। তাঁরা জানিয়ে দেন, মেডিক্যালে তাঁরা শিশুর চিকিৎসা করাবেন না । তাকে অন্য জায়গায় ভর্তি করবেন । এরপর বন্ডে স্বাক্ষর করে পরিবারের লোকজন ওই শিশুকে শিশুবিভাগ থেকে নিয়ে চলে যান ।
মালদা মেডিক্যাল কলেজের সহকারি অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার পুরঞ্জয় সাহা ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, “আমরা পরিবারের লোকজনকে বারবার জানিয়েছিলাম, এখানে করোনা চিকিৎসার ভাল পরিকাঠামো রয়েছে । কিন্তু আক্রান্ত শিশুর অভিভাবকরা এখানে বাচ্চার চিকিৎসা করাতে রাজি নন । তাঁরা অন্যত্র বাচ্চাটির চিকিৎসা করাবেন বলে সিদ্ধান্তে অটল থাকেন । অগত্যা আমরা শিশুটিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হই । কারণ আইনত আমরা জোর করে কাউকে এখানে আটকে রাখতে পারি না ।”
আরও পড়ুন : জ্বরে নয়, রক্তের সংক্রমণে মৃত এক; ছ’দিনে মালদা মেডিক্যালে মৃত্যু 8 শিশুর
এদিকে মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত শিশুবিভাগে ভর্তি ছিল 121 জন । গত 24 ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে 48টি শিশু । আজ দুপুর পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে 15টি শিশু । এই মুহূর্তে শিশুবিভাগে দুটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক । তবে প্রতিদিনই জ্বর-সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে মেডিক্যালে ভিড় বাড়ছে শিশুদের ৷
