ETV Bharat / state

Babughat Bus Stand : সাঁতরাগাছিতে স্থানান্তর করা যাবে না বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ড, দাবি বাস মালিকদের - Babughat bus stand cannot be shifted to Santragachi

সম্প্রতি পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে যে যত দ্রুত সম্ভব বাবুঘাটের বেসরকারি বাস ও মিনিবাস স্ট্যান্ডকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে সাঁতরাগাছি বাস ডিপোতে ৷ এ নিয়ে বাস মালিক পক্ষের দাবি বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করা হলে তাঁদের পক্ষে আর ব্যবসা চালানো সম্ভব হবে না। ব্যবসাগতভাবে আর্থিক মন্দায় মুখ থুবড়ে পড়তে হবে তাঁদের ৷ সে কারণে তাঁরা অনড় বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করা যাবে না (Babughat bus stand cannot be shifted to Santragachi ) ৷

Babughat Bus Stand
বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ড সাঁতরাগাছিতে স্থানান্তরিত করা যাবে না
author img

By

Published : Apr 23, 2022, 9:44 PM IST

কলকাতা, 23 এপ্রিল : আবারও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাবুঘাটের বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মালিকরা । কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দূরপাল্লার লাক্সারি বাসের মালিকদেরও । কারণ সম্প্রতি পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব বাবুঘাটের বেসরকারি বাস ও মিনিবাস স্ট্যান্ডকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে সাঁতরাগাছি বাস ডিপোতে । কিন্তু মালিক পক্ষের মতে, বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করা হলে তাঁদের পক্ষে আর ব্যবসা চালানো সম্ভব হবে না (Babughat bus stand cannot be shifted to Santragachi )। পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হাজার-হাজার কর্মী কর্মচ্যুত হবেন ।

শুধু বেসরকারি বাস ও মিনিবাসই নয়, বাবুঘাট থেকে আন্তঃরাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যাতায়াত করা দূরপাল্লার বাস মালিকরাও একেবারে মুখ থুবড়ে পড়বেন । ব্যবসাগতভাবে আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়তে হবে তাঁদের । কারণ এই বাসস্ট্যান্ডটি একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বলে যাত্রী সমাগমও হয় অনেক বেশি । বাবুঘাটের এই অংশটি চক্ররেল ও ফেরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত । অফিস পাড়া বলে এখানে অনেক বেশি যাত্রীও পাওয়া যায় ।

এতো গেল বাস মালিকদের দিক ৷ অন্যদিকে যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এখান থেকে বাস ধরাটা সুবিধার । সাঁতরাগাছি যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হল যে ওইদিকে কলকাতার সব রুটের বাস যায় না । পৌঁছনোর একমাত্র উপায় হল ট্যাক্সি বা আপ ক্যাব । সবার পক্ষে এত টাকা খরচ করে ট্যাক্সি করে গিয়ে বাস ধরা সম্ভব নয় । অর্থাৎ একজন যাত্রী যদি শ্যামবাজার থেকে সাঁতরাগাছির ট্যাক্সি করে বাস ধরতে যান তাহলে তার প্রচুর খরচ পড়ে যাবে ।

আরও পড়ুন : রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আজ রাত 12টা থেকে বন্ধ তারাতলা উড়ালপুল

এই বিষয়ে দূরপাল্লার বাস মালিক পূর্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, "বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ড সমস্যা নিয়ে তৎকালীন পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছিল । সেখানে ঠিক হয় যে এই অঞ্চলে যানজট এড়াতে বাসগুলি অন্যত্র পার্ক করা হবে ৷ আর ছাড়ার ঠিক এক ঘন্টা আগে বাবুঘাট ঢুকবে তারপর যাত্রী তুলে বাস বেরিয়ে যাবে । তারপর থেকেই আমরা ওইভাবেই চলছি ।" পূর্ণেন্দু কুণ্ডু-সহ বাকি বাস মালিকদের আশঙ্কা, বাবুঘাট থেকে সাঁতরাগাছিতে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের পরিবহণ ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে । পাশাপাশি এই বাবুঘাট পরিবহণকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অন্যান্য ব্যবসাও । এর সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষের কাজ চলে যাবে ।

বেসরকারি বাসের সঙ্গে যুক্ত বিরাজ ঘোষ ও সুবীর সামন্ত বলেন, "দীর্ঘদিন হয়ে গেল এখানে বেসরকারি বাসের স্ট্যান্ড রয়েছে । এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে আমরা কখনও ভাবিনি । পাশাপাশি ওইখানে গেলে আমরা কোনও যাত্রী পাব না । কারণ আমাদের বাসগুলি শহরের মধ্যে পরিষেবা দেয় ।" অন্যদিকে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা ইতিমধ্যে পরিবহণ ভবনকে তাদের এই '14 দিনের নির্দেশকে' পুনর্বিবেচনা করে দেখার কথা জানিয়েছি ।"

