কলকাতা , 11 ডিসেম্বর : দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবর লেক । যা ঢাকুরিয়া লেক নামেও পরিচিত । শতাধিক পুরানো গাছের সম্ভার , শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা , লেকের ধারে মুক্ত বাতাস বারবার শহরবাসীকে টেনে আনে এখানে । আর প্রাতঃভ্রমণকারীদের জন্য তো আদর্শ জায়গা এই লেক । তবে এই লেকের বেহাল দশা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠে এসেছে । সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট । হাইকোর্টের রায় মেনে এই বছর রবীন্দ্র সরোবর লেকে বন্ধ ছিল ছটপুজো । কিন্তু ছটপুজো বন্ধ করেও কি অবস্থার উন্নতি হয়েছে ?
লেকের জলে মাঝেমধ্যেই ভাসতে দেখা যায় মৃত মাছ । প্লাস্টিকের বোতল কিংবা চিপসের প্যাকেট । জলের দূষণ মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরোবরে থাকা জলজ প্রাণীদের জীবন এখন সঙ্কটে । পরিবেশবিদ সুমিতা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন , কোর্টের নির্দেশ দেখিয়ে এই বছর ছটপুজো বন্ধ করা গেছে । কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে কোর্টের অন্যান্য নির্দেশগুলি এখনও পালন করা হচ্ছে না । মাঝেমধ্যেই জলে কোল্ড্রিংসের বোতল , চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখা যায় । ফলে জল দূষণের মাত্রা বাড়ে । প্রায়শই মাছ মারা যায় । পার্কের বেহাল দশার বড় কারণ জনসচেতনতার অভাব । এখনও বহু মানুষ জলের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে আবর্জনা ফেলে দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলছে । জলের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় এবং দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে ।
আরও পড়ুন , রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো নয়, গ্রিন ট্রাইবুনালে মুখ পুড়ল রাজ্যের
স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন , লকডাউনের আগে রবীন্দ্র সরোবরের অবস্থা অনেক বেশি শোচনীয় ছিল । সরোবরের যত্রতত্র প্লাস্টিকের প্যাকেট , জলের বোতল পড়ে থাকত এবং দূষণও অনেক বেশি ছিল । লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন রবীন্দ্র সরোবর লেক বন্ধ থাকায় দূষণের মাত্রা কিছুটা কমেছে । এখন বেশি লোক না আসায় রবীন্দ্র সরোবরের জলে প্লাস্টিকের প্যাকেট , কোল্ড্রিংসের বোতল , জলের বোতল তুলনামূলক কম । তবে এখনও মাঝেমধ্যেই জলে মরা মাছ পড়ে থাকতে দেখা যায় ।