ETV Bharat / state

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হোক নতুন মুখ, চাইছে নেতৃত্ব - AICC

আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার, সহ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব । দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য পুরুলিয়া থেকে আসতে পারেননি বিধানসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার নেপাল মাহাতো । আসেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ।

প্রদেশ কংগ্রেস
প্রদেশ কংগ্রেস
author img

By

Published : Aug 20, 2020, 9:55 PM IST

কলকাতা, 20 অগাস্ট : টানা চার ঘণ্টার বৈঠক ৷ রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বাইরে বহু মানুষের অপেক্ষা । কিন্তু পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে হবেন তা নির্ধারণ করা গেল না ৷ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা আসতে পারলেন না সিদ্ধান্তে ৷ সভাপতি নির্বাচনে মতানৈক্য চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছোল । তবে যা খবর, কোনও সুপারিশ ছাড়া প্রদীপ ভট্টাচার্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়া মুশকিল । নাম উল্লেখ না করে কেউ কেউ আজকের বৈঠকে দাবি করলেন, একবার যিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন তাঁকে আর না করাই শ্রেয় ।

আজকের সরগরম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার-সহ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব । দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য পুরুলিয়া থেকে আসতে পারেননি বিধানসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার নেপাল মাহাত । আসেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও । বৈঠকে 6 জন প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রের খবর, অধীর রঞ্জন চৌধুরী ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হতে চান । অপেক্ষা শুধু AICC-র ৷ একবার প্রস্তাব দিলেই, অধীর চৌধুরির সম্মতি জানাবেন বলে মনে করেন কংগ্রেসের মায়া ঘোষ । তবে প্রত্যেকেই আজ বৈঠকে জানিয়েছেন "নতুন মুখ" প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হোক । বিধানসভার মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তীর নামও আজকের আলোচনায় উঠে আসে । যদিও আপত্তি জানিয়েছেন অনেকেই । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অসহিষ্ণু । খুব দক্ষ সংগঠক নন ৷ তাঁর দ্বারা প্রদেশ কংগ্রেস চালানো সম্ভব নয় । লোকসভাতে বহরমপুর থেকে অধীর চৌধুরী এক লাখ কুড়ি হাজার ভোটে লিড পান । মনোজ চক্রবর্তী দাঁড়ালে তা 30 হাজারের কমে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেন অনেকেই ।

সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর বহু নেতাই প্রদেশ সভাপতির দাবিদার । আজ এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, শুভঙ্কর সরকার, ঋজু ঘোষালেরা কেউ জেলায় কোনদিনও কাজ করেনি । ঋজু ঘোষাল অতীতে কামারহাটিতেও জিততে পারেননি । প্রদেশ কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে অনেক নেতাই চলেছেন । বৈঠকে ব্যক্তিগতস্তরেও আক্রমণ পৌঁছে যায় একসময় । সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর CPI(M)-এর সঙ্গে কংগ্রেসের কর্মসূচি প্রায় বন্ধ।

তাহলে কি CPI(M) এর সঙ্গে জোট ভেঙে যেতে পারে কংগ্রেসের? প্রশ্ন ছিল অনেকের । আজ বৈঠকে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়ে অনেকেই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন । রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছোটো ছোটো ব্যবসা চালান তৃণমূলের দাক্ষিণ্যে ।

যদিও সিংহভাগ নেতৃত্বের মত, প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করলে কংগ্রেসের ভাঙন আরও দ্রুত হবে । জেলার নেতৃত্বকেই এক্ষেত্রে সকলেই সমর্থন করছে । অতীতে যারা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন তাঁদের মধ্যে থেকে না বেছে, জেলা থেকে নতুন মুখ বাছার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেকে ৷

কলকাতা, 20 অগাস্ট : টানা চার ঘণ্টার বৈঠক ৷ রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বাইরে বহু মানুষের অপেক্ষা । কিন্তু পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে হবেন তা নির্ধারণ করা গেল না ৷ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা আসতে পারলেন না সিদ্ধান্তে ৷ সভাপতি নির্বাচনে মতানৈক্য চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছোল । তবে যা খবর, কোনও সুপারিশ ছাড়া প্রদীপ ভট্টাচার্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়া মুশকিল । নাম উল্লেখ না করে কেউ কেউ আজকের বৈঠকে দাবি করলেন, একবার যিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন তাঁকে আর না করাই শ্রেয় ।

আজকের সরগরম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার-সহ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব । দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য পুরুলিয়া থেকে আসতে পারেননি বিধানসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার নেপাল মাহাত । আসেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও । বৈঠকে 6 জন প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রের খবর, অধীর রঞ্জন চৌধুরী ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হতে চান । অপেক্ষা শুধু AICC-র ৷ একবার প্রস্তাব দিলেই, অধীর চৌধুরির সম্মতি জানাবেন বলে মনে করেন কংগ্রেসের মায়া ঘোষ । তবে প্রত্যেকেই আজ বৈঠকে জানিয়েছেন "নতুন মুখ" প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হোক । বিধানসভার মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তীর নামও আজকের আলোচনায় উঠে আসে । যদিও আপত্তি জানিয়েছেন অনেকেই । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অসহিষ্ণু । খুব দক্ষ সংগঠক নন ৷ তাঁর দ্বারা প্রদেশ কংগ্রেস চালানো সম্ভব নয় । লোকসভাতে বহরমপুর থেকে অধীর চৌধুরী এক লাখ কুড়ি হাজার ভোটে লিড পান । মনোজ চক্রবর্তী দাঁড়ালে তা 30 হাজারের কমে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেন অনেকেই ।

সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর বহু নেতাই প্রদেশ সভাপতির দাবিদার । আজ এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, শুভঙ্কর সরকার, ঋজু ঘোষালেরা কেউ জেলায় কোনদিনও কাজ করেনি । ঋজু ঘোষাল অতীতে কামারহাটিতেও জিততে পারেননি । প্রদেশ কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে অনেক নেতাই চলেছেন । বৈঠকে ব্যক্তিগতস্তরেও আক্রমণ পৌঁছে যায় একসময় । সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর CPI(M)-এর সঙ্গে কংগ্রেসের কর্মসূচি প্রায় বন্ধ।

তাহলে কি CPI(M) এর সঙ্গে জোট ভেঙে যেতে পারে কংগ্রেসের? প্রশ্ন ছিল অনেকের । আজ বৈঠকে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়ে অনেকেই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন । রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছোটো ছোটো ব্যবসা চালান তৃণমূলের দাক্ষিণ্যে ।

যদিও সিংহভাগ নেতৃত্বের মত, প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করলে কংগ্রেসের ভাঙন আরও দ্রুত হবে । জেলার নেতৃত্বকেই এক্ষেত্রে সকলেই সমর্থন করছে । অতীতে যারা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন তাঁদের মধ্যে থেকে না বেছে, জেলা থেকে নতুন মুখ বাছার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেকে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.