আরও পড়ুন : এবার মেট্রোর প্ল্যাটফর্মের দেওয়ালেও পড়বে বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, বাবুঘাট ও আউটরাম ঘাট সংলগ্ন এলাকা দূষিত হচ্ছে এই অভিযোগে ওখান থেকে বাসস্ট্যান্ড তুলে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত হয় । পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত এই বিষয়টিকে নিয়ে কলকাতা আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন । বাবুঘাট থেকে প্রতিদিন 60টি রুটের থেকে 200টি দূরপাল্লার বাস ছাড়ে । ঠিক একইভাবে শহরের বিভিন্ন রুটে বেসরকারি বাস ছাড়ে প্রায় 100 থেকে 150টা । প্রায় 8 থেকে 10 হাজার মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে রয়েছে এই ব্যবসার সঙ্গে ।

কলকাতা, 23 এপ্রিল : আবারও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাবুঘাটের বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মালিকরা । কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দূরপাল্লার লাক্সারি বাসের মালিকদেরও । কারণ সম্প্রতি পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব বাবুঘাটের বেসরকারি বাস ও মিনিবাস স্ট্যান্ডকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে সাঁতরাগাছি বাস ডিপোতে । কিন্তু মালিক পক্ষের মতে, বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করা হলে তাঁদের পক্ষে আর ব্যবসা চালানো সম্ভব হবে না (Babughat bus stand cannot be shifted to Santragachi )। পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হাজার-হাজার কর্মী কর্মচ্যুত হবেন ।

শুধু বেসরকারি বাস ও মিনিবাসই নয়, বাবুঘাট থেকে আন্তঃরাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যাতায়াত করা দূরপাল্লার বাস মালিকরাও একেবারে মুখ থুবড়ে পড়বেন । ব্যবসাগতভাবে আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়তে হবে তাঁদের । কারণ এই বাসস্ট্যান্ডটি একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বলে যাত্রী সমাগমও হয় অনেক বেশি । বাবুঘাটের এই অংশটি চক্ররেল ও ফেরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত । অফিস পাড়া বলে এখানে অনেক বেশি যাত্রীও পাওয়া যায় ।

এতো গেল বাস মালিকদের দিক ৷ অন্যদিকে যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এখান থেকে বাস ধরাটা সুবিধার । সাঁতরাগাছি যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হল যে ওইদিকে কলকাতার সব রুটের বাস যায় না । পৌঁছনোর একমাত্র উপায় হল ট্যাক্সি বা আপ ক্যাব । সবার পক্ষে এত টাকা খরচ করে ট্যাক্সি করে গিয়ে বাস ধরা সম্ভব নয় । অর্থাৎ একজন যাত্রী যদি শ্যামবাজার থেকে সাঁতরাগাছির ট্যাক্সি করে বাস ধরতে যান তাহলে তার প্রচুর খরচ পড়ে যাবে ।

আরও পড়ুন : রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আজ রাত 12টা থেকে বন্ধ তারাতলা উড়ালপুল

এই বিষয়ে দূরপাল্লার বাস মালিক পূর্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, "বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ড সমস্যা নিয়ে তৎকালীন পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছিল । সেখানে ঠিক হয় যে এই অঞ্চলে যানজট এড়াতে বাসগুলি অন্যত্র পার্ক করা হবে ৷ আর ছাড়ার ঠিক এক ঘন্টা আগে বাবুঘাট ঢুকবে তারপর যাত্রী তুলে বাস বেরিয়ে যাবে । তারপর থেকেই আমরা ওইভাবেই চলছি ।" পূর্ণেন্দু কুণ্ডু-সহ বাকি বাস মালিকদের আশঙ্কা, বাবুঘাট থেকে সাঁতরাগাছিতে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের পরিবহণ ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে । পাশাপাশি এই বাবুঘাট পরিবহণকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অন্যান্য ব্যবসাও । এর সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষের কাজ চলে যাবে ।

বেসরকারি বাসের সঙ্গে যুক্ত বিরাজ ঘোষ ও সুবীর সামন্ত বলেন, "দীর্ঘদিন হয়ে গেল এখানে বেসরকারি বাসের স্ট্যান্ড রয়েছে । এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে আমরা কখনও ভাবিনি । পাশাপাশি ওইখানে গেলে আমরা কোনও যাত্রী পাব না । কারণ আমাদের বাসগুলি শহরের মধ্যে পরিষেবা দেয় ।" অন্যদিকে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা ইতিমধ্যে পরিবহণ ভবনকে তাদের এই '14 দিনের নির্দেশকে' পুনর্বিবেচনা করে দেখার কথা জানিয়েছি ।"

আরও পড়ুন : এবার মেট্রোর প্ল্যাটফর্মের দেওয়ালেও পড়বে বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, বাবুঘাট ও আউটরাম ঘাট সংলগ্ন এলাকা দূষিত হচ্ছে এই অভিযোগে ওখান থেকে বাসস্ট্যান্ড তুলে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত হয় । পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত এই বিষয়টিকে নিয়ে কলকাতা আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন । বাবুঘাট থেকে প্রতিদিন 60টি রুটের থেকে 200টি দূরপাল্লার বাস ছাড়ে । ঠিক একইভাবে শহরের বিভিন্ন রুটে বেসরকারি বাস ছাড়ে প্রায় 100 থেকে 150টা । প্রায় 8 থেকে 10 হাজার মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে রয়েছে এই ব্যবসার সঙ্গে ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.