কলকাতা, 8 নভেম্বর: উত্তপ্ত হয়ে উঠল আইআইএম কলকাতা ক্যাম্পাস (IIM Calcutta Campus) ৷ মেসের খাবার নিয়ে ছড়াল উত্তেজনা । পড়ুয়াদের দাবি, ক্যাম্পাসে যে চারটি মেস রয়েছে তার মধ্যে একটিতে খাবারের গুণগতমান অত্যন্ত খারাপ । এই নিয়ে পড়ুয়ারা আগেও অনেকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন । তবে আজ তাঁরা খাবারে দেখত পান লোহার তার ও পোকামাকড় (Insects iron wire found in food) ৷ এমনটাই অভিযোগ পড়ুয়াদের ৷
![IIM Calcutta Campus](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-01-foodqualityofoneofthemessesofiimcalcuttaisbad-stills-7206406_08112022134449_0811f_1667895289_652.jpg)
সম্প্রতি ওই মেসটি বন্ধ করে দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে । তারই প্রতিবাদে আজ ক্যান্টিন কর্মীরা বাকি মেসগুলিতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে । এমনকী পড়ুয়ারা অ্যাপের মাধ্যমে খাওয়ার অর্ডার করলেও ক্যান্টিন কর্মীরা তাদের গেটের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে । এই সমস্ত অভিযোগ নিয়েই সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে কলেজ ক্যাম্পেসে ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় কখন শুরু চন্দ্রগ্রহণ ?
আইআইএম জোকা ক্যাম্পাসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পড়ুয়া জানান, গত দু'মাস ধরেই এই সমস্যা চলছে । অনেকেই ওই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন । বাকিরা ওই মেসে খাওয়া বন্ধ করে দেয় ।
জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে গত সেপ্টেম্বর মাসে নিউ হস্টেল মেসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেই ঠিকাদারি সংস্থা ওই মেসের খাবার সরবরাহের দায়িত্বে ছিল তাঁদের সরিয়ে অন্য আরেকটিকে দিয়ে খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয় ৷ কিন্তু তাদেরও কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে জানান অপর এক পড়ুয়া ।
![IIM Calcutta Campus](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-01-foodqualityofoneofthemessesofiimcalcuttaisbad-stills-7206406_08112022134449_0811f_1667895289_607.jpg)
অবিলম্বে মেস খোলার ব্যবস্থা করতে হবে, না-হলে পরিণতি খারাপ হবে । এই বলে পড়ুয়াদের রীতিমত হুমকি দেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা । এমনটাই জানিয়েছেন পড়ুয়ারা । এরপর আজ বাকি তিনটি ক্যান্টিনের কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে । তাই পড়ুয়ারা বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করলে সেই খাবার ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, আইআইএম-এর মাইনের মধ্যে মেসের টাকা ধরা নেই, তাই এই চারটি মেস আলাদাভাবে স্টুডেন্ট কাউন্সিল পরিচালনা করে । এই বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, কেউ কোনও কথা বলতে চাননি ।